নাগরিক প্রতিবেদক:
জমি অধিগ্রহণের জটিলতায় পিছিয়ে গেল রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (রামেবি) কার্যক্রম। চলতি বছরের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা থাকলেও গত ১৬ নভেম্বর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব রামেবির নির্ধারিত জমি দেখতে এসে ক্ষুব্ধ হন। পরে তিনি অন্য জায়গায় জমি অধিগ্রহণের জন্য নির্দেশনা দেন। এতে করে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম পিছিয়ে যাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন চিকিৎসক নেতা ও সিন্ডিকেটের সদস্যরা।
রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগের সব সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল, ডেন্টাল কলেজ, নার্সিং কলেজ/ ইনস্টিটিউট বা অন্য কোন মেডিকেল প্রতিষ্ঠানসমূহ ২০১৭-২০১৮ শিক্ষাবর্ষ থেকে রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অধিভূক্তির জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় পরিপত্র জারি করেছে। সে অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সরকার গত অর্থ বছরে রামেবি’র জন্য দেড় হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। মূল ক্যাম্পাসের জন্য রাজশাহী মহানগরীর বড়বনগ্রাম মৌজায় প্রায় ৮৫ দশমিক ৮০৭ একর জমি অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু হয়। কিন্তু গত দুই বছরেও জমি অধিগ্রহণের কাজ শেষ হয়নি।
তথ্য মতে, রামেবির নির্ধারিত জমিটি সরকারে কাছ থেকে বরাদ্দ নিয়ে শতাধিক পরিবার বসবাস করছেন। এ কারণে জমি অধিগ্রহণ করতে গিয়ে আইনি সমস্যায় পড়ে জেলাপ্রশাসন। আর এজন্য জমি অধিগ্রহণের কার্যক্রম শুরু করেনি জেলাপ্রশাসন। রামেবি সিন্ডিকেটের এক সদস্য সাংবাদিকদের জানান, যে জমিটি দেখা হয়েছিল, সেটি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নাকচ করে দিয়েছে। এখন নতুন করে আবার জমি দেখতে হবে। এতে আবারও অনেকটা সময় পিছিয়ে গেল কার্যক্রম। জমি নির্ধারণের আগে সম্মিলিত সিদ্ধান্ত হলে আজ এই সংকট হতো না।