নাগরিক প্রতিবেদক: অনিয়ম আর অব্যবস্থাপনায় ভেঙ্গে পড়েছে রাজশাহী মসজিদ মিশন একাডেমী স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাপনা। এজন্য অধ্যক্ষ মোঃ নূরুজ্জামান খান এর নিয়ম বর্হিভ‚ত বিভিন্ন কর্মকান্ডকে দায়ী করছেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক ও অভিভাবকরা। ইতোমধ্যে অধ্যক্ষ’র একটি জালিয়াতির ঘটনার অভিযোগের ভিত্তিতে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে তদন্ত কমিটি গঠণ প্রক্রিয়াধীণ রয়েছে।
রাজশাহী নগরীর সাহেব বাজার বড়কুঠিতে ১৯৮১ সালে মসজিদ মিশন একাডেমি স্কুল এন্ড কলেজের যাত্রা শুরু। বাংলাদেশ মসজিদ মিশন রাজশাহী জেলা শাখা সংস্থা কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত প্রতিষ্ঠানটির দুটি শাখায় শিশু থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত প্রায় প্রায় ৩ হাজার শিক্ষার্থী এবং প্রায় একশত শিক্ষক-কর্মচারী কর্মরত রয়েছেন।
একাডেমীর শিক্ষকদের অভিযোগ, শিবিরের সাবেক প্রভাবশালী নেতা ও জামায়াতের রোকন অধ্যক্ষ মোঃ নূরুজ্জামান খান দলীয় লবিং-গ্রæপিং করে ২০১৯ সালে অধ্যক্ষের পদটি বাগিয়ে নেন। নিয়োগের পর পরই অধ্যক্ষ একাডেমীতে নিজস্ব একটি বলয় তৈরি করেন। এরপর থেকে তিনি নিজের প্রভাব বজায় রাখতে তার বিরোধীদের বিভিন্ন ভাবে কোন ঠাসা করে রাখেন।
রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে একাডেমীর অধ্যক্ষর বিরুদ্ধে দাখিলকৃত অভিযোগপত্র থেকে জানা গেছে, গত ১২ জানুয়ারী মমিএ/রাজ/১৮৬/২০২০ নম্বর স্মারকে সংস্থার সভাপতির সাক্ষর জালিয়াতি করে অধ্যক্ষ তার পছন্দের ব্যক্তিদের নাম দিয়ে প্রস্তাবিত গভর্ণিং বডির তালিকা শিক্ষা বোর্ডে প্রেরণ করলে বোর্ড তা অনুমোদন করে।
পরে জালিয়াতির বিষয়টি জানাজানি হলে গত ১৫ জানুয়ারী বাংলাদেশ মসজিদ মিশন একাডেমী রাজশাহী জেলা সভাপতি মু.নুরুল ইসলাম বোর্ড চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগপত্রে তিনি উল্লেখ করেন, গভর্ণিং বডি গঠন সংক্রান্ত প্রবিধানমালার ৪৯ নং প্রবিধান অনুযায়ী রাজশাহী জেলা মসজিদ মিশন এর সভাপতি হিসেবে রাবি প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আব্দুল হান্নানকে মসজিদ মিশন একাডেমী স্কুল এন্ড কলেজের সভাপতি হিসেবে মনোনয়ন প্রদান করি। পরে সভাপতি হিসেবে ড.আব্দুল হান্নান ৩জন অভিভাবক প্রতিনিধি মনোনয়ন দেন।
কিন্তু অধ্যক্ষ মোঃ নূরুজ্জামান খান সাক্ষর জালিয়াতি করে সভাপতি ও ৩জন অভিভাবক সদস্য পরিবর্তন করে তার পছন্দের ব্যক্তিদের নাম দিয়ে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড থেকে কমিটি অনুমোদন করিয়ে নেন। অভিযোগপত্রে তিনি বোর্ডের অনুমোদনকৃত কমিটি বাতিলসহ অধ্যক্ষর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের আবেদন জানান।
এবিষয়ে অধ্যক্ষ মোঃ নূরুজ্জামান খান বলেন, শিক্ষা বোর্ডের অভিযোগের বিষয়ে অবগত নন উল্লেখ করে অধ্যক্ষ বলেন, সকল বিষয় মেনেই গভর্ণিং বডির নির্বাচন করা হয়েছে। কোন ধরনের অনিয়ম হয়নি।
2 Comments
MarcosAnobe
tadalafil gel: http://tadalafilonline20.com/ tadalafil gel
MichaelacceD
buy medication without an rx: https://genericwdp.com/ drugs without doctor script