নাগরিক প্রতিবেদক: উপমহাদেশের মানদন্ডে ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন ভাল হয়েছে বলে মন্তব্য করে তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি ইভিএম সম্পর্কে ভোটারদের মাঝে ভীতি তৈরি করেছিল। তারা বার বার ঘোষণা দিয়েছিল, এ নির্বাচন আন্দোলনের অংশ। আর বিএনপির আন্দোলন মানেই সন্ত্রাস। তাই সিটি নির্বাচনে বিএনপি হামলা করতে পারে-এমন আশঙ্কায় ভোটার উপস্থিতি কম হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন। রাজশাহী জেলা আওয়ামী লগের সভাপতি মেরাজ উদ্দিন মোল্লার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে রাখেন, দলের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, নির্বাহী কমিটির সদস্য নূরুল ইসলাম ঠান্ডু, ডা. রোকেয়া সুলতানা, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল ওয়াদুদ দারা, ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক এমপি, ডা. মনসুর রহমান এমপি, আয়েন উদ্দিন এমপি প্রমুখ। প্রতিনিধি সভায় রাজশাহী জেলার সকল উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়নের নেতারা অংশ নেন।
বেলা ১১টায় রাজশাহী জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত এ সভার উদ্বোধনী পর্বে বিএনপির কড়া সমালোচনা করে তথ্যমন্ত্রী আরো বলেন, লেকট্রনিক ভোটিং মেশিন-ইভিএমে ভোট হওয়ার কারণে এখন আর কোনো দলেরই পোলিং এজেন্ট দরকার হওয়ার কথা না। কারণ ইভিএম নিজেই পোলিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করে।
আর বিএনপির কাজ হচ্ছে সমালোচনা করা। ইভিএম নিয়েও তাদের সমালোচনার শেষ নাই। ইভিএমে ভোট কারচুপি তো দূরের কথা আঙুলের ছাপ না মিললেও ভোট দেওয়ার সুযোগ নাই। স্বয়ং প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ জাতীয় পর্যায়ের কয়েকজন নেতার আঙুলের ছাপ না মেলার কারণে ভোট দিতে সমস্যায় পড়তে হয়েছে। অথচ বিএনপির সমালোচনার শেষ নেই। বিএনপি সবসময় প্রযুক্তির বিরুদ্ধে।
তিনি বলেন, ২০১৪ সালের পরে বিএনপির যেসব নেতাকর্মীরা পিঠ বাঁচানোর জন্য দলে এসেছে তারা যেন কোনোক্রমেই দলীয় পদ না পায়। যারা পদে রয়েছেন তাদের বাদ দিতে হবে। এমনকি গত নির্বাচনগুলোতে যারা বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেছেন তাদেরও কোন ইউনিটের সভাপতি-সম্পাদকের পদ দেয়া যাবে না বলে নির্দেশনা দেন আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ।
