হানিফ খন্দকার :
বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড অনুমোদিত দেশব্যাপী পরিচালিত বেসিক ট্রেড প্রতিষ্ঠান সমূহের জাতীয় সংগঠন ‘‘বেসিক ট্রেড স্কিল ডেভেলপমেন্ট ফোরাম” এর সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
শনিবার (১৬’ মে) দুপুরে পাবনা প্রেস ক্লাবের ভিআইপি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সম্মেলনে ফোরামের কেন্দ্রীয় আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন টুটুল লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। তিনি বলেন সারা দেশে পরিচালিত ৩,৫০০টি প্রতিষ্ঠানে ৫০ হাজারের অধিক প্রশিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী (৭০% টিচিং ও ৩০% অফিস স্টাফ) স্বল্প বেতন-ভাতায় কর্মরত আছেন। করোনা পরিস্থিতিতে সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক প্রতিষ্ঠানগুলো বিগত ১৮ মার্চ ২০২০ থেকে বন্ধ থাকায় তাঁরা অর্থাভাবে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। সারা দেশের প্রতিষ্ঠানগুলোতে কর্মরত প্রশিক্ষক-কার্মচারীর বেতন-ভাতা, প্রতিষ্ঠানের ভাড়া, ইউটিলিটি ব্যয় (পানি, বিদ্যুৎ, টেলিফোন, ইন্টারনেট ইত্যাদি) বাবদ আমাদের প্রতি মাসে প্রায় ১০৫ কোটি টাকা ব্যয় হয়। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকায় উদ্যোক্তাগণ আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। করোনা পরিস্থিতির কারণে প্রতিষ্ঠানগুলো যদি ৫ মাস বন্ধ থাকে, তাহলে ক্ষতির অংক দাঁড়াবে ৫২৫ কোটি টাকা। এ বিপুল পরিমান ব্যয় নির্বাহ করা আমাদের জন্য দুরূহ হয়ে পড়েছে। দেশে বিপুল সংখ্যক জনগোষ্টীকে কারিগরি ও আইসিটি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির অগ্রযাত্রা অব্যহত রাখতে ৩৫০০টি বেসিক ট্রেড প্রতিষ্ঠানের অনূকুলে নূন্যতম ৫২৫ কোটি টাকা প্রণোদনার প্রাপ্তির জন্য প্রধানমন্ত্রীর নিকট বিণীত আবেদন জানাই।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফোরামের সদস্য কাজী মিজানুর রহমান জুয়েল, সৌহার্দ বসাক সুমন, টুটন কুমার সরকার, কৌশিক আহম্মেদ শাকিল, আতাউর রহমান জনি, জয়ন্ত কুমার জয় প্রমুখ।
বেসরকারি উদ্যোগে প্রতিষ্ঠানগুলো সুনামের সাথে স্বল্প প্রশিক্ষণ ফি’র মাধ্যমে বিভিন্ন ট্রেডে কারিগরিসহ আইসিটিতে প্রশিক্ষণ প্রদান, ফ্রিলান্সার তৈরি এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এর পাশাপাশি শাররীক প্রতিবন্ধী, ক্ষুদ্র ও নৃ-গোষ্টি, হিজড়া, বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্তা মহিলাসহ সমাজের সুবিধা বঞ্চিত বেকার যুবক-যুবতীদের বিনা খরচে দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ দিয়ে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করছে। বর্তমান সরকারের ভিশন-২০২১ ও রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নে প্রতিষ্ঠানগুলো সহায়ক ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।
আব্দুল খালেক: রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে দরিদ্র চ্যারিটি ফাউন্ডেশন এর ১ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে গোদাগাড়ী স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে মাহবুবুর রহমান শাহীনের নেতৃত্ত্বে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, রাতিন, রাহাত, আফজাল, সুদিপ্ত, আরিফ। দরিদ্র চ্যারিটি ফাউন্ডেশন ২০১১ সাল থেকে গরিব শীতার্তদের মাঝে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় কম্বল বিতরণ করে থাকে। এ বছর গোদাগাড়ী উপজেলা ও আলাতুলী ইউনিয়নে এক হাজার কম্বল বিতরণ করেছে সংস্থাটি।
গোদাগাড়ী প্রতিনিধি: রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার ভাটোপাড়া নামক স্থানে অবৈধভাবে রাস্তার গাছ গাটার অভিযোগ উঠেছে। গোদাগাড়ীর সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর অভিযোগ সূত্রে জানা যায় গত আনুমানিক ১০ তারিখে দিয়াড় মহাব্বতপুর গ্রামের মৃতঃ কায়েম উদ্দিনের ছেলে ইসমাইল হোসেন (২৮) (চর বয়ারমারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাইটগার্ড কাম পিয়ন), হরিশংকরপুর গ্রামের মৃতঃ মহিউদ্দিনের ছেলে হিটলার (৪০) তারা শীর্ষ নেতাদের মদদে কিছু লেবার নিয়ে ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন স্থান থেকে ৩০-৩৫ বছরের প্রায় ১৫টি বড় বড় রাস্তার গাছ অবৈধভাবে কর্তন করে নিয়ে যায়। তারা গাছ কাটতে গেলে স্থানীদের তোপের মুখে পড়ে তার পরেও তাদের গালিগালাজসহ বিভিন্নভাবে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে গাছগুলো কেটে নিয়ে চলে যায়। এব্যাপারে প্রত্যক্ষদর্শী ৬নং ওয়ার্ডের মৃত: নূরুল ইসলামের ছেলে কবির হোসেন, শাহজাহান আলীর ছেলে তামিম হোসেন, মৃত বাসেদুর রহমানের ছেলে নাসিম হোসেন জানান দুস্কৃতিকারীরা গাছগুলো কেটে নিয়ে চলে গেছে। তারা বাধা নিষেধ করতে গেলে তাদেরকে গালাগালি করে। এছাড়াও ৫নং ওয়ার্ডের নাইস এবং এম.এম ৪ নামক ভাটার কর্মচারীরা গাছ কর্তন করাসহ গাছগুলো বহন করে নিয়ে যেতে দেখেছেন বলে জানা যায়।
৫নং ওয়ার্ড মেম্বার হরিশংকরপুর গ্রামের গাছ নিধনকারী হিটলারের ভাই টকেন মেম্বারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলে আমি পরে জানতে পেরেছি, গাছ কাটার কথা আমাকে কিছু বলেনি পরে জানতে পেরেছি তারা কিছু গাছ কেটেছে। যারা গাছ কেটে তার মধ্যে হিটলার আমার ভাই বলে স্বীকার করেন। গাছগুলো তারা কি করেছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন কিছু কাজে লাগিয়েছে আর কিছু লয়ছয় করেছে।
এব্যাপারে হিটলারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি গাছ কাটার কথা স্বীকার করে বলেন মেম্বার, ইউপি চেয়্যারম্যান ও উপজেলা চেয়্যারম্যানকে বলে ডাঁড়ার কপাটের জন্য ৩/৪টি গাছ কেটেছি।
বিষয়টি আমার জানা নাই। মাটিকাটা ইউনিয়নের চেয়্যারম্যান আলী আজম তৌহিদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আমি একজন চেয়্যারম্যান আমি নিজেও একটি ডাল কাটার জন্য এখন পর্যন্ত সাহস করতে পারিনি, হরিশংপুরে কতিপয় ছেলে যারা নেতা দাবী করে তারা নিজেদের গায়ের জোরে কিছু গাট কেটেছে তবে গাছ কাটার আগে আমাকে ফোনে বলেছিল যে, মামা গাছ কাটছি তখন চেয়্যারম্যান বলেন যে, আমি গাছ গাটার অনুমতি দিতে পারব না। কাটার প্রয়োজন হলে নির্বাহী অফিসারকে বলে কাট। তার পরেও স্থানীয় মেম্বার কিংবা আমাকে আর তারা জানায়নি গাছ কেটে নিয়েছে।