নাগরিক ডেস্ক: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে দেশে প্রথমবারের মতো আগামী মার্চ মাসে বাংলাদেশ ব্যাংক বাজারে ২০০ টাকা মূল্যমানের নতুন নোট ছাড়তে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে আসছে ১০০ টাকা মূল্যমানের স্বর্ণমুদ্রা।
শনিবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, বাজারে প্রচলিত ১০, ২০, ৫০, ১০০, ৫০০ ও ১০০০ টাকার মতই ২০০ টাকার নোট ছাড়া হবে। আগামী মাসে স্মারক ও প্রচলিত-দুই ধরনের ২০০ টাকার নোট ছাড়া হবে। তবে ২০২১ সাল থেকে কেবলমাত্র নিয়মিত নোট থাকবে।
জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী বা মুজিববর্ষকে স্মরণীয় করে রাখতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান। এছাড়া বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের অংশ হিসেবে ১০০ টাকা মূল্যমানের স্বর্ণ ও রূপার স্মারক মুদ্রা ছাড়বে বাংলাদেশ ব্যাংক।
সিরাজুল ইসলাম জানান, ২০০ টাকার নোটের উপর ‘মুজিববর্ষ উপলক্ষে বিশেষ নোট’ কথাটি লেখা থাকবে। তবে ২০২১ সাল থেকে যে নোটগুলো ছাড়া হবে তাতে আর তা লেখা থাকবে না। ১০০ টাকা মূল্যমানের ১ হাজার ৫০টি স্বর্ণমুদ্রা এবং একই মূল্যমানের ৫ হাজার রৌপ্য মুদ্রা ছাড়া হবে। বর্তমানে দেশে ১, ২, ৫, ১০, ২০, ৫০, ১০০, ৫০০ ও ১০০০ টাকা মূল্যমানের নিয়মিত নোট চালু রয়েছে। প্রথমবারের মতো ২০০ টাকার নোট চালু হতে যাচ্ছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উদযাপনে ২০২০-২০২১ সালকে ‘মুজিববর্ষ’ ঘোষণা করেছে সরকার। ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন শেখ মুজিবুর রহমান। কালক্রমে তার হাত ধরে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে।
নাগরিক প্রতিবেদক: প্রতিটি থানাকে জনগণের বিশ্বাস ও আস্থার জায়গায় পরিণত করার আহবান জানিয়ে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেছে, প্রতিটি মেট্রোপলিটন এলাকায় একটি থানাতে হলেও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে নারীদের রাখার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। যা অল্প সময়ের মধ্যে কার্যকর করা হবে। পুলিশের দায়িত্ব ও কর্তব্য অনেক বেশি। আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে পুলিশকেই সবার আগে এগিয়ে আসতে হবে। কারণ, অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চেয়ে পুলিশই সবচেয়ে বেশি আইনের প্রয়োগ করতে পারে।
রোববার সকালে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে ৩৭তম ক্যাডেট উপ-পরিদর্শক (এসআই) ব্যাচের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আইজিপি বলেন, জনগণের সাংবিধানিক ও আইনগত অধিকার প্রতিষ্ঠায় সরকার বিভিন্ন আইনকে সংস্কারের মাধ্যমে যুগোপযোগী করেছে। আইনের শাসন নিশ্চিত করতে পুলিশকে এগিয়ে আসতে হবে। মামলার যথাযথ তদন্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা, অপরাধীকে বিচারের আওতায় আনা, মামলার বাদী, ভিকটিম ও সাক্ষীদের নিরাপত্তা প্রদানসহ অর্পিত দায়িত্ব নির্মোহভাবে পালন করতে হবে। জনগণকে আইনী সহায়তা দেয়ার ক্ষেত্রে তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ সদস্যদেও দ্রæত ব্যবস্থা নিতেত হবে। নারী, শিশু, বৃদ্ধ ও প্রতিবন্ধীসহ সকল সেবাপ্রত্যাশী জনগণের প্রতি সংবেদনশীল আচরণ করতে হবে।
এর আগে আইজিপি ৩৭তম এসআই ব্যাচের সমাপনী কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন। এক বছর মেয়াদী এই প্রশিক্ষণে নতুন নিয়োগ পাওয়া ১ হাজার ৭৫৯ জন এসআই অংশ নেন। এর মধ্যে নারী সদস্য ১৩৭ জন। প্রশিক্ষণে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনকারী পাঁচজনের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন আইজিপি। এ সময় পুলিশ একাডেমির অধ্যক্ষ নাজিবুর রহমান, উপাধ্যক্ষ আব্দুল্লাহ-হিল বাকী, পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) একেএম হাফিজ আক্তার, রাজশাহী মহানগর পুলিশের কমিশনার হুমায়ুন কবীর, রাজশাহীর পুলিশ সুপার মো. শহিদুল্লাহসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ড. জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, জবাবদিহিতামূলক ও জনবান্ধব পুলিশ বাহিনী গড়ে তোলার মধ্য দিয়ে ‘বাংলাদেশ পুলিশ’ হবে অনন্য দৃষ্টান্ত। বর্তমানে পুলিশ বাহিনী দেশের অভ্যন্তরীণ শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, স্থিতিশীলতা বজায় রাখা, সন্ত্রাস দমন, মাদকের অপব্যবহার ও বিস্তার রোধে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। সা¤প্রতিক বছরগুলোতে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে সরকারের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির বাস্তবায়নে বাংলাদেশ পুলিশের পেশাদারিত্ব ও সাহসিকতা বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে।
‘বর্তমান সরকার পুলিশের কাঠামোগত সংস্কারের মাধ্যমে নতুন ও বিশেষায়িত ইউনিট গঠন, ধারাবাহিকভাবে জনবল বাড়ানো, কর্মদক্ষতার উন্নয়নে দেশে-বিদেশে যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের সুব্যবস্থা, অত্যাধুনিক লজিস্টিকস ও ইকুইপমেন্ট সরবরাহের সুব্যবস্থা করছে।’
আইজিপি তাঁর বক্তব্যে জানান, নতুন প্রযুক্তির বিকাশ ও বিশ্বায়নের সঙ্গে অপরাধের প্রকৃতি, মাত্রা ও অপরাধ সংগঠনের কৌশলে নিয়ত পরিবর্তন ঘটছে জানিয়ে আইজিপি বলেন, পুলিশকেও তাই অপরাধ মোকাবিলা, কলা-কৌশল প্রয়োগ এবং প্রযুক্তি ও লজিস্টিকস ব্যবহারে সক্ষমতা অর্জন করতে হচ্ছে। অপরাধীকে বিচারের আওতায় আনা থেকে শুরু করে পুলিশের প্রাত্যহিক কাজের পরিসরে সাইবার ক্রাইম রোধ, ফিন্যান্সিয়াল ক্রাইম নিয়ন্ত্রণ, আন্তঃদেশীয় অপরাধ ব্যবস্থাপনা, জাতীয় জরুরি সেবা-৯৯৯, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে দায়িত্ব পালন ইত্যাদি সংযোজিত হয়েছে। জনগণের সাংবিধানিক ও আইনগত অধিকার প্রতিষ্ঠায় সরকার বিভিন্ন আইনকে সংস্কারের মাধ্যমে যুগোপযোগী করেছে।
এসময় জেন্ডার গাইডলাইন্স অনুসরণ, নারী সহায়তা কেন্দ্র, শিশু হেল্প ডেস্ক প্রবর্তন, ডিএমপিতে উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশন, সারা দেশে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার প্রতিষ্ঠা, পুলিশ বাহিনীতে ধারাবাহিকভাবে বর্ধিত হারে নারী সদস্য নিয়োগ, বাংলাদেশ পুলিশে কর্ম পরিবেশের উন্নয়ন, বেবি-ডে কেয়ার সেন্টার স্থাপন, মাতৃত্বকালীন ছুটি এবং পুলিশ সদস্যদের আজীবন রেশনসহ বিভিন্ন সরকারের নেওয়া বিভিন্ন যুগোপযোগী ও ইতিবাচক পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন আইজিপি।
নাগরিক প্রতিবেদক: রাজশাহী সদর দলিল লেখক সমিতির উদ্যোগে মৃত সদস্যগণের পরিবারকে অনুদানের অর্থ ও কন্যা বিবাহের অনুদান প্রদান করেছেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন।
এসময় মেয়র বলেন, নাগরিক সুবিধা সুনিশ্চিত করতে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের আয়তন বাড়ানো হচ্ছে। বর্তমানের চেয়ে প্রায় তিনগুন আয়তন বৃদ্ধির প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। এটি অনুমোদন হলে নগরীর আয়তন বাড়বে। তিনি বলেন, ভূমি নিবন্ধন পদ্ধতি, খতিয়ান, নামজারি খতিয়ানসহ এ সংক্রান্ত সব কিছু ডিজিটালাইজেশন উদ্যোগ হাতে নিয়েছে সরকার। আগামী ভূমি সংক্রান্ত সবকিছু ডিজিটালাইজেশনের আওতায় আসবে। এতে অর্থ ও সময় বাঁচবে।
সমিতির হলরুমে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে মেয়র মৃত সদস্যগণের ছয় পরিবারের প্রত্যেকে চার লাখ টাকা অনুদান এবং কন্যা বিবাহের জন্য চার জনকে প্রত্যেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা অনুদান প্রদান করেন।
রাজশাহী সদর দলিল লেখক সমিতির সভাপতি আলহাজ¦ মোঃ মহিদুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সদর সাব-রেজিষ্ট্রার (খন্ডকালীন) বাদল কৃষ্ণ বিশ^াস। আরো বক্তব্য দেন সদর দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শেখ জাকাতুল্লাহ, সাধারণ সদস্য আব্দুর রহমান, নুরুল ইসলাম, আল মামুন। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন সমিতির দপ্তর সম্পাদক আতিকুল ইসলাম তপন।
নাগরিক প্রতিবেদক:
চলতি জানুয়ারি মাসে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ও মাদকদ্রব্য উদ্ধার, সর্বোচ্চ পরোয়ানা তামিল এবং সাফল্যের সাথে গুরুত্বপূর্ণ মামলা তদন্তকারী সাতজন অফিসারকে পুরস্কৃত করেছেন পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জ এর ডিআইজি একেএম হাফিজ আক্তার।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় ডিআইজি কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় পুরস্কারপ্রাপ্তদের হাতে সনদ তুলে দেন তিনি।
এসময় তিনি মাদকবিরোধী চলমান বিশেষ অভিযান জোরদারকরণে সকাল থানায় গৃহীত পদক্ষেপসমূহ সার্বিকভাবে তদারকির জন্য পুলিশ সুপারদের দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। তিনি ‘মুজিববর্ষের অঙ্গীকার, পুলিশ হবে জনতার’ এই মূলমন্ত্রকে সামনে রেখে জনসাধারণকে প্রত্যাশিত সেবা প্রদানেরও নির্দেশনা দেন।
শ্রেষ্ঠ পুরস্কার পাওয়া কর্মকর্তারা হলেন- অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারে সিরাজগঞ্জ জেলা ডিবির এসআই ইয়াসিন আরাফাত ও জয়পুরহাট সদর থানার এসআই জাকির আল হাসান, মাদকদ্রব্য উদ্ধারে বগুড়া জেলা ডিবির এসআই নাছিম উদ্দিন, গ্রেফতারে নওগাঁ সদর থানার এএসআই আতিকুর রহমান, মামলা তদন্তে নওগাঁর মান্দা থানার পরিদর্শক তারেকুর রহমান সরকার ও সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানার পরিদর্শক কে এম রাকিবুল হুদা এবং বগুড়ার শেরপুর থানার এসআই ওসমান গণি।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন অ্যাডিশনাল ডিআইজি (অপারেশনস্ অ্যান্ড ক্রাইম) মিরাজ উদ্দিন আহম্মেদ বিপিএম, পিপিএম। সভায় রাজশাহী রেঞ্জ, বাংলাদেশ পুলিশ, রাজশাহীসহ রেঞ্জাধীন জেলা/ইউনিটসমূহের পুলিশ সুপার এবং রেঞ্জ কার্যালয়ের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন।
নাগরিক ডেস্ক: ফাস্ট ট্র্যাক মনিটরিং কমিটি জানিয়েছে, পদ্মা বহুমুখী মূলসেতুর ৮৫ দশমিক ৫ শতাংশ নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে।
রোববার (১৯ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ফাস্ট ট্র্যাক মনিটরিং কমিটির পঞ্চম সভায় এ তথ্য জানানো হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
পদ্মা সেতুসহ ফাস্ট ট্র্যাকভুক্ত ১০টি প্রকল্পের প্রতিটির অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরা হয় এ সভায়।
পদ্মা বহুমুখী প্রকল্পের প্রকল্পের পুরো কাজের ৭৬ দশমিক ৫০ শতাংশ শেষ হয়েছে বলেও জানানো হয় সভায়।
সভায় জানানো হয়, পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় জাজিরা প্রান্তে অ্যাপ্রোচ রোডের কাজ-৯১%, মাওয়া প্রান্তে এপ্রোচ রোডের কাজ-১০০%, সার্ভিস এরিয়া(২)-১০০%, মূল সেতু নির্মাণ কাজ ৮৫.৫০% এবং নদীশাসনের কাজ ৬৬% শেষ হয়েছে। প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৭৬.৫০% শেষ হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফাস্ট ট্র্যাক প্রজেক্টের প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি সম্পর্কে জানেন এবং প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, পদ্মা সেতু নিয়ে অনেক ঝামেলা গেছে আপনারা জানেন। আমরা আনন্দিত অর্ধেকের বেশি হয়ে গেছে। প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটারের মতো হয়ে গেছে।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউসের সঞ্চালনায় সভায় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, অর্থমন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল, পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহ্মুদ চৌধুরী, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট সচিব ও উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় ফাস্ট ট্র্যাক ভুক্ত ১০টি প্রকল্পেরই অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরা হয়।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের ৩টি প্যাকেজের প্রি-ইন্সপেকশন শেষ হয়েছে। প্রকল্পের ভৌত কাজকে ৩৪৪টি অঙ্গে বিভক্ত করে কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্ট (রামপাল) প্রকল্পের ভৌত অগ্রগতি ৪৬ দশমিক ৯ শতাংশ, আর্থিক অগ্রগতি ৪১ দশমিক ৭৫ শতাংশ শেষ হয়েছে।
মহেশখালি-মাতারবাড়ি সমন্বিত অবকাঠামো উন্নয়ন কার্যক্রম (এমআইডিআই) প্রকল্পে-বেজার উদ্যোগে গড়ে ওঠা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগরী (ফেনী অর্থনৈতিক অঞ্চল, মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল, সীতাকুন্ড অর্থনৈতিক অঞ্চল), মহেশখালি-মাতারবাড়ি সমন্বিত অবকাঠামো উন্নয়ন কার্যক্রম ও সাবরাং ইকো ট্যুরিজম পার্ক এবং জাইকা ও সরকারের সমন্বিত প্রয়াসে মহেশখালি-মাতারবাড়ি সমন্বিত অবকাঠামো উন্নয়ন কার্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত।
বর্তমানে এখানে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রায় ২০টি প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। এর মধ্যে মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ, বন্দর নির্মাণ, এলএনজি ও এলপিজি টার্মিনাল নির্মাণ অন্যতম।
ঢাকা মাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৪০.০২ শতাংশ।
এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় মহেশখালীতে দৈনিক ৫০০ এমএমসিএফ ক্ষমতাসম্পন্ন ফ্লোয়েটিং স্টোরেজ অ্যান্ড রি-গ্যাসিফিকেশন ইউনিট (এফএসআরইউ) এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণের কাজ Built Own Operate and Transfer (BOOT) ভিত্তিতে ইতোমধ্যে বাস্তবায়িত হয়েছে এবং গত বছরের ১৯ আগস্ট থেকে বাণিজ্যিকভাবে গ্যাস সরবরাহ শুরু করেছে।
ফার্স্ট ট্র্যাকভুক্ত গ্যাস পাইপলাইন নির্মাণ প্রকল্পের প্রারম্ভিক কার্যাবলি ও মালামাল সংগ্রহের কাজ ইতোমধ্যে ১০০ ভাগ শেষ হয়েছে। তাছাড়া, ভূমি অধিগ্রহণ ও ভূমি হুকুম দখলের কার্যক্রম গড়ে ৯০.৩৩ শতাংশ শেষ হয়েছে এবং আনোয়ারা-ফৌজদারহাট গ্যাস সঞ্চালন পাইপলাইন প্রকল্পের পাইপ লাইন নির্মাণ কাজ শতভাগ শেষ হয়েছে। অবশিষ্ট দু’টি প্রকল্পের পাইপ লাইন নির্মাণ কাজ গড়ে ৯০ ভাগ শেষ হয়েছে।
গভীর সমুদ্র বন্দর (সোনাদিয়া) প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা ও প্রাকৃতিক সম্পদ নষ্ট হবে এ জন্য এ প্রকল্প বাতিল করেছেন প্রধানমন্ত্রী। সোনাদিয়ায় গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ করা হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওখানে প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হবে। অনেক প্রাকৃতিক সম্পদ আমরা হারাবো।
পায়রা গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ প্রকল্পের ভৌত অগ্রগতি ৫৮.৮৪ শতাংশ এবং আর্থিক অগ্রগতি ৬২.৫৫ শতাংশ শেষ হয়েছে।
পদ্মাসেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের ভৌত অগ্রগতি ২১.৯৩ শতাংশ এবং আর্থিক অগ্রগতি ৩০.২২ শতাংশ।
দোহাজারী-রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু-মায়ানমারের নিকটে ঘুমধুম পর্যন্ত সিংগেল লাইন ডুয়েলগেজ ট্র্যাক নির্মাণ প্রকল্পের ভৌত অগ্রগতি ৩৩ শতাংশ, আর্থিক অগ্রগতি ২৩.৯৩ শতাংশ।
প্রকল্পগুলোর অগ্রগতির জন্য প্রধানমন্ত্রী সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ দেন এবং প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেন।
দেশের যেকোন নদীতে সেতু নির্মাণের আগে সেই নদীর চরিত্র সম্পর্কে জানার নির্দেশনা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নদীতে ব্রিজ বা কোনো কিছু করতে গেলে আমাদের কিন্তু নদীর চরিত্রটা কেমন বর্ষাকালে কি রুপ ধারণ করে, শীতকালে কি রূপ ধারণ করে এগুলো জেনে নিয়ে করা উচিত।’
‘নদীকে শাসন করতে গেলে সে শাসন মানবে না। সব নদী সব শাসন মানে না। সেটা মাথায় রেখে আমাদের কাজ করতে হবে।’
এ প্রসঙ্গে পদ্মানদীর কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই সেতুটা করার সময় নদীশাসন করে আমি কিন্তু নদী ছোট করতে দেইনি। পদ্মা নদীর চরিত্র সম্পর্কের কারো জানা নেই। এই নদীটা অসম্ভব ভাঙনপ্রবণ। এখানে বাঁধ দিয়ে ছোট করতে গেলে এই নদী মানবে না। আমাদের ব্রিজটাই বড় করতে হবে। এখানে জায়গাও রাখতে হবে বাপার জোনও থাকবে। যাতে বন্যার পানিটা ধারণ করতে পারে।’
ফাস্ট ট্র্যাকভুক্ত ১০টি প্রকল্প ছাড়াও অন্যান্য বড় প্রকল্পগুলো মনিটর করতে ‘ফাস্ট ট্র্যাক মনিটরিং কমিটি’ কে নির্দেশনা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের কতগুলো বড় বড় প্রজেক্ট আছে। সেগুলোর কয়েকটা আমরা ফাস্ট ট্র্যাক প্রকল্প হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেছি। আমাদের আরও অনেকগুলো প্রজেক্ট গুরুত্বপূর্ণ। আমরা প্রাথমিকভাবে কিছু ফাস্ট ট্র্যাক প্রজেক্ট হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেছি এবং মনিটরিং করে যাচ্ছি। আমরা সেগুলোতো মনিটর করবোই ভবিষ্যতে আমার মনে হয় এই কমিটি থেকে শুধু এ কয়েকটা দেখলে হবে না, আরও অনেকগুলো প্রজেক্ট আছে যেগুলো দেখতে হবে।’
সরকারের ধারাবাহিকতার সুফল তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘প্রতিটি কাজ যখন সরকারের ধারাবাহিকতা থাকে না তখন কাজগুলো নষ্ট হয়।’
টানা তিন বার আওয়ামী লীগকে দেশ পরিচালনার সুযোগ দেওয়ার জন্য জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি জনগণের কাছে কৃতজ্ঞ যে অন্তত তারা আমাদের এইটুকু সুযোগ দিয়েছে। যে আমরা পর পর এবার নিয়ে তৃতীয় বার এসেছি। তাতে আমাদের উন্নয়নের কাজগুলো সেগুলো বাস্তবায়নও করতে পারছি এবং মানসম্মতও করতে পারছি।’
নাগরিক প্রতিবেদক: চলতি বছর রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (রামেবি) কাজ শুরু হবে। হাসপাতালের জনবল, যন্ত্রাপতির প্রয়োজন, সেগুলো দেওয়া হবে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
শনিবার দুপুরে রামেক হাসপাতালের অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত এক সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র) আইসিইউ বা ডাইলাসিস দ্বিগুন করে দেওয়া হবে। এছাড়া বাড়ানো হবে শয্যও। ডিন্টাল ইউনিট কলেজ করার কথা হয়েছিল। অনুমদন দেওয়া হলেছিল। অনুমতির প্রয়োজন। একটি গাড়ি দেওয়া হবে। প্রয়োজনে অ্যাম্বুলেন্সও দেওয়া হবে। অনুষ্ঠানে রামেকের অধ্যক্ষ ডাক্তার নওশের আলীর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জামিলুর রহমান, রাজশাহী-৫ আসনের সাংসদ ডা. মনসুর রহমান প্রমুখ।
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ দেশের জনগণের মাঝে সামাজিক ও মানবিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের জন্য বাংলাদেশ বেতারের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। মঙ্গলবার ঢাকায় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে তিন দিনব্যাপী এবিইউ রেডিও এশিয়া সম্মেলন এবং রেডিও সং ফ্যাস্টিভালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি আমাদের সামাজিক, মানবিক ও পারিবারিক মূল্যবোধ রক্ষায় রেডিও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।” তিনি আরও বলেন,“ ১৬ কোটিরও বেশি জনবহুল একটি দেশ হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ।
বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের সহযোগিতায় এশিয়া প্যাসেফিক ব্রডকাস্টিং ইউনিয়ন (এবিইউ) এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। খবর: ঢাকা, ২৯ অক্টোবর, ২০১৯ (বাসস)।
তথ্য সচিব আবদুল মালেকের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান, এবিইউ মহাসচিব ড. জাভেদ মোত্তাগী ও বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক নারায়ণ চন্দ্র শীল।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বর্তমান সরকার দারিদ্র ও দুর্নীতিমুক্ত ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণে কাজ করে যাচ্ছে, এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বেতার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে রেডিওর গৌরবোজ্জ¦ল ভূমিকার কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধকালে বাঙালী জাতীয়তাবাদী বাহিনীর রেডিও সম্প্রচার কেন্দ্র ছিল স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র। এই বেতার কেন্দ্র স্বাধীনতা সংগ্রাম ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স¦াধীনতার ঘোষণা সম্প্রচার করার পাশাপাশি দেশের মাটিতে যুদ্ধে অংশ নিতে জনগণকে উদ্ভুদ্ধ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বেতার এখন বিভিন্ন উন্নয়ন ও সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান সম্প্রচার করছে।
দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশকে সমৃদ্ধ হিসেবে গড়ে তোলা। কিন্তু জাতির প্রতিষ্ঠাতা তাঁর এই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারেননি। কারণ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তিনি ও তাঁর পরিবারের অধিকাংশ সদস্যকে হত্যা করা হয়।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তাঁর স্বপ্ন বাস্তবায়নে বাংলাদেশ এখন উন্নয়ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এগিয়ে চলছে।
আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ আরো বলেন, ১৬ কোটিরও বেশি জনবহুল একটি দেশ হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ।
তিনি বলেন, ২০০৯ সালের আগে মানুষের মাথাপিছু আয় ছিল ৬শ’ মার্কিন ডলার। বর্তমানে তা ২ হাজার মার্কিন ডলারেরও বেশি। বাংলাদেশ সকল সূচকে পাকিস্তানকে এবং এমন কি অনেক সামাজিক সূচকে ভারতকে ছাড়িয়ে গেছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ আজ আর কোন স্বপ্ন নয়, এটা এখন দৃশ্যমান।
পরে মন্ত্রী ৩ দিনের সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
বিভিন্ন দেশের মোট ৬৩ প্রতিনিধি এই রেডিও মিট-এ যোগ দিয়েছেন। ঢাকায় এ ধরনের সম্মেলন এটাই প্রথম।
নাগরিক ডেস্ক: পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, বিশ্বব্যাপী সার্বজনিন একটি চুক্তি হিসেবে এসডিজি বাস্তবায়নে সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
তিনি বলেন, সারাবিশে^ জলবায়ুর নেতিবাচক পরিবর্তন লক্ষণ করা যাচ্ছে। যা পৃথিবীর জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরুপ। এই পরিবর্তন মোকাবিলার জন্য আমাদের টেকসই উন্নয়ন করতে হবে।
পরিকল্পনামন্ত্রী আরো বলেন, প্রকৃতিকে ধ্বংস করে উন্নয়ন করা যাবে না। জলবায়ু পরিবর্তনে বড় দেশগুলো যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তারা তা রক্ষা করেনি। কিন্তু আমরা এই কাজ করে যাব।
এম এ মান্নান আজ রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ইংরেজি দৈনিক বাংলাদেশ পোস্ট’র উদ্যোগে আয়োজিত ‘এসডিজি অর্জনে চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ পোস্ট’র সম্পাদক শরীফ শাহাব উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাবেক রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ জমির ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক।
এম এ মান্নান বলেন ‘আমাদের প্রধানমন্ত্রীর মূল বার্তা হলো কেউ এসডিজি বাস্তবায়ন না করলেও আমরা এটা একা করবো। কেউ আসলে তাকে স্বাগত জানাবো। আমাদের মাথাপিছু আয় বেড়েছে। এজন্য আমরা এসডিজি বাস্তবায়নে ব্যয়ও করতে পারছি। এসডিজি বাস্তবায়নে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। প্রতিনিয়ত এখানে বাড়তি সম্পদ ব্যয় করবো।’
তিনি বলেন, ‘ আমরা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের এসডিজি বাস্তবায়নের কাজ নিয়মিত ট্রেকিং করছি। পদ্মা সেতুর মতো বলতে চাই, কেউ আসলেও এটা আমরা করবো, না আসলেও এটা করবো।’
মুহাম্মদ জমির বলেন, এসডিজি বাস্তবায়নে সবাইকে সমান সুযোগ পেতে হবে। স্যোসাল মিডিয়ার কারণে আমাদের পারিবারিক বন্ধন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এটাকে আরও বেশি দৃঢ় করতে হবে। নৈতিক মূল্যবোধ জাগ্রত করতে হবে। না হলে ন্যায় বিচার নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। এজন্য সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করা দরকার। অন্যথায় এসডিজি বাস্তবায়ন করা কঠিন হয়ে দাড়াবে।
কাজী রিয়াজুল হক বলেন ‘এসডিজিতে আমাদের অভূতপূর্ব সাফল্যের শক্তি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসডিজি বাস্তবায়নের কাজ শুরু করেছেন। এসডিজিতে যে ১৬৯ টি টার্গেট রয়েছে তা বাস্তবায়ন করতে হলে সবাইকে এর সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘দুর্নীতি দমনে প্রধানমন্ত্রী শক্ত হাতে যে শুদ্ধি অভিযান শুরু করেছেন। এ অভিযানে প্রধানমন্ত্রীকে সহযোগিতা করতে হবে। তা না হলে এই অর্জন ধরে রাখা সম্ভব হবে না।’
তিনি আরো বলেন ‘নারীদের অধিকার নিশ্চিত করে সব ধরনের নির্যাতন বন্ধ করতে হবে। আমরা হিজরা ও প্রতিবন্ধীদের মূল শ্রোতধারায় নিতে পারছি না। এসডিজি বাস্তবায়নে এই কাজটি করা খুবই জরুরী।’
নাগরিক ডেস্ক: ধর্মঘটের মাঝে ঘটা করে টেলিকম কোম্পানি গ্রামীণফোনের সঙ্গে চুক্তি করেন সাকিব আল হাসান। দেশের শীর্ষস্থানীয় টেলিকম কোম্পানির সঙ্গে এই চুক্তি বিসিবির নিয়মবহির্ভূত বলে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড(বিসিবি)।
ক্রিকেটারদের সঙ্গে বিসিবি’র চুক্তি অনুসারে, একজন জাতীয় দলের খেলোয়াড় কোনো টেলিকম কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করতে পারবেন না। আজ দেশের এক দৈনিকে বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ‘ সে(সাকিব) কোনো টেলিকম কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করতে পারেনা। এবং কেন পারেনা তা আমাদের চুক্তিপত্রে লেখা আছে।’ মূলত এর আগে এমন চুক্তির ফলে বোর্ড আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েন। বিসিবি প্রধান সেই প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘রবি(টেলিকম কোম্পানি) আমাদের টাইটেল স্পন্সর ছিল। এর মাঝে গ্রামীণফোন বিড না করে কয়েকজন খেলোয়াড়কে বাগিয়ে নেয় তাও মাত্র এক বা দুই কোটি টাকার বিনিময়ে। এতে কি হলো? তিন বছরে বোর্ড ৯০ কোটি টাকা হারালো। কয়েকজন খেলোয়াড়ের লাভের জন্য বোর্ড ভুগবে তা হতে পারেনা।