মাইনুল হক সান্টু, চারঘাট প্রতিনিধি:
রাজশাহীর চারঘাটে র্যালী ও আলোচনার মধ্য দিয়ে কমিউনিটি পুলিশিং ডে উদযাপন করা হয়েছে। শনিবার বিকেলে জেলা পুলিশের উদ্যোগে একটি বিশাল র্যালী সারদা সরকারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গন থেকে বের হয়ে বাজারের বিভিন্ন রাস্তা প্রদক্ষিন করে। র্যালীতে ৯ টি উপজেলায় গঠিত কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সদস্যরা অংশ গ্রহন করেন। পরে বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমী সারদার অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভায় অনুষ্ঠিত হয়।
“পুলিশের সঙ্গে করি কাজ, মাদক-জঙ্গি-সন্ত্রাসমুক্ত দেশ গড়ি” এই শ্লোগানে জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) শহিদুল্লাহ এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, পুঠিয়া-দুর্গাপুর আসনের সাংসদ ডা: মুনসুর রহমান, রাজশাহী সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাংসদ আবিদা আনজুম মিতা, রাজশাহী বিশ্ব বিদ্যালয়ের প্রক্টর ড: লুৎফর রহমান, অতিরিক্ত ডিআইজি (কারুকলাম) বাসুদেব বনিক, অতিরিক্ত ডিআইজি মিরাজ উদ্দিন আহম্মেদ, চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মেহেদী হাসান তালুকদার, চারঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ নাজমুল হক, উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ফকরুল ইসলাম,পৌর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক একরামুল হক, মাদক প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি সাইফুল ইসলাম বাদশা, বাগমারা উপজেলা চেয়ারম্যান অনিল কুমার সরকার, পুঠিয়ার উপজেলা চেয়ারম্যান জিএম হিরা বাচ্চু, মোহনপুরের উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুস ছালাম, বাঘা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে পুলিশ সুপার শহিদুল্লাহ পিপিএম বলেন, পুলিশের সঙ্গে জনগনের দুরত্ব কমিয়ে আনতে এবং আইন শৃংখলা উন্নত করতেই কমিউনিটি পুলিশিং সেবা চালূ করা হয়েছে। যাতে করে সমাজে অনেক ঘটনা পুলিশের পক্ষে জানা সম্ভব নয়। তবে কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সদস্যরা তথ্য দিয়ে পুলিশের সঙ্গে কাধে কাধ মিলে কাজ করলে অবশ্যই এলাকার আইন শৃংখলা উন্নত হবে। তাই আগামীতে মাদক, জঙ্গি ও সন্ত্রাস দমনে পুলিশের সঙ্গে কাধে কাধ মিলে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, সরকার জনগনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ বাহিনীকে আধুনিক পুলিশ বাহিনীতে রুপান্তরিত করতে বিভিন্ন ধরনের পরিকল্পনা গ্রহন করেছে। পুলিশ বাহিনীও সরকারের সেই সকল পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে দিনকে দিন নয়, রাতকে রাত নয় ২৪ ঘন্টায় অবিরাম আপনাদের সেবা দিয়ে যাচ্ছে পুলিশ বাহিনী। আপনাদের এলাকায় যে কোন ধরনের অপরাধ প্রবনতা দেখা দিলে তাৎক্ষনিক সময়ে ৯৯৯ নম্বরের ফোন দিলে তাৎক্ষনিক সময়েই পৌছে যাবে আইন প্রয়োগ কারী সংস্থার সদস্যরা। তাই র্নিভয়ে পুলিশকে তথ্য দিন, নিজে সেবা নিন অন্যকে সেবা দিন।