নাগরিক প্রতিবেদক: বিরল রোগে আক্রান্ত হয়েছেন নাচোলের মনিরা। সারাগায়ে লোম গজানো বিরল রোগে আক্রান্ত মনিরার স্বাভাবিক বেড়ে ওঠাও বন্ধ হয়ে গেছে।এ রোগের চিকিৎসা করাতে পারছেন না দিন মজুর বাবা। যে বয়সে আনন্দ-ফূর্তি ও খেলাধুলায় মেতে থাকার কথা, সেই বয়সেই লোকলজ্জায় ঘরের কোণে বসে থাকে মনিরা।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার গোডাউনপাড়ার মাসুদুজ্জামান মামুনের ছোট শিশু তাসফিয়া জাহান মনিরা।মাসুদুজ্জামান জানিয়েছেন, দুই মেয়ে তার। বড় মেয়ে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে। আর ছোট মেয়ের বয়স মাত্র চার বছর চার মাস। জন্মের পর থেকেই তার শরীরের কিছু অংশে লম্বা লম্বা পশমে আবৃত দেখা যায়। এরপর রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে বড় হওয়ার পর চিকিৎসা করানোর পরামর্শ দেন। কিন্তু এখন এই পশম সারা শরীরেই ছড়িয়ে পড়ছে। মাসুদুজ্জামান জানান, প্রথমে তিলের মতো ছোট বের হলেও পরে সেটা বড় আকার ধারণ করছে। এখন গোটা শরীরজুড়ে বিসত্মার ঘটছে, এমনকি মুখের মধ্যেও। পিঠের ছোট্ট একটি টিউমার থেকে এটির উৎপত্তি। বর্তমানে টিউমারটিও বাড়ছে। চিকিৎসক মুনিরার চিকিৎসার জন্য ভারত নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। এখন মেয়ের চিকিৎসার জন্য তার কাছে কোন টাকা নেই।তিনি বলেন, আমার মেয়ের জন্য আমি আগে এতটা ভাবিনি। বর্তমানে এটি অনেক বেড়ে যাচ্ছে। সাম্প্রতিককালে তার কষ্টও বাড়ছে। মেয়ের সুস্থতার জন্য তিনি সকলের সাহায্য কামনা করেন।
তাসফিয়ার মা তানজিলা খাতুন জানান, বর্তমানে তার মেয়ের সমসত্ম শরীর পশুর মতো লোমে ভরে গেছে। এমনকি মুখের তালুতে কালসিটে দাগও ছড়িয়ে পড়েছে। গরমের দিনে শিশুর শরীর থেকে আগুনের মতো তাপ বের হতে থাকে। ভিজে কাপড় পরিয়ে দিনরাত ফ্যানের নিচে রাখতে হয়। বিদ্যুৎ না থাকলে পাখার বাতাস করতে হয়।তিনি আরও জানান, মনিরার ছয় দিন বয়সে রামেক হাসপাতালের মেডিকেল বোর্ড এটিকে বিরল চর্ম রোগ বলে সনাক্ত করেছেন। শিশুটির ৩/৪ বছর বয়স হলে উন্নত চিকিৎসার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। দিনমজুর পিতা-মাতার শিশু তাসফিয়ার উন্নত চিকিৎসা করানোর সামর্থ নেয়। তাই বর্তমানে হোমিও চিকিৎসা চলছে। (সূত্র: সোনালী সংবাদ)