নাগরিক প্রতিবেবদক: মেহেদি রঙ্গানো হাত, গায়ে গহনা, পায়ে নুপুর। পরনে লাল বেনারসি জড়ানো অবস্থাতেই নববধূ সুইটি খাতুন পূর্ণিমার (১৮) মরদেহ পেয়েছে জেলেরা।
রাজশাহীর পদ্মা নদীতে নৌকাডুবির চারদিন পর সোমবার সকাল ৭ টার দিকে নগরীর উপকন্ঠ কাটাখালী শ্যামপুরে পূর্ণিমার মরদেহ পেয়েছে জেলেরা। পূর্ণিমা রাজশাহীর পবা উপজেলার ডাঙেরহাট গ্রামের শাহীন আলীর মেয়ে। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় নৌকা ডুবির ঘটনায় মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৯জনে। সকালে নববধূর মরদেহ পাওয়ার পর উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করে প্রশাসন।
গত শুক্রবার ৬ মার্চ সন্ধ্যায় পদ্মার চরে বৌ-ভাত অনুষ্ঠান শেষে বর-নববধূসহ ৪১জন যাত্রী নিয়ে দুইটি নৌকা কনে পক্ষের বাড়িতে ফিরছিল। ফেরার পথে নগরীর শ্রীরামপুর এলাকায় দুইটি নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বর রুমনসহ ৩২ জনকে শুক্রবার রাতেই জীবিত উদ্ধার করা হয়। পরে পর্যায় ক্রমে
৮ জনের লাশ উদ্ধার করে পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করে প্রশাসন। একই সাথে লাশ দাফন-কাফনের জন্য জনপ্রতি ২০ হাজার টাকা করে অনুদান দেয় জেলা প্রশাসন।
রাজশাহী সদর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আবদুর রউফ জানিয়েছেন, নববধূ সুইটির মরদেহ উদ্ধারের মধ্য দিয়ে তাদের চারদিনের উদ্ধার অভিযান শেষ হলো। রাজশাহীর পদ্মা নদীতে গত শুক্রবার (৬ মার্চ) নৌকাডুবির ঘটনায় নিখোঁজ নয়জনের মধ্যে কেবল সুইটির মরদেহই পাওয়া যাচ্ছিল না। সকালে সুইটির মরদেহ উদ্ধার হওয়ায় অন্য কেউ আর অবশিষ্ট রইল না। এতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো নয়জনে। আর ঘটনার পর বিভিন্নভাবে উদ্ধার হয়ে এসেছেন আরও ৩২ জন।
