নাগরিক ডেস্ক: ঈদের দিনই ভূমিকম্পে কেঁপে উঠলো ইরান। স্থানীয় সময় দুপরের পর দেশটির পশ্চিমাঞ্চলে এই ভূকম্পন অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ১।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইরানের পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ কোহগিলুইয়ে ও বুইয়ার আহমাদ প্রদেশে আজ রোববার ভূমিকম্পটি অনুভূত হয়েছে। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার দেয়া তথ্য অনুযায়ী, রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ১।
দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন চ্যানেল ও বার্তা সংস্থাগুলোতেও ভূমিকম্পের এই খবর জানানো হয়েছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো ক্ষয়ক্ষতি কিংবা হতাহতের ঘটনা ঘটেছে কিনা তা কেউই নিশ্চিত করে বলতে পারেনি। পরবর্তী সময়ে হয়তো তা জানা যাবে।
ইরানসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আজ পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উদযাপিত হচ্ছে। করোনাভাইরাস থেকে নিরাপদ থাকতে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্বের বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়েই অন্যরকম পরিবেশে হচ্ছে এবারের ঈদ।
নাগরিক ডেস্ক:
সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলার শেলাচাপরী গ্রামের মধ্যপাড়া জামে মসজিদে ঈদুল ফিতরের নামাজে সিজদা রত অবস্থায় ইমাম আইয়ুব আলী (৭০) মৃত্যু হয়েছে । (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহী রাজিউন)।সোমবার সকালে ঐ মসজিদে ঈদের নামাজের প্রথম জামাত পরিচালনা করছিলেন।
ঈদুল ফিতরের সকাল সাড়ে আটটার নামাজের ইমাম ছিলেন আইয়ুব আলী। নামাজ শুরুর করার পর প্রথম রাকাতের ২য় সিজদায় গিয়ে হঠাৎ ঢলে পড়েন। তখনই তার মৃত্যু হয়। আইয়ুব আলী উপজেলার নন্দলালাপুর আলিম মাদ্রাসার সিনিয়র আরবি প্রভাষক ও এলাকার প্রবীন সমাজসেবক ছিলেন।
নাগরিক ডেস্ক:বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে মৃত ব্যক্তির নিরাপদভাবে জানাজা ও দাফন করার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) নির্দেশনা অনুসরণ করার পরামর্শ দিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন (ইফা)।
সোমবার (২৩ মার্চ) ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আনিস মাহমুদের সই করা এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, বিভিন্ন দেশে প্রতিদিনই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া যাচ্ছে এবং নতুন নতুন লোক এ ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে। বাংলাদেশেও সম্প্রতি ২৭ জন ব্যক্তি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন; মারা গেছেন একাধিক ব্যক্তি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক মৃত ব্যক্তির দাফন/জানাজার বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) গাইড লাইন মোতাবেক একটি নির্দেশনা তৈরি করা হয়েছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশের প্রখ্যাত আলেম-ওলামাদের সঙ্গে মতবিনিময় করে ওই নির্দেশনার বিষয়ে শরীয়তের বিধানও অনুসরণ করা হয়েছে।
এ অবস্থায়, করোনা ভাইরাস সংক্রমণে মৃত ব্যক্তির দাফন ও জানাজার বিষয়ে উল্লিখিত ‘করোনা (কোডিভ-১৯) রোগে মৃতব্যক্তির মৃতদেহ নিরাপদভাবে দাফন/সৎকার/ব্যবস্থাপনার নির্দেশনা বা স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসেজিও-এর (এসওপি)’ অনুসরণ করার জন্য সবাইকে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।
এ বিষয়ে জনমনে কোনো বিভ্রান্তি, গুজব বা শঙ্কা যাতে না ছড়াতে পারে সেজন্য সঠিকভাবে সবার সচেতনতা সৃষ্টির জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বিভাগ/জেলা/উপজেলা পর্যায়ের কর্মী, মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের শিক্ষকসহ মসজিদের ইমাম/খতিব/মুয়াজ্জিন সাহেবদের বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়েছে।
নাগরিক প্রতিবেবদক: মেহেদি রঙ্গানো হাত, গায়ে গহনা, পায়ে নুপুর। পরনে লাল বেনারসি জড়ানো অবস্থাতেই নববধূ সুইটি খাতুন পূর্ণিমার (১৮) মরদেহ পেয়েছে জেলেরা।
রাজশাহীর পদ্মা নদীতে নৌকাডুবির চারদিন পর সোমবার সকাল ৭ টার দিকে নগরীর উপকন্ঠ কাটাখালী শ্যামপুরে পূর্ণিমার মরদেহ পেয়েছে জেলেরা। পূর্ণিমা রাজশাহীর পবা উপজেলার ডাঙেরহাট গ্রামের শাহীন আলীর মেয়ে। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় নৌকা ডুবির ঘটনায় মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৯জনে। সকালে নববধূর মরদেহ পাওয়ার পর উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করে প্রশাসন।
গত শুক্রবার ৬ মার্চ সন্ধ্যায় পদ্মার চরে বৌ-ভাত অনুষ্ঠান শেষে বর-নববধূসহ ৪১জন যাত্রী নিয়ে দুইটি নৌকা কনে পক্ষের বাড়িতে ফিরছিল। ফেরার পথে নগরীর শ্রীরামপুর এলাকায় দুইটি নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বর রুমনসহ ৩২ জনকে শুক্রবার রাতেই জীবিত উদ্ধার করা হয়। পরে পর্যায় ক্রমে
৮ জনের লাশ উদ্ধার করে পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করে প্রশাসন। একই সাথে লাশ দাফন-কাফনের জন্য জনপ্রতি ২০ হাজার টাকা করে অনুদান দেয় জেলা প্রশাসন।
রাজশাহী সদর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আবদুর রউফ জানিয়েছেন, নববধূ সুইটির মরদেহ উদ্ধারের মধ্য দিয়ে তাদের চারদিনের উদ্ধার অভিযান শেষ হলো। রাজশাহীর পদ্মা নদীতে গত শুক্রবার (৬ মার্চ) নৌকাডুবির ঘটনায় নিখোঁজ নয়জনের মধ্যে কেবল সুইটির মরদেহই পাওয়া যাচ্ছিল না। সকালে সুইটির মরদেহ উদ্ধার হওয়ায় অন্য কেউ আর অবশিষ্ট রইল না। এতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো নয়জনে। আর ঘটনার পর বিভিন্নভাবে উদ্ধার হয়ে এসেছেন আরও ৩২ জন।
নাগরিক ডেস্ক: নওগাঁ সদর হাসপাতালে মেহেদী হাসান (২৭) নামে এক যুবককে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত সন্দেহে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মেহেদির বাড়ি নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার শ্রীমন্তপুর ইউনিয়নের পাতলা পাড়া গ্রামের। তার পিতার নাম আব্দুল খালেক। মেহেদী সিঙ্গাপুর প্রবাসী।
জানা গেছ, গত শনিবার সিঙ্গাপুর থেকে মেহেদী হাসান দেশে এসে হঠাৎ জ্বরে আক্রান্ত হয়। এতে পরিবারের সদস্যদের মাঝে সন্দেহ দেখা দিলে হাসপাতালে নিয়ে আসে। চিকিৎসকরা তার জ্বরের কারণ অনুসন্ধানে বিশেষ বিভাগে ভর্তি করেছে।
নওগাঁ সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক মনির আলী আকন্দ বলেন, সিঙ্গাপুর প্রবাসী মেহেদী হাসান জ্বরে আক্রান্ত হলে সন্দেহজনকভাবে হাসপাতালে বিশেষ ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। তবে মেহেদী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত কি-না সেটি এখনো নিশ্চিত নয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। (তথ্য সূত্র: অনলাইন)
নাগরিক প্রতিবেদক: রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় প্রাইভেট কার গাছের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে সাতজন নিহতের ঘটনায় আহত আরও এক ব্যক্তি মারা গেছেন। এ নিয়ে মোট ৮ জন প্রাণ হারালেন। রোববার সকাল ৬টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রমজান আলীর (৩৫) মৃত্যু হয়। নিহত রমজান গোদাগাড়ী উপজেলার কেল্লাবারইপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। নিহতদের মধ্যে সাতজনই এক পরিবারের বলে জানা গেছে।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের উপ-পরিচালক সাইফুল ফেরদৌস জানান, দুর্ঘটনার আহত পাঁচজনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। এদের মধ্যে চারজন শনিবার মারা যান। আর রমজান আলী নামের একজনকে আইসিইউতে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিল। রোববার সকালে তিনিও মারা গেছেন। এর আগে তার স্ত্রী আছিয়া বেগম (৩০) ঘটনাস্থলে ও মেয়ে রাফিয়া (২) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। এছাড়াও এ ঘটনায় নিহতরা হলেন, রামজান আলীর ভাইরা রাজশাহী নগরের মুনাফের মোড় এলাকার আক্কাস আলী আকাশ (৪০), তার স্ত্রী হোসনে আরা (৩৫), তাদের মেয়ে মুসফিরা (৭) ও তিন মাসের ছেলে আদিব হাসান ও নগরের মেহেরচন্ডীর মতিউর রহমানের ছেলে প্রাইভেট কার চালক মাহবুবুর রহমান (৩৫)।
গোদাগাড়ী উপজেলার মহিষাল বাড়িতে শ্যালকের বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পরিবার নিয়ে যাচ্ছিলেন আক্কাস আলী ও রামজান আলী। কাদিরপুরে কারটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে দুমড়েমুচড়ে উল্টে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজন নিহত হন। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর আরও চারজনের মৃত্যু হয়।
নাগরিক প্রতিবেদক: রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় ৭ জন নিহত হয়েছে। শনিবার দুপুরে রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহাসড়কের কাদিপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, রাজশাহী নগরীর দেবিশিংপাড়া এলাকার মৃত ফজলুর রহমানের ছেলে মোশাববের আলী ওরফে আক্কাস (৪০), তার স্ত্রী হাসনারা (৩৫), চার মাসের শিশু সন্তান আদিব আল হাসান, শিশু মুসফেরা (৮), চাঁপাইনবাবগঞ্জের চর চাকলা দেবীনগর এলাকার আলী মুর্তজার মেয়ে আশিয়া (৩০), মেহেরচন্ডী এলাকার মতিউর রহমানের ছেলে প্রাইভেটকার চালক মাহবুবুর রহমান (৩৫) ও অজ্ঞাত এক নারী (২২)।
রাজশাহীর পুলিশ সুপার মো. শহিদুল্লাহ গনমাধ্যমকে জানান, নিহতরা শনিবার দুপুরে প্রাইভেটকারটি (ঢাকা মেট্রো-খ ১১-৩২৬০) রাজশাহী থেকে গোদাগাড়ীতে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলো। পথে গোদাগাড়ীর কাজীপুর এসে প্রাইভেটকারটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজন মারা যান। গুরুতর আহতদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে এসে এক নারী ও শিশু মারা যায়। স্থানীয়রা জানান, দুর্ঘটনার পর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স প্রাইভেটকারের ভেতর থেকে তিনটি লাশ উদ্ধার করে। মর্মান্তিক এ সড়ক দুর্ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
নাগরিক ডেস্ক: ঢাকাই চলচ্চিত্রের সর্বকালের জনপ্রিয় নায়কদের অন্যতম সালমান শাহ। মৃত্যুর এতো বছর পরেও তাকে নিয়ে কৌতুহলের শেষ নেই ভক্তদের। প্রিয় নায়কের রহস্যঘেরা মৃত্যু আজও মানুষকে ভাবনার দ্বন্দ্বে ফেলে দেয়। অবশেষে তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তার মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন করেছে। তদন্তে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য।
সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় ধানমণ্ডিতে পিবিআই সদর দফতরে এক সংবাদ সম্মেলনে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য তুলে ধরেন পিবিআইয়ের মহাপরিচালক ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার।
স্ত্রী সামিরা এবং চিত্রনায়িকা শাবনূর দুইজনকেই প্রচণ্ড ভালোবাসতেন প্রয়াত চিত্রনায়ক সালমান শাহ। এ কারণে শাবনূরকেও বিয়ে করে সংসার করতে চেয়েছিলেন সালমান। কিন্তু সামিরা তাতে রাজি হননি। এমন সব তথ্য উঠে এসেছে পুলিল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআইর) তদন্ত প্রতিবেদনে।
মনোজ কুমার মজুমদার বলেন, পিবিআইয়ের তদন্তে সালমান শাহকে হত্যার অভিযোগের সপক্ষে কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। পারিবারিক কলহ ও মানসিক যন্ত্রণায় তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
দীর্ঘ তদন্তের বিষয়ে পিবিআইপ্রধান বলেন, ২০১৬ সালে পিবিআই তদন্ত শুরু করে। মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার জবানবন্দি গ্রহণ করতে বেশি সময় লেগেছে। ১৬৪ ধারায় ১০ জনের জবানবন্দি নিয়েছে পিবিআই। সালমানের তৎকালীন স্ত্রী সামিরাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এ ছাড়া রয়েছে আরও কয়েকজনের সাক্ষ্য। নতুন করে আলামত হিসেবে একটি ফ্যান জব্দ করা হয়েছে। ধারণা করা হয়, ওই ফ্যানে ঝুলেই আত্মহত্যা করেছিলেন সালমান।
১৯৯৩ সালে ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ ছবি দিয়ে দেশীয় চলচ্চিত্রে আগমন ঘটে সালমান শাহর। স্মার্টনেস-গ্লামার ও পারসোনালিটির কারণে রাতারাতি তরুণ প্রজন্মের আইকনে পরিণত হয়ে ওঠেন এ নায়ক। মাত্র সাড়ে তিন বছরের ক্যারিয়ারে ২৭টি ছবি করেন। যার অধিকাংশই সুপারহিট। মৌসুমীর সঙ্গে জুটি বেঁধে চলচ্চিত্র অঙ্গনে পা রাখলেও সালমানের বেশিরভাগ ছবির নায়িকা শাবনূর। এই জুটি তখন এমন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল যে, যে কোনো ছবি মুক্তি পেলেই দর্শক প্রেক্ষাগৃহে হুমড়ি খেয়ে পড়তেন। একপর্যায়ে শাবনূরের সঙ্গে বিবাহিত সালমানের সম্পর্ক নিয়ে গুঞ্জন ওঠে। এর পর কলহ দেখা দেয় সালমানের পরিবারে।
১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর সালমানের মৃত্যু হয়। সেই থেকে তার মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা ছিল। হত্যা নাকি আত্মহত্যা? অবশেষে পিবিআই জানাল, আত্মহত্যা করেছিলেন সালমান।
নাগরিক প্রতিবেদক: সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ভিড়ের চাপে মঞ্চ ভেঙে পড়ে গেলেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। বৃহস্পতিবার বিকেলে নগরীর সাহেববাজার বড় মসজিদ প্রাঙ্গনে মহানগর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন ও রাসিক মেয়রকে সংবর্ধনার সময় এ ঘটনা ঘটে। পরে পাশে থাকা দলীয় কর্মীরা তাকে উদ্ধার করেন। এতে মেয়র বাম পায়ে আঘাত পেয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী আওয়ামী লীগের নেতারা জানায়, রাজশাহী মহানগরীর অবকাঠামো উন্নয়নে একনেকে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এ জন্য প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন ও রাসিক মেয়রকে সংবর্ধনার আয়োজন করে মহানগর আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠন। মেয়র লিটনকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানাতে দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা মঞ্চে উঠতে থাকলে এক পর্যায়ে মঞ্চটি ভেঙে পড়ে। এসময় মেয়র লিটন পড়ে যেতে লাগলে দলীয় কর্মীরা তাকে উদ্ধার করেন। মঞ্চটি তৈরী করাও হয়েছে দুর্বলভাবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শফিকুর রহমান বাদশা বলেন, বিপুল সংখ্যক দলীয় নেতাকর্মী একসঙ্গে মঞ্চে উঠলে তা ভেঙে যায়। এসময় মেয়রও পড়ে যেতে লাগলে কর্মীরা তাকে উদ্ধার করেন। মেয়র বাম পায়ে আঘাত পেয়েছেন। পরে মঞ্চের নিচে দাড়িয়ে তিনি নেতাকর্মীকের কাছ থেকে ফুলের শুভেচ্ছা গ্রহন করেন।
নাগরিক প্রতিবেদক: জাতীয় দৈনিক “আমার সংবাদ” পত্রিকা স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের পক্ষে সোচ্চার থাকবে এ আশাবাদ ব্যক্ত করে আলোচনা সভায় অতিথিবৃন্দ বলেন, দেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা থাকার কারণেই বিভিন্ন গণমাধ্যম প্রকাশনার সংখ্যা বেড়েই চলেছে। গণমাধ্যম গুলো মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। পাশাপাশি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার ব্যপারেও গণমাধ্যম কার্যকর ভূমিকা রাখছে। আর এ ধারাবাহিকতা অব্যহত রাখার জন্য স্থানীয় গণকর্মীদের সততা ও দেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে নিবেদিত হয়ে কাজ করার আহ্বার জানান।
গতকাল সোমবার রাজশাহী প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত দৈনিক আমার সংবাদ পত্রিকার ৮ম বর্ষে পদার্পন উপলক্ষে আলোচনা সভায় অতিথিবৃন্দ এসব কথা বলেন। রাজশাহী প্রেসক্লাব সভাপতি ও সিনিয়র সাংবাদিক সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা ও সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম সভাপতি শাজাহান আলী বরজাহান, বিশিষ্ট লেখক ও প্রাবন্ধনিক প্রফেসর রুহুল আমিন প্রামানিক, প্রবীন সাংবাদিক ও কলামিষ্ট প্রশান্ত কুমার সাহা, দৈনিক রাজশাহী সংবাদ পত্রিকার সম্পাদক আহসান হাবীব অপু, দৈনিক রাজশাহী আলো পত্রিকার সম্পাদক আজিবর রহমান, দৈনিক উপচার পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক নূরে ইসলাম মিলন, দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার ষ্টাফ রিপোর্টার আনিসুজ্জামান আনিস, দৈনিক মানবকণ্ঠ পত্রিকার ষ্টাফ রিপোর্টার কামরুজ্জামান বাদশা, দৈনিক ভোরের ডাক পত্রিকার রাজশাহী প্রতিনিধি শাহ জামাল, দৈনিক নতুন প্রভাত পত্রিকার চীফ রিপোর্টার ওমর ফারুক, দৈনিক রাজশাহী সংবাদ পত্রিকার চীফ রিপোর্টার হাবিব আহমেদ, ইংরেজী দৈনিক এশিয়ান এজ এর রাজশাহী প্রতিনিধি সাকিব আল হাসান, অনলাইন নিউজ পোর্টাল নাগরিক সময় এর ষ্টাফ রিপোর্টার মেহজাবিন জান্নাত, রাজশাহী ফটো জানালিষ্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি আসাদুজ্জামান আসাদ, রাবি প্রেসক্লাব সভাপতি সালমান শাকিল ও সেক্রেটারী বেলাল হোসাইন, শিক্ষা স্কুল এন্ড কলেজ এর অধ্যক্ষ ইব্রাহীম হোসেনসহ নগরীতে কর্মরত বিভিন্ন পত্রিকার গণমাধ্যম কর্মী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
পত্রিকার ব্যুরো চীফ মহিব্বুল আরেফিন দৈনিক আমার সংবাদ পত্রিকার সম্পাদকের পক্ষ থেকে সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, পত্রিকাটি সংবাদ প্রকাশে ‘নতুনত্ব’ এবং গত সাত বছর ধরে সাধারন মানুষের মুখপত্র হিসেবে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে সাহসীকতার পরিচয় দিয়ে আসছে। যার ধারাবাহিকতায় পত্রিকাটি আজ দেশের ১০তম পত্রিকা হিসেবে তালিকা ভূক্ত হতে পেরেছে।
পাশাপাশি স্বাধীনতা ও দেশের উন্নয়নে পত্রিকাটি সার্বিক ভাবে তার স্থান থেকে কাজ করে যাচ্ছে। এসময় দৈনিক আমার সংবাদ পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি জনাব আলী, বরেন্দ্র অঞ্চল প্রতিনিধি ড. সাদিকুল ইসলাম, ফটোগ্রাফার সৌরভ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা শেষে কেক কেটে পত্রিকাটির ৭ম বর্ষ উদযাপন করা হয়।