নাগরিক ডেস্ক: রিতিমতো রেকর্ড গড়ার মতোই একটি ঘটনা। একজন ব্যক্তিই বিয়ে করেছেন প্রায় ২৮৬টি। চোখ কপালে উঠার মতো ঘটনা ঘটেছে আমাদের এই বাংলাদেশেই। নাম তার জাকির হোসেন বেপারি। গ্রামের বাড়ি লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুরে। তবে এতগুলো বিয়ে করেছেন মূলত প্রতারণার পেশা থেকেই।
তথ্য সূত্র:এফএনএস (জিন্নাতুল ইসলাম জিন্না; লালমনিরহাট) : |( আপডেট: ২৩ নভেম্বর, ২০১৯, ৬:১৬ পিএম)
কাউকে কাবিনে, কাউকে শুধু কালেমা পড়েই বিয়ে করেন তিনি। নিজেই এমন একটি খুদেবার্তা দিয়েছিলেন প্রতারণার শিকার হওয়ার পর মামলা করা এক নারীকে। অবশেষে তেজগাঁওয়ের একটি ধর্ষণ মামলায় গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওই প্রতারক জাকিরকে গ্রেফতার করেছে তেজগাঁও থানা পুলিশ।
তেজগাঁও থানার ওসি শামীম অর রশিদ তালুকদার জানান, এই ব্যক্তি মূলত একজন মারাত্মক প্রতারক। প্রতারণার মাধ্যমেই সে এতগুলো বিয়ে করেছে বলে প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে। তবে বিষয়গুলো সম্পর্কে ভালোভাবে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
আদিতমারী থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি তদন্ত) মোঃ সাইফুল ইসলাম জানান, প্রতারক জাকিরের বিরুদ্ধে মিরপুর থানায় এক নারী মামলা করেছিলেন। তার সঙ্গে প্রতারণা করে বিয়ে বা শারীরিক সম্পর্ক গড়েছিলেন।
সেই নারী মামলা করার কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে তার মোবাইল ফোনে মেসেজ দিয়ে জাকির লিখেছিলেন, ‘তোর মতো ২৮৬ জনকে পার করলাম। আর তুই মামলা করলি।’ মূলত তার ওই খুদেবার্তা থেকেই তথ্য জানা গেছে। তবে প্রাথমিক তদন্তে বোঝা যাচ্ছে, প্রতারণার মাধ্যমে জাকির অনেক মেয়েকেই বিয়ে বা তাদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়েছেন। এ বিষয়ে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য জাকিরকে আদালতে হাজির করার কথা রয়েছে।
নাগরিক ডেস্ক:
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) বিরোধী ও সমর্থকদের সংঘর্ষে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ভারতের দিল্লিতে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৪২ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন দুই শতাধিক।
পুলিশের সামনেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদসহ মুসলিমদের অসংখ্য বাড়িঘর ও দোকানপাটে বেছে বেছে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়েছে। ‘জয় শ্রী রাম’ ধ্বনি দিয়ে মুসলমানদের প্রকাশ্যে পেটানো হয়েছে। সিএএ-এর জেরে ভারতে সবচেয়ে নাজেহাল অবস্থায় রয়েছেন সেখানকার মুসলমানরা। তাদের প্রতিটা দিনই কাটছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায়।
যেই নাগরিকত্ব আইন নিয়ে এত কিছু, সেখানে কি-না জানা গেল, খোদ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নাগরিকত্বের কোনো কাগজপত্র নেই; জন্মসূত্র তিনি ভারতীয়।
তথ্যের অধিকার আইনে (আরটিআই) মোদির নাগরিকত্ব নিয়ে এক ব্যক্তির প্রশ্নের জবাবে এমনটাই জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দফতর (পিএমও)। ভারতের প্রভাবশালী পত্রিকা আনন্দবাজার রোববার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি শুভঙ্কর সরকার নামে এক ব্যক্তি আরটিআই-এর মাধ্যমে জানতে চান প্রধানমন্ত্রীর নাগরিকত্বের কাগজপত্র রয়েছে কি-না। তারই উত্তরে পিএমওর সচিব প্রবীণ কুমার জানান, ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনের ৩ ধারা অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী জন্মসূত্রেই ভারতীয়।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) নিয়ে দেশজুড়ে বিক্ষোভের মধ্যেই এই তথ্য চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে খোদ রাজনৈতিক মহলে।তবে মোদির নাগরিকত্বের প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের এ জবাবকে ‘অস্পষ্ট’ বলেছে ভারতের হায়দরাবাদের উর্দুভাষী পত্রিকা সিয়াসাত।
সিমি পাশা নামের এক প্রবীণ সাংবাদিক প্রশ্ন তুলেছেন, ‘১৯৫৫ সালের ভারতের নাগরিকত্ব আইনের ৩ ধারা অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির যদি তার নাগরিকত্ব নিবন্ধনের প্রয়োজন না হয়, তাহলে অন্যদের বেলায় এ নির্দেশ কেন?’
ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে এর আগে একাধিকবার জানানো হয়, ২০১১ ও ২০১৫ সালের জাতীয় জনগণনা পঞ্জি অনুসারে যাদের পরিচয়পত্র দেয়া হয়েছে, এই পরিচয়পত্র যাদের কাছে পাওয়া যাবে না তারা নাগরিক না।
তবে দেশের জনগণের বড় অংশের কাছেই সেই পরিচয়পত্র নেই। আর এ কারণেই বিরোধীরা বরাবর একটা প্রশ্ন ছুড়ে দিচ্ছেন-যদি এই বিরাট গোষ্ঠী দেশের নাগরিকই না হয়ে থাকে, বিজেপি তাহলে কাদের ভোটে পেয়ে ক্ষমতায় এল। অবশ্য তার জবাব দেননি মোদি।
নতুন নাগরিকত্ব আইনে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে প্রতিবেশী বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান থেকে ভারতে পাড়ি জমানো হিন্দু, শিখ, জৈন, পার্সি, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টানরা নাগরিকত্ব পাবেন বলে বিধান রাখা হয়েছে। তবে এই আইনে দেশটিতে আশ্রয় নেয়া মুসলিমদের নাগরিকত্বের ব্যাপারে কোনও কিছুই বলা হয়নি।
গত বছর ভারতের পার্লামেন্টের উভয়কক্ষে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন পাস হয়ে যাওয়ার পর দেশটির বিভিন্ন প্রান্তে সব ধর্মের মানুষ এর বিরোধিতায় বিক্ষোভ শুরু করে। বিক্ষোভ দমনে ভারতের নিরাপত্তাবাহিনীর সহিংস অভিযানে কয়েক ডজনের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে।
গত বছরের আগস্টে আসামের চূড়ান্ত জাতীয় নাগরিক তালিকা প্রকাশ হয়। এই তালিকা থেকে সেখানকার প্রায় ১৯ লাখ মানুষ ভারতীয় নাগরিকত্ব হারান। এই ১৯ লাখ মানুষ তখন থেকেই তাদের নাগরিকত্বের প্রমাণ দেয়ার চেষ্টা করে আসছেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে জানায়, আসামে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করতে জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি) বাস্তবায়নের সময় নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসেবে জমি এবং ব্যাংকের কাগজপত্রের নথি গ্রহণ করে ভারত সরকার।তবে দেশটির আদালত বলেছেন, ভোটার আইডি কার্ড, জমির রাজস্বের রসিদ, ব্যাংক স্টেটমেন্ট এবং স্থায়ী অ্যাকাউন্ট নম্বর (প্যান) কার্ডের কোনোটিই নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না। কয়েক দশক ধরে ভারতে বসবাস করে এলেও গত বছরের আগস্টে এনআরসির পর বিদেশি ক্যাটাগরির অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় এক নারী আবেদন করলে আসামের গুয়াহাটি হাইকোর্ট তার এ আবেদন নাকচ করে দেয়।
আসামে জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি) তৈরির পর অসংখ্য মানুষ নাগরিকত্ব প্রমাণে ব্যর্থ হওয়ায় তাদের ‘ডিটেনশন’ক্যাম্পে বন্দি রাখা হয়েছে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে।
ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্য অনুসারে ভারতের আসামেই রয়েছে ছয়টি বন্দিশিবির। জাতীয় নাগরিক নিবন্ধন (এনআরসি) ঘিরে আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে অনেককে বন্দি রাখা হয় ওই সব শিবিরে।
গণমাধ্যমের খবরে আরও বলা হয়, আসাম রাজ্যে দেশটির সবচেয়ে বড় বন্দিশিবির নির্মাণের কাজ চলছে। আসামের রাজধানী গুয়াহাটি থেকে ১২৯ কিলোমিটার দূরে গোয়ালপাড়ার মাতিয়ায় ২৫ বিঘা জমির ওপর নির্মিত হচ্ছে এই ডিটেনশন ক্যাম্প বা বন্দিশিবির। ২৫ বিঘা জমির ওপর নির্মাণাধীন দেশটির সবচেয়ে বড় বন্দিশিবিরের প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৬ কোটি রুপি। ন্দিশিবিরের চারদিকে তোলা হয়েছে ২০ থেকে ২২ ফুট উঁচু দেয়াল।
আসাম সরকারের সূত্র উল্লেখ করে সংবাদমাধ্যম জানায়, আরও ১০টি বন্দিশিবির তৈরি করা হবে আসামে। ২০০৯ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে আসামে ছয়টি বন্দিশিবির তৈরি হয়। তবে বন্দিশিবিরের বিষয়টি সবসময়ই অস্বীকার করে আসছে ভারত সরকার। তথ্য সূত্র : জাগো নিউজ।
নাগরিক প্রতিবেদক: রাজশাহী থেকে প্রকাশিত দৈনিক উপচার পত্রিকার প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার বেলা ১২টার সময় কেদুরমোড়ে অবস্থিত দৈনিক উপচার পত্রিকা কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত প্রতিনিধি সভায় পত্রিকার সহ-সম্পাদক মো: নুরে ইসলাম মিলন‘র সভাপতিত্বে ও পত্রিকার চাঁপাইনবাবগঞ্জ নাচোল প্রতিনিধি আব্দুর রহমান মানিকের সঞ্চালনায় রাজশাহী মহানগরীসহ পত্রিকার বিভিন্ন জেলা,উপজেলায় কর্মরত সংবাদ কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় আমামী ১২ই মার্চ বৃহস্পতিবার নাটোর লালপুর গ্রীণভ্যালি পার্কে পত্রিকার প্রতিনিধি ও তাদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বার্ষিক বনভোজনের আয়োজনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে পত্রিকার সহ-সম্পাদক মো: নুরে ইসলাম মিলন বলেন, দৈনিক উপচার পত্রিকাটি এখন নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে। উপচার পত্রিকা একটি বহুল প্রচলিত ও পাঠক নন্দিত পত্রিকা। উপচার এখন আর শুধু কাগজে নয় অনলাইনেও ইতোমধ্যে পাঠকদের হৃদয়ের মণিকোঠায় স্থান করে নিয়েছে। সেই সাথে সুষ্ঠ সুন্দর সমাজ বিনির্মানে সহায়ক হিসেবে এ পত্রিকা সাহসী ও কার্যকরী ভ‚মিকা রাখছে বলে আমি মনে করি।
তিনি আরো বলেন, আজ যারা রাজশাহী থেকে প্রকাশিত অন্যান্য দৈনিক ও ঢাকার জাতীয় দৈনিকে কাজ করছেন তাদের অধিকাংশরাই দৈনিক উপচার হতে উঠে এসে আজ তারা প্রতিষ্ঠিত। পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশে পত্রিকায় কর্মরত সাংবাদিকদের গুলি করে হত্যার চেষ্টা করেও উপচার পত্রিকার লেখনি বন্ধ করতে পারেনি জুয়াড়ী ও সন্ত্রাসীরা। আগামীতেও পারবেনা। সর্বশেষে তিনি পত্রিকার বার্ষিক বনভোজন অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে সাংবাদিকদের বাৎসরিক মূল্যায়ন পুরস্কার দেওয়া হবে বলে ঘোষনা দিয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি “সংবাদ পত্র ও সাংবাদিকতা” বিষয়ের উপর গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা ও সাংবাদিকতার ÿেত্রে সংবাদকর্মীদের যে কোন সমস্যায় পাশে থাকার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
প্রতিনিধি সভায় পত্রিকার মানোন্নয়নে প্রতিনিধিরা তাদের সুচিন্তিত মতামত ও পরামর্শ প্রদান করেন। সভায় সাংবাদিকদের পেশাগত দÿতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন সময় প্রশিÿনের ব্যবস্থা করা, বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে সাংবাদিকদের বাৎসরিক মূল্যায়ন ও সম্মাননা প্রদান সহ গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
মফস্বলের বিভিন্ন সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে মতামত ব্যক্ত করেন গোদাগাড়ী প্রতিনিধি সাইফুল ইসলাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ভ্রাম্মমান প্রতিনিধি আরিফ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ নাচোল প্রতিনিধি আব্দুর রহমান মানিক,দুর্গাপুর প্রতিনিধি রবিউল ইসলাম, মোহনপুর প্রতিনিধি মোজাহারুল ইসলাম, চারঘাট প্রতিনিধি আসাদুল হক মিলন, এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন পত্রিকার চিপ রিপোর্টার এস এম আবুল কাজিম বাবু,সহ-ব্যাবস্থাপক এহেসান হাবীব তারা,নিজস্ব প্রতিনিধি মামুনুর রশিদ,ফটো সাংবাদিক পারভেজ ইসলাম,ফাইসাল আহম্মেদ টকি,হযরোত আলী,আব্দুলাহ আল মারুফ সাওন,কম্পিউটার অপারেটর আশিক ইকবাল অন্তরসহ ব্যবস্থাপনা, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন ম্যানেজার উপস্থিত ছিলেন।
নাগরিক প্রতিবেদক: রাজশাহী নগরীর লক্ষ্মীপুর টিভিপুকুর এলাকায় রফিকুল ইসলাম ভুট্টুর গোয়াল ঘরে আগুনে পুড়ে ৪ গরুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। এসময় আরও ৪টি গরু ঝলসে যায়।
গরুর মালিক রফিকুল জানান, রাত সাড়ে ১২ টার দিকে গোয়াল ঘরের পাশে রান্না শেষে বাসায় যান তারা। পাশাপাশি দুই বাসার রান্নাঘর আছে সেখানে।
রাত আনুমানিক ৩ টার দিকে রফিকুলের বাসার জানালার থাই দিয়ে আগুন দেখতে পান তিনি। অতঃপর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সকে খবর দিলে তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। অগ্নিকাণ্ডে গোয়ালে থাকা চার টা গরু মারা যায় ও চার টা গরু আগুনে ঝলসে যায়।
এ ঘটনায় আগুণের সূত্রপাত এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। এ ব্যাপারে রাজপাড়া থানায় একটি জিডি করা হয়েছে।
নাগরিক প্রতিবেদক: জাতীয় দৈনিক “আমার সংবাদ” পত্রিকা স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের পক্ষে সোচ্চার থাকবে এ আশাবাদ ব্যক্ত করে আলোচনা সভায় অতিথিবৃন্দ বলেন, দেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা থাকার কারণেই বিভিন্ন গণমাধ্যম প্রকাশনার সংখ্যা বেড়েই চলেছে। গণমাধ্যম গুলো মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। পাশাপাশি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার ব্যপারেও গণমাধ্যম কার্যকর ভূমিকা রাখছে। আর এ ধারাবাহিকতা অব্যহত রাখার জন্য স্থানীয় গণকর্মীদের সততা ও দেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে নিবেদিত হয়ে কাজ করার আহ্বার জানান।
গতকাল সোমবার রাজশাহী প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত দৈনিক আমার সংবাদ পত্রিকার ৮ম বর্ষে পদার্পন উপলক্ষে আলোচনা সভায় অতিথিবৃন্দ এসব কথা বলেন। রাজশাহী প্রেসক্লাব সভাপতি ও সিনিয়র সাংবাদিক সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা ও সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম সভাপতি শাজাহান আলী বরজাহান, বিশিষ্ট লেখক ও প্রাবন্ধনিক প্রফেসর রুহুল আমিন প্রামানিক, প্রবীন সাংবাদিক ও কলামিষ্ট প্রশান্ত কুমার সাহা, দৈনিক রাজশাহী সংবাদ পত্রিকার সম্পাদক আহসান হাবীব অপু, দৈনিক রাজশাহী আলো পত্রিকার সম্পাদক আজিবর রহমান, দৈনিক উপচার পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক নূরে ইসলাম মিলন, দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার ষ্টাফ রিপোর্টার আনিসুজ্জামান আনিস, দৈনিক মানবকণ্ঠ পত্রিকার ষ্টাফ রিপোর্টার কামরুজ্জামান বাদশা, দৈনিক ভোরের ডাক পত্রিকার রাজশাহী প্রতিনিধি শাহ জামাল, দৈনিক নতুন প্রভাত পত্রিকার চীফ রিপোর্টার ওমর ফারুক, দৈনিক রাজশাহী সংবাদ পত্রিকার চীফ রিপোর্টার হাবিব আহমেদ, ইংরেজী দৈনিক এশিয়ান এজ এর রাজশাহী প্রতিনিধি সাকিব আল হাসান, অনলাইন নিউজ পোর্টাল নাগরিক সময় এর ষ্টাফ রিপোর্টার মেহজাবিন জান্নাত, রাজশাহী ফটো জানালিষ্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি আসাদুজ্জামান আসাদ, রাবি প্রেসক্লাব সভাপতি সালমান শাকিল ও সেক্রেটারী বেলাল হোসাইন, শিক্ষা স্কুল এন্ড কলেজ এর অধ্যক্ষ ইব্রাহীম হোসেনসহ নগরীতে কর্মরত বিভিন্ন পত্রিকার গণমাধ্যম কর্মী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
পত্রিকার ব্যুরো চীফ মহিব্বুল আরেফিন দৈনিক আমার সংবাদ পত্রিকার সম্পাদকের পক্ষ থেকে সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, পত্রিকাটি সংবাদ প্রকাশে ‘নতুনত্ব’ এবং গত সাত বছর ধরে সাধারন মানুষের মুখপত্র হিসেবে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে সাহসীকতার পরিচয় দিয়ে আসছে। যার ধারাবাহিকতায় পত্রিকাটি আজ দেশের ১০তম পত্রিকা হিসেবে তালিকা ভূক্ত হতে পেরেছে।
পাশাপাশি স্বাধীনতা ও দেশের উন্নয়নে পত্রিকাটি সার্বিক ভাবে তার স্থান থেকে কাজ করে যাচ্ছে। এসময় দৈনিক আমার সংবাদ পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি জনাব আলী, বরেন্দ্র অঞ্চল প্রতিনিধি ড. সাদিকুল ইসলাম, ফটোগ্রাফার সৌরভ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা শেষে কেক কেটে পত্রিকাটির ৭ম বর্ষ উদযাপন করা হয়।
নাগরিক ডেস্ক: কুমিল্লার বরুড়ায় ফরিদ আহাম্মেদ নামে এক ব্যবসায়ীকে গাঁজা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টার অভিযোগে দুই এএসআইকে ক্লোজড করা হয়েছে। রোববার রাতে বরুড়া থানা পুলিশের এএসআই ইব্রাহিম খলিল এবং ইসমাঈল হোসেনকে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়। ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী উপজেলার শাকপুর গ্রামের মৃত আলী মিয়ার ছেলে।
অভিযোগে জানা গেছে, গত ২০ জানুয়ারি রাত ৯টার দিকে উপজেলার শাকপুর গ্রামের ব্যবসায়ী ফরিদ উদ্দিন নিজ কর্মস্থল থেকে বাড়ি ফেরার পথে এএসআই ইব্রাহিম খলিল ও ইসমাইল হোসেন ওই ব্যবসায়ীকে সন্দেহমূলক ভাবে আটক করে। এ সময় একই এলাকার শিপন নামে আরেক কিশোরকেও আটক করা হয়।
ব্যবসায়ী ফরিদ ও কিশোর শিপনকে তল্লাশি করে কোনো প্রকার অবৈধ পণ্য না পাওয়া গেলেও ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তা তাদেরকে আটক করে রাখে। পরে ফরিদ উদ্দিনকে গাঁজা দিয়ে ফাঁসিয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে দালালের মাধ্যমে তার পরিবারের কাছ থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেয়। পরদিন সকালে পুলিশের নিযুক্ত ওই দালাল ফরিদের কাছে আরও ৩০ হাজার টাকা দাবি করেন।
আর আটককৃত দরিদ্র পরিবারের অপর কিশোর টাকা জোগাড় করতে না পারায় তার বাড়ি থেকে একটি ছাগল নিয়ে যাওয়া হয়।
দুই পুলিশ কর্মকর্তার এমন অমানবিক আচরণের প্রতিকার চেয়ে ২২ জানুয়ারি বিকালে কুমিল্লা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ করে ব্যবসায়ী ফরিদ উদ্দিন। এ ঘটনায় পুলিশ সুপার কার্যালয়ের তদন্ত টিম ঘটনার সত্যতা পেয়ে প্রতিবেদন দিলে রোববার রাতে বরুড়া থানার এএসআই ইব্রাহিম খলিল ও ইসমাইল হোসেন ক্লোজড করা হয়।
এ বিষয়ে বরুড়া থানার পরিদর্শক ইকবাল বাহার জানান, প্রশাসনিক কারণে ওই দুই এএসআইকে ক্লোজড করা হয়েছে। সূত্র: যুগান্তর
নাগরিক ডেস্ক: আজকের তারিখটার মধ্যে চোখ ধাঁধানো বিষয় লুকিয়ে আছে, খেয়াল করেছেন কি? এটি একটি আন্তর্জাতিক প্যালিনড্রোম তারিখ। ‘মাস/দিন/বছর’ বা ‘দিন/মাস/বছর’—তারিখটি যেভাবেই লেখেন না কেন এটি কার্যকর হয় যেকোনো বিপরীত দিক থেকে।
০২-০২-২০২০; খেয়াল করুন- উল্টো দিক থেকেও সংখ্যাটি একই।
শব্দ বা সংখ্যা নিয়ে বিভিন্ন শব্দের খেলা যারা খেলে থাকেন, তারা প্যালিনড্রোম নামটির সঙ্গে পরিচিত। প্যালিনড্রোম মানে হল যে শব্দকে সামনে থেকে বা পেছন থেকে পড়লে শব্দের উচ্চারণ আর অৰ্থের কোন বদল হয় না। এ জাতীয় প্যালিনড্রোমের শেষ তারিখটি ছিল ১১-১১-১১১১; প্রায় ৯০০ বছর আগে।
সর্বব্যাপী প্যালিনড্রোমস বলা হয় এ ধরনের তারিখগুলোকে। পরবর্তী ১০১ বছরের জন্য আর এমন কোনো তারিখ পাওয়া যাবে না। আপনাকে ৩ মার্চ, ৩০৩০ অবধি অপেক্ষা করতে হবে সর্বব্যাপী প্যালিনড্রোমস তারিখের জন্য।
মূল গ্রীক শব্দ প্যালিনড্রোমাস থেকে ইংরেজি প্যালিনড্রোম শব্দটি এসেছে। বাংলা ভাষায় একে দ্বিমুখী শব্দ বা সংখ্যা বলা যায়। আপনার জীবনে হয়তো এ দিনটি আর কখনো ঘুরে আসবে না। আপনি জীবনে অনেক জায়গা খাওয়া-দাওয়া সব টাকা-পয়সা বারবার ঘুরে ফিরে আসবে। কিন্তু এ দিনটি আপনার জীবনে হয়ে থাকবে অবিস্মরণীয়।
তিন অক্ষরের প্যালিনড্রোমিক শব্দের সংখ্যা অপেক্ষাকৃত বেশি; যেমন- মরম, মলম, দরদ, জলজ, যমজ, তফাত, মধ্যম, বাহবা ইত্যাদি।
নাগরিক প্রতিবেদক: বিরল রোগে আক্রান্ত হয়েছেন নাচোলের মনিরা। সারাগায়ে লোম গজানো বিরল রোগে আক্রান্ত মনিরার স্বাভাবিক বেড়ে ওঠাও বন্ধ হয়ে গেছে।এ রোগের চিকিৎসা করাতে পারছেন না দিন মজুর বাবা। যে বয়সে আনন্দ-ফূর্তি ও খেলাধুলায় মেতে থাকার কথা, সেই বয়সেই লোকলজ্জায় ঘরের কোণে বসে থাকে মনিরা।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার গোডাউনপাড়ার মাসুদুজ্জামান মামুনের ছোট শিশু তাসফিয়া জাহান মনিরা।মাসুদুজ্জামান জানিয়েছেন, দুই মেয়ে তার। বড় মেয়ে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে। আর ছোট মেয়ের বয়স মাত্র চার বছর চার মাস। জন্মের পর থেকেই তার শরীরের কিছু অংশে লম্বা লম্বা পশমে আবৃত দেখা যায়। এরপর রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে বড় হওয়ার পর চিকিৎসা করানোর পরামর্শ দেন। কিন্তু এখন এই পশম সারা শরীরেই ছড়িয়ে পড়ছে। মাসুদুজ্জামান জানান, প্রথমে তিলের মতো ছোট বের হলেও পরে সেটা বড় আকার ধারণ করছে। এখন গোটা শরীরজুড়ে বিসত্মার ঘটছে, এমনকি মুখের মধ্যেও। পিঠের ছোট্ট একটি টিউমার থেকে এটির উৎপত্তি। বর্তমানে টিউমারটিও বাড়ছে। চিকিৎসক মুনিরার চিকিৎসার জন্য ভারত নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। এখন মেয়ের চিকিৎসার জন্য তার কাছে কোন টাকা নেই।তিনি বলেন, আমার মেয়ের জন্য আমি আগে এতটা ভাবিনি। বর্তমানে এটি অনেক বেড়ে যাচ্ছে। সাম্প্রতিককালে তার কষ্টও বাড়ছে। মেয়ের সুস্থতার জন্য তিনি সকলের সাহায্য কামনা করেন।
তাসফিয়ার মা তানজিলা খাতুন জানান, বর্তমানে তার মেয়ের সমসত্ম শরীর পশুর মতো লোমে ভরে গেছে। এমনকি মুখের তালুতে কালসিটে দাগও ছড়িয়ে পড়েছে। গরমের দিনে শিশুর শরীর থেকে আগুনের মতো তাপ বের হতে থাকে। ভিজে কাপড় পরিয়ে দিনরাত ফ্যানের নিচে রাখতে হয়। বিদ্যুৎ না থাকলে পাখার বাতাস করতে হয়।তিনি আরও জানান, মনিরার ছয় দিন বয়সে রামেক হাসপাতালের মেডিকেল বোর্ড এটিকে বিরল চর্ম রোগ বলে সনাক্ত করেছেন। শিশুটির ৩/৪ বছর বয়স হলে উন্নত চিকিৎসার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। দিনমজুর পিতা-মাতার শিশু তাসফিয়ার উন্নত চিকিৎসা করানোর সামর্থ নেয়। তাই বর্তমানে হোমিও চিকিৎসা চলছে। (সূত্র: সোনালী সংবাদ)
নাগরিক স্বাস্থ্য:
জানলে আপনিও লজ্জা পাবেন! অস্ট্রেলিয়ার স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞেরা ৩৫০ জন বিবাহিতা নারীর ওপর গবেষণা করে তথ্য বের করেন, বিয়ের পর কেন মেয়েদের স্তন ও কোমর মোটা হয়।দেখা যায়, বিয়ের পর প্রথম ছয় মাসে কনেরা প্রায় পাঁচ পাউন্ডের মতো ওজন বাড়িয়ে ফেলেন।
পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, যারা বিয়ের সময়ে সুন্দর দেখাতে নিজের ওজন অনেক দ্রুত কমিয়ে ফেলেন, বিয়ের পর তাদের ওজন দ্রুত বেড়েও যায়।
এটা প্রায়শই দেখা যায় যে, মেয়েরা চায় বিয়ের সময়ে তাদের দেখতে ছিপছিপে এবং কমবয়সী লাগুক। এ কারণে তারা বিয়ের কয়েক মাস আগে থেকেই কঠোর ডায়েটে চলে যান।এতে যদিও তাঁদের কোনও দোষ নেই কারণ, পরিবারের মানুষ এমনকি তাদের বাগদত্ত পুরুষেরাই তাদেরকে বলেন ওজন কমাতে।
বিয়ের পরে মেয়েরা মনে করে, সামনে তো আর কোনো বড় উপলক্ষ নেই আর তাই ওজন নিয়ন্ত্রণের দিকে তেমন লক্ষ্য থাকে না।তারপর খাওয়াদাওয়া এবং ব্যায়ামের ব্যাপারে নিয়মকানুন অনুসরণ করা বন্ধ করে দেন, যার ফলে ওজন বেড়ে যায় দ্রুত।
অনেকে আবার মনে করেন, বিয়ের পরে তাদের আকর্ষণীয় ফিগার বজায় রাখার দরকার নেই, এ কারণেও তাদের ওজন এভাবে বাড়তে দেখা যায়।
বিয়ের পর মোটা হয়ে যাওয়া রোধে কেবল মেয়েদের জন্য নয়, নারী-পুরুষ উভয়েই এই টিপস মেনে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন ওজন।যেমন হানিমুনে গেলে খুব বেশি জাঙ্ক ফুড না খেয়ে পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। পোলাও, বিরিয়ানি না খেয়ে গ্রিল করা চিকেন বা মাছ খেতে পারেন।
সাথে খাবেন প্রচুর পরিমানে স্যালাড। আর মিষ্টি জাতীয় খাবার যেমন কেক, পেস্ট্রি খাওয়ার বদলে ফ্রুট স্যালাড আর ফলের রস খেতে পারেন। ভ্রমনে গেলে রিচ ফুড এমনিতেও এড়িয়ে চলা উচিত।
নাগরিক প্রতিবেদক: সহপাঠীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে রাজশাহীর নিউ গভ. ডিগ্রি কলেজছাত্র ও এক পুলিশ কর্মকর্তার পুত্রকে পিটিয়েছে একই কলেজের ছাত্রীরা। অভিযুক্ত ওই ছাত্র হলেন, যোবায়ের আহমদে। তিনি রাজশাহী নগর পুলিশের পরিদর্শক আবদুল মোমেনের ছেলে।গত বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে কলেজ ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটে।
প্রকাশ্যে ওই ছাত্রকে মারধরের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। বিষয়টি খতিয়ে দেখছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। যোবায়ের কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থী। তাদের গ্রামের বাড়ি জয়পুরহাটে। পরিবারের সঙ্গে রাজশাহী নগরী ঝাউতলা মোড় এলাকায় বসবাস করেন। শ্লীলতাহানির শিকার ছাত্রীও একই শ্রেণিতে পড়ে। তার বাড়ি জেলার চারঘাট উপজেলায়।
ওই ছাত্রীর বান্ধবীর ভাষ্য, বেশ কিছুদিন ধরেই তাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন যোবায়ের। কিন্তু তাকে সাড়া দেননি তার বান্ধবী। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে নানাভাবে উত্ত্যক্ত করা শুরু করেন যোবায়ের। কয়েকদিন আগে ওই ছাত্রীর শ্লীলতাহানিও করেন। বিষয়টি পরে ওই ছাত্রী বান্ধবীদের জানান।
বৃহস্পতিবার বিভাগের টেস্ট পরীক্ষা থেকে বেরিয়ে অভিযুক্ত যোবায়েরের ওপর চড়াও হন ছাত্রীরা। এক পর্যায়ে কয়েকজন ছাত্রী তাকে মারধর করেন। এ ঘটনার ভিডিও ধারণ করেন একই বিভাগের এক শিক্ষার্থী। সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দিলে ভাইরাল হয়ে যায়। ভাইরাল ওই ভিডিওটিতে এক ছাত্র পেটাতে দেখা যাচ্ছে তিন ছাত্রীকে। এক পর্যায়ে আরেক ছাত্র গিয়ে ছাত্রীদের থামান।