হানিফ খন্দকার :
বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড অনুমোদিত দেশব্যাপী পরিচালিত বেসিক ট্রেড প্রতিষ্ঠান সমূহের জাতীয় সংগঠন ‘‘বেসিক ট্রেড স্কিল ডেভেলপমেন্ট ফোরাম” এর সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
শনিবার (১৬’ মে) দুপুরে পাবনা প্রেস ক্লাবের ভিআইপি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সম্মেলনে ফোরামের কেন্দ্রীয় আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন টুটুল লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। তিনি বলেন সারা দেশে পরিচালিত ৩,৫০০টি প্রতিষ্ঠানে ৫০ হাজারের অধিক প্রশিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী (৭০% টিচিং ও ৩০% অফিস স্টাফ) স্বল্প বেতন-ভাতায় কর্মরত আছেন। করোনা পরিস্থিতিতে সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক প্রতিষ্ঠানগুলো বিগত ১৮ মার্চ ২০২০ থেকে বন্ধ থাকায় তাঁরা অর্থাভাবে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। সারা দেশের প্রতিষ্ঠানগুলোতে কর্মরত প্রশিক্ষক-কার্মচারীর বেতন-ভাতা, প্রতিষ্ঠানের ভাড়া, ইউটিলিটি ব্যয় (পানি, বিদ্যুৎ, টেলিফোন, ইন্টারনেট ইত্যাদি) বাবদ আমাদের প্রতি মাসে প্রায় ১০৫ কোটি টাকা ব্যয় হয়। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকায় উদ্যোক্তাগণ আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। করোনা পরিস্থিতির কারণে প্রতিষ্ঠানগুলো যদি ৫ মাস বন্ধ থাকে, তাহলে ক্ষতির অংক দাঁড়াবে ৫২৫ কোটি টাকা। এ বিপুল পরিমান ব্যয় নির্বাহ করা আমাদের জন্য দুরূহ হয়ে পড়েছে। দেশে বিপুল সংখ্যক জনগোষ্টীকে কারিগরি ও আইসিটি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির অগ্রযাত্রা অব্যহত রাখতে ৩৫০০টি বেসিক ট্রেড প্রতিষ্ঠানের অনূকুলে নূন্যতম ৫২৫ কোটি টাকা প্রণোদনার প্রাপ্তির জন্য প্রধানমন্ত্রীর নিকট বিণীত আবেদন জানাই।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফোরামের সদস্য কাজী মিজানুর রহমান জুয়েল, সৌহার্দ বসাক সুমন, টুটন কুমার সরকার, কৌশিক আহম্মেদ শাকিল, আতাউর রহমান জনি, জয়ন্ত কুমার জয় প্রমুখ।
বেসরকারি উদ্যোগে প্রতিষ্ঠানগুলো সুনামের সাথে স্বল্প প্রশিক্ষণ ফি’র মাধ্যমে বিভিন্ন ট্রেডে কারিগরিসহ আইসিটিতে প্রশিক্ষণ প্রদান, ফ্রিলান্সার তৈরি এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এর পাশাপাশি শাররীক প্রতিবন্ধী, ক্ষুদ্র ও নৃ-গোষ্টি, হিজড়া, বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্তা মহিলাসহ সমাজের সুবিধা বঞ্চিত বেকার যুবক-যুবতীদের বিনা খরচে দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ দিয়ে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করছে। বর্তমান সরকারের ভিশন-২০২১ ও রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নে প্রতিষ্ঠানগুলো সহায়ক ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।
নাগরিক প্রতিবেদক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ : চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের ঘোড়াস্ট্যান্ড সংলগ্ন নাহালা ফিলিং স্টেশনের পাশে আম বাগানে অভিযান পরিচালনা করে ১৫ মামলার আসামি বোমা বাবুকে গ্রেপ্তার করেছে সদর মডেল থানা পুলিশের একটি দল।
গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের চুনাখালি খলিফাপাড়ার মো. আফসার আলীর ছেলে মো. বাবু ওরফে জনি ওরফে বোমা বাবু (৩৩)।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি জিয়াউর রহমান জিয়া জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি মহারাজপুর এলাকার একটি আম বাগানে মাদক ও আগ্নেয়াস্ত্র বিক্রির জন্য এক ব্যক্তি অবস্থান করছে। খবর পাবার পর পুলিশ সুপার এএইচএম আবদুর রকিবের নির্দেশনায় ও অপারেশন ওসি মিন্টু রহমানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ওই আম বাগানে রোববার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন, ৩ রাউন্ড গুলি এবং ৩০০ গ্রাম হেরোইনসহ বাবুকে গ্রেপ্তার করা হয়। অস্ত্র, বিস্ফোরোক, মাদক, সরকারি কাজে বাধাসহ ১৫ টি মামলা আছে গ্রেপ্তারকৃত বাবুর। এ ঘটনায় সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও জানান ওসি জিয়াউর রহমান।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিবেদক: চাঁপাইনবাবগঞ্জে গত তিন দিনে বিদেশ ফেরত ৯১ জনকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।জেলার সিভিল সার্জন জাহিদ নজরুল চৌধুরী বলেন, তিন দিনে ৯১ জনকে ‘হোম কোয়ারিন্টিনে’ রাখা হয়েছে। এদের মধ্যে ১৬ জন ভারতীয়। বাকি ৭৫ জন বাংলাদেশি। যাদের বেশিরভাগ ভারত থেকে ফিরেছেন। তবে কয়েকজন আছেন যারা সম্প্রতি ইতালি থেকে ফিরেছেন। বাড়তি সতর্কতা হিসেবে তাদের ‘হোম কোয়ারিন্টিনে’ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
নাগরিক প্রতিবেদক : জামায়াতা-শিবিরের গোপন বৈঠক সন্দেহে ইসলামী ব্যাংক রাজশাহীর নিউমার্কেট শাখায় পুলিশ অভিযান চালিয়েছে। ইসলামী ব্যাংকে জামাত-শিবিরের গোপন বৈঠকের খবরের ভিত্তিতে ডিবি পুলিশ শুক্রবার বিকেল সাড়ে চারটার সময় সেখানে অভিযান চালায়।
প্রায় এক ঘণ্টা ২০ মিনিট ভেতরে থাকার পরে বাইরে এসে ডিবি পুলিশ জানায়, নিউমার্কেটের ইসলামী ব্যাংক আঞ্চলিক কার্যালয়ে জামাত-শিবিরের গোপন বৈঠক চলছে এমন একটি তথ্যের ভিত্তিতে তারা সেখানে অবস্থান করেন। এরপর তারা ভিতরে গিয়ে সবকিছু দেখেন তাদের ভুল ইনফরমেশন দেওয়া হয়েছিলো। পরে ডিবি পুলিশ কিছু না পেয়ে ফিরে যায়।
নাগরিক ডেস্ক: রিতিমতো রেকর্ড গড়ার মতোই একটি ঘটনা। একজন ব্যক্তিই বিয়ে করেছেন প্রায় ২৮৬টি। চোখ কপালে উঠার মতো ঘটনা ঘটেছে আমাদের এই বাংলাদেশেই। নাম তার জাকির হোসেন বেপারি। গ্রামের বাড়ি লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুরে। তবে এতগুলো বিয়ে করেছেন মূলত প্রতারণার পেশা থেকেই।
তথ্য সূত্র:এফএনএস (জিন্নাতুল ইসলাম জিন্না; লালমনিরহাট) : |( আপডেট: ২৩ নভেম্বর, ২০১৯, ৬:১৬ পিএম)
কাউকে কাবিনে, কাউকে শুধু কালেমা পড়েই বিয়ে করেন তিনি। নিজেই এমন একটি খুদেবার্তা দিয়েছিলেন প্রতারণার শিকার হওয়ার পর মামলা করা এক নারীকে। অবশেষে তেজগাঁওয়ের একটি ধর্ষণ মামলায় গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওই প্রতারক জাকিরকে গ্রেফতার করেছে তেজগাঁও থানা পুলিশ।
তেজগাঁও থানার ওসি শামীম অর রশিদ তালুকদার জানান, এই ব্যক্তি মূলত একজন মারাত্মক প্রতারক। প্রতারণার মাধ্যমেই সে এতগুলো বিয়ে করেছে বলে প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে। তবে বিষয়গুলো সম্পর্কে ভালোভাবে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
আদিতমারী থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি তদন্ত) মোঃ সাইফুল ইসলাম জানান, প্রতারক জাকিরের বিরুদ্ধে মিরপুর থানায় এক নারী মামলা করেছিলেন। তার সঙ্গে প্রতারণা করে বিয়ে বা শারীরিক সম্পর্ক গড়েছিলেন।
সেই নারী মামলা করার কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে তার মোবাইল ফোনে মেসেজ দিয়ে জাকির লিখেছিলেন, ‘তোর মতো ২৮৬ জনকে পার করলাম। আর তুই মামলা করলি।’ মূলত তার ওই খুদেবার্তা থেকেই তথ্য জানা গেছে। তবে প্রাথমিক তদন্তে বোঝা যাচ্ছে, প্রতারণার মাধ্যমে জাকির অনেক মেয়েকেই বিয়ে বা তাদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়েছেন। এ বিষয়ে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য জাকিরকে আদালতে হাজির করার কথা রয়েছে।
নাগরিক ডেস্ক: বিদ্যালয় একটি, প্রধান শিক্ষক দুজন, একজন ভারপ্রাপ্ত, আরেকজন বরখাস্তকৃত। ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সুপ্রীম কোর্টের মামলার রায় বা বরখাস্ত আদেশ প্রত্যাহার না পেতেই বরখাস্তকৃত প্রধান শিক্ষক দাপট ও ভূল ব্যাখায় বিভ্রান্ত ছড়িয়ে কোণঠাসা করছে প্রশাসনকে। এমন অভিযোগ উঠেছে বগুড়ার শেরপুরের দোয়ালসাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে বরখাস্তকৃত প্রধান শিক্ষক নুর মোহাম্মদের বিরুদ্ধে। তাছাড়া উচ্চ আদালতে মামলা চলমান থাকলেও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি’র পদ নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টির অভিযোগ ছড়ানোর অপচেষ্টায় রয়েছে প্রতিপক্ষ।
জানা যায়, মহান মুক্তিযুদ্ধের দলিলসমূহ শিক্ষার্থীদের জানার সুযোগ বঞ্চিত করা, বিনামুল্যের বই বিক্রয় করা, মুভমেন্ট রেজিষ্ট্রার ব্যবহার না করা, বিদ্যালয়ে প্রকাশ্যে ধুমপান এবং অভিভাবক ও ম্যানেজিং কমিটির সাথে অসৌজন্যমুলক আচরণ এবং বিদ্যালয়ের আয়-ব্যায়ের হিসাব না দেয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত হয় শেরপুরের দোয়ালসাড়া উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুর মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্তমতে গত ১৫/০৪/১৯ তারিখে স্থায়ী বরখাস্ত হয় ওই প্রধান শিক্ষক নুর মোহাম্মদ আলী।
এর প্রেক্ষিতে চাকুরী ফিরে পেতে এবং ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি’র রাশেদুল ইসলাম রাজুর বিরুদ্ধে উল্টো অনৈতিক অভিযোগ এনে বগুড়ার এডিসি (শিক্ষা) তদন্ত করে শিক্ষা বোর্ডর কাছে এর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। একতরফা তদন্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে সভাপতি পুনঃতদন্তের জন্য আবেদন করলেও তা শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ আমলে নেয়নি বলে অভিযোগ তুলেছেন ওই বিদ্যালয়ের সভাপতি। উল্টো পক্ষপাতিত্বের তদন্তের সাপেক্ষেই শিক্ষা বোর্ড এই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বিধিমালা অনুসরন না করেই সভাপতির পদ বাতিলের আদেশ দেয়। এর প্রেক্ষিতে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি রাশেদুল ইসলাম রাজু উচ্চ আদালতে মামলা করলে বিজ্ঞ আদালত ওই শিক্ষকের চাকুরীর বিষয়টিতে কোন আদেশ না দিয়ে সভাপতির পদে রাজুকে পূর্ণবহালের আদেশ দেয়। এ আদেশ বাতিলের জন্য ওই বরখাস্তকৃত প্রধান শিক্ষক নুর মোহাম্মদ আলী হাইকোর্টে রিট করলে বিজ্ঞ আদালত ওই সভাপতি’র বিরুদ্ধে ১লাখ টাকা জরিমানা ধার্য করলেও পরবর্তীতে সভাপতি’র আপিল আবেদনে গত ১২ ফেব্রুয়ারি বিজ্ঞ আদালত ৮ সপ্তাহের জন্য স্থগিত করে এবং দায়েরকৃত চলমান মামলা পরবর্তীতে শুনানির জন্য নির্দেশ দেয়।
এদিকে ওই বরখাস্তকৃত প্রধান শিক্ষক নুর মোহাম্মদ আলী উচ্চ আদালতে মামলা চলমান ও পূর্ণাঙ্গ রায় না পেয়েই এমনকি তার বিরুদ্ধে বরখাস্ত আদেশ প্রত্যাহার না পেতেই সকল তথ্য গোপন করে স্থানীয় প্রশাসনকে অপব্যাখ্যা দিয়ে দাপটের সাথে বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকা- করে যাচ্ছেন। এছাড়াও সভাপতির প্রত্যায়ন ছাড়াই চলতি বছরের অনুষ্ঠেয় এসএসসি পরীক্ষার উত্তরপত্র(খাতা) সা: বিজ্ঞান(১২৭) এ প্রধান পরীক্ষক(কোর্ড ১৪৫২) হিসেবে অদ্যাবধি বহাল তবিয়তে রয়েছেন। শুধু তাই নয়, একই বিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক থাকা সত্বেও ওই বরখাস্তকৃত শিক্ষক নুর মোহাম্মদ আলী স্থানীয় প্রশাসনকে ভূল বুঝিয়ে প্রত্যায়ন নিয়ে গত ৭ মার্চ থেকে শুরু হওয়া রাজশাহীতে আইসিটি ট্রেনিংএ অংশগ্রহণ করেছে স্বীকার করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার। তাছাড়া ওই বরখাস্ত প্রধান শিক্ষক নুর মোহাম্মদ আলী তার নিজের বরখাস্ত আদেশ প্রত্যাহার না পেয়েই আদালতে মামলা চলমান থাকাও সত্বেও অনৈতিক দাপট ও ভূল ব্যাখায় বিভ্রান্ত ছড়িয়ে স্থানীয় প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গলি দেখিয়ে আসছে।
এ বিষয়ে বরখাস্তকৃত ওই প্রধান শিক্ষক নুর মোহাম্মদ আলীর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে, তিনি রাজশাহীতে বিদ্যালয় প্রধানদের আইসিটি ট্রেনিংএ রয়েছি এবং সাক্ষাতে বিস্তারিত বলবো বলে মন্তব্য করেন।
এ ব্যাপারে দোয়ালসাড়া উচ্চবিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি রাশেদুল ইসলাম রাজুর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, হাইকোর্টের চলমান মামলায় গত ১২ ফেব্রুয়ারি অর্থনৈতিক সংক্রান্ত একটি আদেশ হয়েছে, তবে মামলাটি পুন শুনানীর জন্য মহামান্য আদালত ৮ সপ্তাহের সময় দিয়েছেন। এক্ষেত্রে সভাপতির পদ বাতিল হয়েছে মর্মে ওই অর্ডারের কোথাও লেখা নাই, এটা বিভ্রান্ত মূলক অপব্যাখ্যা বলে এমনটাই মন্তব্য করেন তিনি।
এ ব্যাপারে শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. লিয়াকত আলী সেখ বলেন, মাধ্যমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইন্সষ্টিটিউট থেকে প্রাপ্ত ওই বরখাস্তকৃত প্রধান শিক্ষকের নামের তালিকা দেখে প্রত্যায়ন দেয়া হয়েছে। এ নিয়ে ওই শিক্ষক অন্যকোন অসৎ উদ্দেশ্য হাসিল করতে পারবেনা। তাছাড়া ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নিয়ে বির্তকের ব্যাপারে প্রশ্নে, শিক্ষা বোর্ড থেকে কোন নির্দেশনা বা কাগজ পাননি বলেও তিনি জানান।
নাগরিক প্রতিবেদক: রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় ৭ জন নিহত হয়েছে। শনিবার দুপুরে রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহাসড়কের কাদিপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, রাজশাহী নগরীর দেবিশিংপাড়া এলাকার মৃত ফজলুর রহমানের ছেলে মোশাববের আলী ওরফে আক্কাস (৪০), তার স্ত্রী হাসনারা (৩৫), চার মাসের শিশু সন্তান আদিব আল হাসান, শিশু মুসফেরা (৮), চাঁপাইনবাবগঞ্জের চর চাকলা দেবীনগর এলাকার আলী মুর্তজার মেয়ে আশিয়া (৩০), মেহেরচন্ডী এলাকার মতিউর রহমানের ছেলে প্রাইভেটকার চালক মাহবুবুর রহমান (৩৫) ও অজ্ঞাত এক নারী (২২)।
রাজশাহীর পুলিশ সুপার মো. শহিদুল্লাহ গনমাধ্যমকে জানান, নিহতরা শনিবার দুপুরে প্রাইভেটকারটি (ঢাকা মেট্রো-খ ১১-৩২৬০) রাজশাহী থেকে গোদাগাড়ীতে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলো। পথে গোদাগাড়ীর কাজীপুর এসে প্রাইভেটকারটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজন মারা যান। গুরুতর আহতদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে এসে এক নারী ও শিশু মারা যায়। স্থানীয়রা জানান, দুর্ঘটনার পর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স প্রাইভেটকারের ভেতর থেকে তিনটি লাশ উদ্ধার করে। মর্মান্তিক এ সড়ক দুর্ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
নাগরিক প্রতিবেদক: নওগাঁর মান্দায় বেপোয়ারা ট্রাকের চাপায় একমি ফার্মাসিউটিক্যাল লিঃ এর তিন বিক্রয় প্রতিনিধি নিহত হয়েছেন। সোমবার সকাল ৭ টা ৫০ মিনিটে নওগাঁ-রাজশাহী মহাসড়কের মান্দা ফেরিঘাট ব্রীজের পূর্বপাশে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এসময় আহত হয়েছেন আরও দুই বিক্রয় প্রতিনিধি।
নিহতরা হলেন, মান্দা উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের চককামদের গ্রামের শামসুল আলমের ছেলে রফিকুল ইসলাম (৩৮) ও সদর ইউনিয়নের ঘাটকৈর গ্রামের সোলাইমান আলীর ছেলে জয়নাল আবেদীন (৩৫) এবং লালমনিরহাট জেলার আফতাব উদ্দিনের ছেলে আশরাফুল ইসলাম (২৯)। আহতরা হলেন, একই কোম্পানির সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা উপজেলার হামকুড়িয়া গ্রামের আব্দুস সোবহানের ছেলে আবুল হাসেন (৩৮) ও রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার দামকুড়াহাট এলাকার মৃত খয়বর আলীর ছেলে আব্দুল কুদ্দুস (৩৮)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হতাহতরা একমি কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে মান্দা ও নিয়ামতপুর উপজেলায় কর্মরত ছিলেন। সোমবার সকালে নওগাঁ শহরে মাসিক সভায় যোগদান করতে তারা মান্দা ফেরিঘাট থেকে একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশায় রওনা দেন। তাদের বহনকারী সিএনজি অটোরিকশাটি ব্রীজ পার হওয়া মাত্রই বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাক চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোজাফফর হোসেন জানান, দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই রফিকুল ইসলাম মারা যান। মান্দা হাসপাতালে নেয়ার পর জয়নাল আবেদীন ও রাজশাহী হাসপাতালে নেয়ার পথে আশরাফুল ইসলাম মারা যান।
নাগরিক প্রতিবেদক: রাজশাহী নগরীর লক্ষ্মীপুর টিভিপুকুর এলাকায় রফিকুল ইসলাম ভুট্টুর গোয়াল ঘরে আগুনে পুড়ে ৪ গরুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। এসময় আরও ৪টি গরু ঝলসে যায়।
গরুর মালিক রফিকুল জানান, রাত সাড়ে ১২ টার দিকে গোয়াল ঘরের পাশে রান্না শেষে বাসায় যান তারা। পাশাপাশি দুই বাসার রান্নাঘর আছে সেখানে।
রাত আনুমানিক ৩ টার দিকে রফিকুলের বাসার জানালার থাই দিয়ে আগুন দেখতে পান তিনি। অতঃপর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সকে খবর দিলে তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। অগ্নিকাণ্ডে গোয়ালে থাকা চার টা গরু মারা যায় ও চার টা গরু আগুনে ঝলসে যায়।
এ ঘটনায় আগুণের সূত্রপাত এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। এ ব্যাপারে রাজপাড়া থানায় একটি জিডি করা হয়েছে।
নাগরিক প্রতিবেদক : নওগাঁর পোরশা সীমান্তের বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অবৈধ অনু-প্রবেশের কারনে একজন নারী সহ তিন ভারতীয়কে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
বুধবার ১৬বিজিবি নিতপুর ক্যাম্পের টহলরত সদস্যরা ২৩১/১০(এস) পিলারের টেকঠা সীমান্ত এলাকা থেকে তাদের আটক করে। আটককৃতরা হলো ভারতের বর্ধমান জেলার ভাতা থানার গর্দন মারী গ্রামের মৃত নরেশ হাস্দার ছেলে সামিউল হাস্দা (২৫), একই এলাকার মন্টুর স্ত্রী শান্তনা মুর্মু(৫০) ও মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘী থানার চোরদিঘী গ্রামের লক্ষিরাম মার্ডির ছেলে রুবেল মার্ডি(২২)। পোরশা থানা অফিসার ইনচার্জ শাহিনুর রহমান জানান, এব্যাপারে থানায় পাসপোর্ট আইনে মামলা হয়েছে এবং আটককৃত ভারতীয় তিন নাগরিককে গতকাল বৃহস্পতিবার জেল হাজতে পাঠানো হয়।