নাগরিক ডেস্ক: দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ইকুয়েডরে ভয়ানক রূপ নিয়েছে করোনা মহামারী। দুরন্ত গতিতে ছড়াচ্ছে ভাইরাস। রাস্ত-ঘাটে যেখানে সেখানে মরে পড়ে থাকছে মানুষ। ছোঁয়া তো দূরে থাক, কেউ ফিরেও দেখছে না। লাশ কুড়াতে মোতায়েন করা হয়েছে সেনাবাহিনী ও পুলিশ। তারাই রাস্তায় রাস্তায় পড়ে থাকা মৃতদেহ জড়ো করছে।
দেশটির বন্দরনগরী গুয়ায়াকুইলের রাস্তা থেকে এখন পর্যন্ত ৪০০ জনের পচাগলা লাশ উদ্ধার করেছে সেনা-পুলিশের যৌথ বাহিনীর সদস্যরা। শহরের হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতেও অসংখ্য লাশ বেওয়ারিশ পড়ে আছে।
মর্গগুলোতেও আর জায়গা নেই। সরকার সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, চলতি মাসের মধ্যেই গুয়ায়াকুইল নগরী ও আশপাশের এলাকায় ৩,৫০০-এর বেশি লোক মারা যেতে পারে। সরকারের এক মুখপাত্রের বরাত দিয়েছে শুক্রবার এ খবর জানিয়েছে এএফপি ও নিউইয়র্ক পোস্ট।
যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা-মেক্সিকোর পর ভাইরাসটি এখন ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে ল্যাটিন আমেরিকা ও ক্যারিবীয় অঞ্চলেও। এই অঞ্চলে প্রথম করোনা ধরা পড়ে ২৬ ফেব্রুয়ারি। ব্রাজিলের সাও পাওলোতে। এরপর অন্যান্য দেশেও প্রকোপ দেখা দেয়।
শুক্রবার পর্যন্ত ল্যাটিন আমেরিকাজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়িয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৫৩৭ জনের। মাত্র পাঁচ দিনে এই সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা ব্রাজিল ও ইকুয়েডর। কিন্তু প্রেসিডেন্ট লেনিন মোরেনোর সরকার করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা কমিয়ে দেখানোর চেষ্টা করছে।
গত বুধবারই এক বিবৃতিতে দাবি করা হয়, এখন পর্যন্ত দুই হাজার ৭০০ জন আক্রান্ত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৯৩ জনের। কিন্তু এরপর রাস্তা-ঘাটে পরিত্যক্তভাবে লাশ পড়ে থাকার বেশ কিছু ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমস জানায়, ইকুয়েডরের দ্বিতীয় বৃহত্তম নগরী গুয়ায়াকুইলের বাসিন্দারাই সামাজিক মাধ্যমে রাস্তায় পড়ে থাকা মৃতদেহের ভিডিও প্রকাশ করে। অনেকে তাদের বাড়ি থেকে মৃতদেহ সরিয়ে নেয়ার জন্য কর্তৃপক্ষকে বার্তা পাঠায়।
কর্তৃপক্ষ মৃতদেহ থেকে দূরে থাকার নির্দেশনা দেয়ার বাড়িতে মারা যাওয়া মৃতদেহ পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকে। সরকারের মুখপাত্র রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে মৃতদেহ থেকে দূরে থাকার বার্তা সম্প্রচারের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন।
ওয়ার্ল্ডোমিটার্সের সর্বশেষ তথ্য মতে, দেশটিতে মোট ৩,১৬০ জন আক্রান্ত এবং বৃহস্পতিবার ভোর পর্যন্ত ১২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে সংক্রমণ ও মৃত্যুর প্রকৃত আসলে জানা সম্ভব হচ্ছে না। কারণ কনট্যাক্ট ট্রেসিং বা ট্রেসার স্টাডি ও টেস্টিং একেবারেই কম এবং খুব ধীরগতিতে এগোচ্ছে।
সোহরাব হোসেন সৌরভ : রাজশাহী মহানগরীতে নাজমুল ইসলাম খোকন নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে তারই দুই ভাই হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার সকালে নগরীর কাদিরগঞ্জ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নাজমুল বলছেন, হামলার সময় পুলিশ আসে। কিন্তু পুলিশের সামনেই ভাঙচুর চালানো হয়। আর গুদাম ভেঙে লুট করে নিয়ে যাওয়া হয় তার প্রায় পাঁচ লাখ টাকার মালামাল।
নাজমুল ইসলাম খোকন কাদিরগঞ্জ এলাকার মৃত দীন মোহাম্মদের ছেলে। হামলা, ভাঙচুর, মারধর ও লুটপাটের ঘটনায় তিনি নগরীর বোয়ালিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। জমি সংক্রান্ত জটিলতার জের ধরে নাজমুলের ছোট ভাই রবিউল আউয়াল কচি ও আশরাফুল ইসলাম বাচ্চু বহিরাগত প্রায় ৩০ জন সন্ত্রাসীকে নিয়ে দেশিয় অস্ত্রশস্ত্রসহ হামলা চালান বলে তিনি অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগে নজরুল ইসলাম খোকন বলেছেন, ১৯৭৫ সালে বাড়ির পাশে তার বাবা দীন মোহাম্মদ সাড়ে ১৩ কাঠা জমি কেনেন। জমিটি তারা তিন ভাই ও তাদের মা আনোয়ার বেগমের নামে লিখে দেন তাদের বাবা। প্রত্যেকের জমির পরিমাণ তিন কাঠা ছয় ছটাক। কিন্তু দলিল করার সময় জমির কোন অংশ কার সেটি উল্লেখ করা হয়নি। এভাবেই জমিটি আছে।
কিন্তুঋণ শোধ না করার কারণে ২০০৪ সালে আশরাফুল ইসলাম বাচ্চুর জমিটুকু নিলাম করে দেয় ন্যাশনাল ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। এখন বাচ্চুর জমির মালিক শামিম হায়দার দারা নামের একজন আইনজীবী। তিনি মালিকানা পাবার পর জমির কোন অংশের মালিক কে সেটি ঠিক করতে নাজমুল ইসলাম খোকন ২০০৮ সালে আদালতে মামলা করেন। সেই মামলা এখনও চলছে।
এরই মধ্যে ছোট ভাই রবিউল আউয়াল কচি দাবি করে বসেন, এখন নাজমুল ইসলামের যেখানে বাড়ি রয়েছে সেখানেই তার জমির অংশ রয়েছে। জায়গাটুকু দখলে নিতে সকালে আরেক ভাই বাচ্চুসহ অজ্ঞাত প্রায় ৩০ জন সন্ত্রাসীকে নিয়ে গিয়ে হামলা চালান। তারা নাজমুলের দোতলা বাড়ির সিঁড়ি ভাঙতে শুরু করেন। নাজমুল বাধা দিতে গেলে তাকে মারধর করা হয়। এরপর সিঁড়িটি ভেঙে ফেলা হয়। দোতলা বাড়ির নিচতলায়, সিঁড়ির পাশে থাকা একটি গুদাম ঘরের তালা ভেঙে প্রায় ছয় লাখ টাকার মালামাল লুট করা হয়। পরে গুদামের সামনে রবিউল আউয়াল কচির ছেলের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের নামে একটি ব্যানার লাগিয়ে দেয়া হয়।
নাজমুল ইসলাম জানান, বাড়িতে শুধু তিনি এবং তার স্ত্রী থাকেন। এমন সন্ত্রাসী হামলার পর তারা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তিনি বলেন, হামলা চলাকালেই পুলিশ আসে। কিন্তু পুলিশের প্রতিই মারমুখি আচরণ করে হামলাকারীরা। এরপর পুলিশের সামনেই সিঁড়ি ভেঙে ফেলা হয়। গুদাম ভেঙে মালামাল নিয়ে চলে যাওয়া হয়। কান্নায় ভেঙে পড়ে নাজমুল বলেন, পুলিশের সামনেই এমন ঘটনা ঘটলে আমার নিরাপত্তা কে দেবে? আমি আমার জীবনের নিরাপত্তা চাই।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে রবিউল আউয়াল কচি বলেন, জমির কোন অংশটি কার সিটি করপোরেশনের স্থানীয় কাউন্সিলর নির্ধারণ করে দিয়েছেন। সম্প্রতি রাস্তা সম্প্রসারণের জন্য জমি অধিগ্রহণ করা হলে আমি ক্ষতিপূরণও পেয়েছি। লুটপাটের কোনো ঘটনা ঘটেনি। আমার নিজের জায়গাটিই দখলে নিয়েছি।
নগরীর বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিবারন চন্দ্র বর্মন বলেন, জমি নিয়ে ভাইয়ে-ভাইয়ে ঝামেলা হয়েছে। একটা অভিযোগ হয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নাগরিক প্রতিবেদক: রাজশাহী নগরীর বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে সিটি করপোরেশন (রাসিক) এরপাওনা হোল্ডিং ট্যাক্স বাবদ বকেয়া রয়েছে আট কোটি ২৫ লাখ ৯৯ হাজার ১৯০ টাকা। আর অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও নগরবাসীর কাছে বকেয়া করের পরিমাণ ৩ কোটি ৮৪ লাখ ১৭ হাজার ছয় টাকা। এ নিয়ে বিপাকে রয়েছে রাসিকের রাজস্ব বিভাগ।
বকেয়া ট্যাক্সের তালিকায় আছে রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, শিল্পকলা একাডেমি, টেক্সটাইল মিলের মত প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কাছে পাওনা দুই কোটি টাকা, টেক্সটাইল মিলের কাছে ২ কোটি ৩৬ লাখ ৭২ হাজার ৮৭৬ টাকা, রাজশাহী মডেল স্কুল এন্ড কলেজের কাছে কাছে ১ কোটি ৩ লাখ ৮০ হাজার ৬৯০ টাকা, রাজশাহী জেলা স্টেডিয়ামের কাছে ৯৮ লাখ ৯১ হাজার ৬৯৮ টাকা, শহীদ কামারুজ্জামান স্টেডিয়ামের কাছে ৪৮ লাখ ২০ হাজার ৪০০ টাকা, শিল্পকলা একাডেমির কাছে ৪৬ লাখ ৮ হাজার ২৩৯ টাকা পাওনা রয়েছে।
রাজস্ব বিভাগ থেকে জানা গেছে, চলতি অর্থ বছরে প্রায় ১৯ হাজার গ্রাহকের কাছে রাসিকের হোল্ডিং ট্যাক্স বকেয়া আছে। যারা নগরীর এক তৃতীয়াংশ বাড়ী বা ভবনের মালিক। ফলে মোট বকেয়া ট্যাক্সের মোট পরিমাণ ১২ কোটি ১০ লাখ ১৬ হাজার ১৯৬ টাকা। এর মধ্যে ১২১টি সরকারি দফতর কর দেয় নি। তাদের কাছে পাওনা করের পরিমান আট কোটি ২৫ লাখ ৯৯ হাজার ১৯০ টাকা। আর ব্যক্তিগত পর্যায়ে হোল্ডিং ট্যাক্স বকেয়া রয়েছে ১৮ হাজার ২০২ জন মালিকের। তাদের কাছে বকেয়া ট্যাক্স রয়েছে ৩ কোটি ৮৪ লাখ ১৭ হাজার ছয় টাকা। এ পরিস্থিতিতে বকেয়া কর আদায়ে রাসিক কর খেলাপীদের চিহ্নিত করণ শুরু করে ইতোমধ্যে অনেক প্রতিষ্ঠানকে নোটিশ দেয়া হয়েছে। নিধারিত সময়ে ট্যাক্স না দিলে সংশ্লিষ্টদের বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে রাসিক।
নাগরিক ডেস্ক: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে দেশে প্রথমবারের মতো আগামী মার্চ মাসে বাংলাদেশ ব্যাংক বাজারে ২০০ টাকা মূল্যমানের নতুন নোট ছাড়তে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে আসছে ১০০ টাকা মূল্যমানের স্বর্ণমুদ্রা।
শনিবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, বাজারে প্রচলিত ১০, ২০, ৫০, ১০০, ৫০০ ও ১০০০ টাকার মতই ২০০ টাকার নোট ছাড়া হবে। আগামী মাসে স্মারক ও প্রচলিত-দুই ধরনের ২০০ টাকার নোট ছাড়া হবে। তবে ২০২১ সাল থেকে কেবলমাত্র নিয়মিত নোট থাকবে।
জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী বা মুজিববর্ষকে স্মরণীয় করে রাখতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান। এছাড়া বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের অংশ হিসেবে ১০০ টাকা মূল্যমানের স্বর্ণ ও রূপার স্মারক মুদ্রা ছাড়বে বাংলাদেশ ব্যাংক।
সিরাজুল ইসলাম জানান, ২০০ টাকার নোটের উপর ‘মুজিববর্ষ উপলক্ষে বিশেষ নোট’ কথাটি লেখা থাকবে। তবে ২০২১ সাল থেকে যে নোটগুলো ছাড়া হবে তাতে আর তা লেখা থাকবে না। ১০০ টাকা মূল্যমানের ১ হাজার ৫০টি স্বর্ণমুদ্রা এবং একই মূল্যমানের ৫ হাজার রৌপ্য মুদ্রা ছাড়া হবে। বর্তমানে দেশে ১, ২, ৫, ১০, ২০, ৫০, ১০০, ৫০০ ও ১০০০ টাকা মূল্যমানের নিয়মিত নোট চালু রয়েছে। প্রথমবারের মতো ২০০ টাকার নোট চালু হতে যাচ্ছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উদযাপনে ২০২০-২০২১ সালকে ‘মুজিববর্ষ’ ঘোষণা করেছে সরকার। ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন শেখ মুজিবুর রহমান। কালক্রমে তার হাত ধরে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে।
নাগরিক প্রতিবেদক: সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ভিড়ের চাপে মঞ্চ ভেঙে পড়ে গেলেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। বৃহস্পতিবার বিকেলে নগরীর সাহেববাজার বড় মসজিদ প্রাঙ্গনে মহানগর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন ও রাসিক মেয়রকে সংবর্ধনার সময় এ ঘটনা ঘটে। পরে পাশে থাকা দলীয় কর্মীরা তাকে উদ্ধার করেন। এতে মেয়র বাম পায়ে আঘাত পেয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী আওয়ামী লীগের নেতারা জানায়, রাজশাহী মহানগরীর অবকাঠামো উন্নয়নে একনেকে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এ জন্য প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন ও রাসিক মেয়রকে সংবর্ধনার আয়োজন করে মহানগর আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠন। মেয়র লিটনকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানাতে দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা মঞ্চে উঠতে থাকলে এক পর্যায়ে মঞ্চটি ভেঙে পড়ে। এসময় মেয়র লিটন পড়ে যেতে লাগলে দলীয় কর্মীরা তাকে উদ্ধার করেন। মঞ্চটি তৈরী করাও হয়েছে দুর্বলভাবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শফিকুর রহমান বাদশা বলেন, বিপুল সংখ্যক দলীয় নেতাকর্মী একসঙ্গে মঞ্চে উঠলে তা ভেঙে যায়। এসময় মেয়রও পড়ে যেতে লাগলে কর্মীরা তাকে উদ্ধার করেন। মেয়র বাম পায়ে আঘাত পেয়েছেন। পরে মঞ্চের নিচে দাড়িয়ে তিনি নেতাকর্মীকের কাছ থেকে ফুলের শুভেচ্ছা গ্রহন করেন।
নাগরিক প্রতিবেদক: বিরল রোগে আক্রান্ত হয়েছেন নাচোলের মনিরা। সারাগায়ে লোম গজানো বিরল রোগে আক্রান্ত মনিরার স্বাভাবিক বেড়ে ওঠাও বন্ধ হয়ে গেছে।এ রোগের চিকিৎসা করাতে পারছেন না দিন মজুর বাবা। যে বয়সে আনন্দ-ফূর্তি ও খেলাধুলায় মেতে থাকার কথা, সেই বয়সেই লোকলজ্জায় ঘরের কোণে বসে থাকে মনিরা।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার গোডাউনপাড়ার মাসুদুজ্জামান মামুনের ছোট শিশু তাসফিয়া জাহান মনিরা।মাসুদুজ্জামান জানিয়েছেন, দুই মেয়ে তার। বড় মেয়ে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে। আর ছোট মেয়ের বয়স মাত্র চার বছর চার মাস। জন্মের পর থেকেই তার শরীরের কিছু অংশে লম্বা লম্বা পশমে আবৃত দেখা যায়। এরপর রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে বড় হওয়ার পর চিকিৎসা করানোর পরামর্শ দেন। কিন্তু এখন এই পশম সারা শরীরেই ছড়িয়ে পড়ছে। মাসুদুজ্জামান জানান, প্রথমে তিলের মতো ছোট বের হলেও পরে সেটা বড় আকার ধারণ করছে। এখন গোটা শরীরজুড়ে বিসত্মার ঘটছে, এমনকি মুখের মধ্যেও। পিঠের ছোট্ট একটি টিউমার থেকে এটির উৎপত্তি। বর্তমানে টিউমারটিও বাড়ছে। চিকিৎসক মুনিরার চিকিৎসার জন্য ভারত নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। এখন মেয়ের চিকিৎসার জন্য তার কাছে কোন টাকা নেই।তিনি বলেন, আমার মেয়ের জন্য আমি আগে এতটা ভাবিনি। বর্তমানে এটি অনেক বেড়ে যাচ্ছে। সাম্প্রতিককালে তার কষ্টও বাড়ছে। মেয়ের সুস্থতার জন্য তিনি সকলের সাহায্য কামনা করেন।
তাসফিয়ার মা তানজিলা খাতুন জানান, বর্তমানে তার মেয়ের সমসত্ম শরীর পশুর মতো লোমে ভরে গেছে। এমনকি মুখের তালুতে কালসিটে দাগও ছড়িয়ে পড়েছে। গরমের দিনে শিশুর শরীর থেকে আগুনের মতো তাপ বের হতে থাকে। ভিজে কাপড় পরিয়ে দিনরাত ফ্যানের নিচে রাখতে হয়। বিদ্যুৎ না থাকলে পাখার বাতাস করতে হয়।তিনি আরও জানান, মনিরার ছয় দিন বয়সে রামেক হাসপাতালের মেডিকেল বোর্ড এটিকে বিরল চর্ম রোগ বলে সনাক্ত করেছেন। শিশুটির ৩/৪ বছর বয়স হলে উন্নত চিকিৎসার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। দিনমজুর পিতা-মাতার শিশু তাসফিয়ার উন্নত চিকিৎসা করানোর সামর্থ নেয়। তাই বর্তমানে হোমিও চিকিৎসা চলছে। (সূত্র: সোনালী সংবাদ)
নাগরিকডেস্ক: করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য মাত্র দুই দিনে হাসপাতাল বানিয়েছে চীন সরকার। মধ্য চীনে এক হাজার শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালটি মঙ্গলবার উদ্বোধন করা হয়েছে। খবর যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য ডেইলি স্টারের।
জানা গেছে, টানা কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে প্রায় ৫ শত শ্রমিক দুই দিনে এই হাসপাতালটির নির্মান কাজ শেষ করেছেন। কর্তৃপক্ষ জানায়, সোমবারই তারা হাসপাতালটিতে পানি, বিদ্যুৎ, ইন্টারনেট এবং বিছানার ব্যবস্থা করে।
গত ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে করোনা ভাইরাসের আবির্ভাব ঘটে।এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চীনে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ১৩২ জন মারা গেছেন। আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ৬ হাজার মানুষ। চীন ছাড়াও থাইল্যান্ড, ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র এবং অস্ট্রেলিয়াসহ ১৫টি দেশে ৪৭ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। তবে চীনের বাইরে করোনা ভাইরাসে এখন পর্যন্ত কেউ মারা যাননি। প্রতিনিয়ত এই ভাইরাসে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের শরীরে প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে শ্বাসকষ্ট, জ্বর, সর্দি, কাশির মত সমস্যা দেখা দেয়।
নাগরিক ডেস্ক: যুক্তরার্ষ্ট্রে প্রেমিকের গুলিতে নিহত হয়েছেন ২২ বছর বয়সী বাঙালী এক তরুণী। নিহতের নাম নথিয়া ডি কোস্টা। সিনথিয়া মা-বাবার সাথে ওয়াশিংটন ডিসি সংলগ্ন ম্যারিল্যান্ড রাজ্যেও সিলভার স্প্রিং সিটিতে থাকতেন। এ ঘটনার পর প্রেমিক ডেরিক ম্যানকে ইন্ডিয়ানা অঙ্গরাজ্যের পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
সিনথিয়ার মা সিসিলিয়া জানান, সিনথিয়া চাকরির সুবাদে ওয়াশিংটন ডিসিতে একটি সম্মেলনে গেলে ডেরিকের সঙ্গে দেখা হয়। প্রথম দেখাতে ডেরিক সিনথিয়াকে ভালো লাগে বলে জানায় এবং তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। সিনথিয়া বিষয়টি নিয়ে আমার সাথে আলাপ করে।যুবককে দেখতে চাইলে সে তাকে বাসায় এনে পরিচয় করিয়ে দেয়। মার্কিন সেনাবাহিনীতে কর্মরত ডেরিকের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দিতে না চাইলেও সিনথিয়া ওই যুবকের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। যুবকটি ভার্জিনিয়ায় থাকতে সিনথিয়া প্রায়ই তার বাড়ি যেত। এক সময় যুবকের সঙ্গে মনোমালিন্য দেখা দিলে সিনথিয়া ছয় মাস পূর্বে বাসায় চলে আসে।
গত ১৩ জানুয়ারি সিনথিয়া নিজে ড্রাইভ করে ইন্ডিয়ানায় সেই প্রেমিক যুবকের সঙ্গে দেখা করতে যায়। সিনথিয়া সেখান থেকে তার মায়ের সঙ্গে প্রতিদিনই টেলিফোনে কথা বলতো এবং সব ঠিক আছে বলেও উল্লেখ করেন।
এরপর গেলো শুক্রবার বিকেলে ইন্ডিয়ানা পুলিশ সিনথিয়ার বাবাকে জানান যে, তার মেয়ে গুলিতে মারা গেছেন।
নাগরিক ডেস্ক: প্রেমিকা ও পতিতাসহ ৩০০ জনকে হত্যার দায়ে এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংকক থেকে আপিচাই অংউইসিট নামের ওই সিরিয়াল কিলারকে গ্রেপ্তার করেছে স্থানীয় পুলিশ। এছাড়া তার বাগানের পুকুর থেকে কয়েকশ মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। খবর ডেইলি মেইলের।
থাইল্যান্ড পুলিশের বরাত দিয়ে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইলের প্রতিবেদনে বলা হয়, বান্ধবী ওয়ারিনথর্ন চাইয়াচেটকে হত্যা এবং মরদেহ লুকানোর দায়ে ৪০ বছর বয়সী আপিচাই অংউইসিটেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আপিচাই অংউইসিটেকের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, গত শুক্রবার আপিচাই’র বাড়ি থেকে পুলিশ তার বান্ধবী ওয়ারিনথর্ন চাইয়াচেটের মরদেহ উদ্ধার করে। পরে সন্দেহ হলে পুলিশ আবারো আপিচাই অংউইসিটের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বাগানের পুকুর থেকে ৩০০ মানুষের হাড় উদ্ধার করে।
সিরিয়াল কিলার আপিচাই অংউইসিট মাদকাসক্ত এবং এই নিয়ে দ্বন্দের জেরে সে তার বান্ধবী ওয়ারিনথর্ন চাইয়াচেটকে হত্যা করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এই বিষয়ে ব্যাংকক পুলিশের প্রধান জিরাক্রিত জারুনপাত বলেন, উদ্ধার হওয়া হাড়গুলোর ময়নাতদন্ত চলছে। হাড়গুলো ওয়ারিনথর্ন চাইয়াচেটের বন্ধু, বান্ধবী এবং পতিতাদের হয়ে থাকতে পারে।
নাগরিক ডেস্ক: ফাস্ট ট্র্যাক মনিটরিং কমিটি জানিয়েছে, পদ্মা বহুমুখী মূলসেতুর ৮৫ দশমিক ৫ শতাংশ নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে।
রোববার (১৯ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ফাস্ট ট্র্যাক মনিটরিং কমিটির পঞ্চম সভায় এ তথ্য জানানো হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
পদ্মা সেতুসহ ফাস্ট ট্র্যাকভুক্ত ১০টি প্রকল্পের প্রতিটির অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরা হয় এ সভায়।
পদ্মা বহুমুখী প্রকল্পের প্রকল্পের পুরো কাজের ৭৬ দশমিক ৫০ শতাংশ শেষ হয়েছে বলেও জানানো হয় সভায়।
সভায় জানানো হয়, পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় জাজিরা প্রান্তে অ্যাপ্রোচ রোডের কাজ-৯১%, মাওয়া প্রান্তে এপ্রোচ রোডের কাজ-১০০%, সার্ভিস এরিয়া(২)-১০০%, মূল সেতু নির্মাণ কাজ ৮৫.৫০% এবং নদীশাসনের কাজ ৬৬% শেষ হয়েছে। প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৭৬.৫০% শেষ হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফাস্ট ট্র্যাক প্রজেক্টের প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি সম্পর্কে জানেন এবং প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, পদ্মা সেতু নিয়ে অনেক ঝামেলা গেছে আপনারা জানেন। আমরা আনন্দিত অর্ধেকের বেশি হয়ে গেছে। প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটারের মতো হয়ে গেছে।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউসের সঞ্চালনায় সভায় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, অর্থমন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল, পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহ্মুদ চৌধুরী, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট সচিব ও উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় ফাস্ট ট্র্যাক ভুক্ত ১০টি প্রকল্পেরই অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরা হয়।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের ৩টি প্যাকেজের প্রি-ইন্সপেকশন শেষ হয়েছে। প্রকল্পের ভৌত কাজকে ৩৪৪টি অঙ্গে বিভক্ত করে কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্ট (রামপাল) প্রকল্পের ভৌত অগ্রগতি ৪৬ দশমিক ৯ শতাংশ, আর্থিক অগ্রগতি ৪১ দশমিক ৭৫ শতাংশ শেষ হয়েছে।
মহেশখালি-মাতারবাড়ি সমন্বিত অবকাঠামো উন্নয়ন কার্যক্রম (এমআইডিআই) প্রকল্পে-বেজার উদ্যোগে গড়ে ওঠা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগরী (ফেনী অর্থনৈতিক অঞ্চল, মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল, সীতাকুন্ড অর্থনৈতিক অঞ্চল), মহেশখালি-মাতারবাড়ি সমন্বিত অবকাঠামো উন্নয়ন কার্যক্রম ও সাবরাং ইকো ট্যুরিজম পার্ক এবং জাইকা ও সরকারের সমন্বিত প্রয়াসে মহেশখালি-মাতারবাড়ি সমন্বিত অবকাঠামো উন্নয়ন কার্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত।
বর্তমানে এখানে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রায় ২০টি প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। এর মধ্যে মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ, বন্দর নির্মাণ, এলএনজি ও এলপিজি টার্মিনাল নির্মাণ অন্যতম।
ঢাকা মাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৪০.০২ শতাংশ।
এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় মহেশখালীতে দৈনিক ৫০০ এমএমসিএফ ক্ষমতাসম্পন্ন ফ্লোয়েটিং স্টোরেজ অ্যান্ড রি-গ্যাসিফিকেশন ইউনিট (এফএসআরইউ) এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণের কাজ Built Own Operate and Transfer (BOOT) ভিত্তিতে ইতোমধ্যে বাস্তবায়িত হয়েছে এবং গত বছরের ১৯ আগস্ট থেকে বাণিজ্যিকভাবে গ্যাস সরবরাহ শুরু করেছে।
ফার্স্ট ট্র্যাকভুক্ত গ্যাস পাইপলাইন নির্মাণ প্রকল্পের প্রারম্ভিক কার্যাবলি ও মালামাল সংগ্রহের কাজ ইতোমধ্যে ১০০ ভাগ শেষ হয়েছে। তাছাড়া, ভূমি অধিগ্রহণ ও ভূমি হুকুম দখলের কার্যক্রম গড়ে ৯০.৩৩ শতাংশ শেষ হয়েছে এবং আনোয়ারা-ফৌজদারহাট গ্যাস সঞ্চালন পাইপলাইন প্রকল্পের পাইপ লাইন নির্মাণ কাজ শতভাগ শেষ হয়েছে। অবশিষ্ট দু’টি প্রকল্পের পাইপ লাইন নির্মাণ কাজ গড়ে ৯০ ভাগ শেষ হয়েছে।
গভীর সমুদ্র বন্দর (সোনাদিয়া) প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা ও প্রাকৃতিক সম্পদ নষ্ট হবে এ জন্য এ প্রকল্প বাতিল করেছেন প্রধানমন্ত্রী। সোনাদিয়ায় গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ করা হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওখানে প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হবে। অনেক প্রাকৃতিক সম্পদ আমরা হারাবো।
পায়রা গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ প্রকল্পের ভৌত অগ্রগতি ৫৮.৮৪ শতাংশ এবং আর্থিক অগ্রগতি ৬২.৫৫ শতাংশ শেষ হয়েছে।
পদ্মাসেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের ভৌত অগ্রগতি ২১.৯৩ শতাংশ এবং আর্থিক অগ্রগতি ৩০.২২ শতাংশ।
দোহাজারী-রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু-মায়ানমারের নিকটে ঘুমধুম পর্যন্ত সিংগেল লাইন ডুয়েলগেজ ট্র্যাক নির্মাণ প্রকল্পের ভৌত অগ্রগতি ৩৩ শতাংশ, আর্থিক অগ্রগতি ২৩.৯৩ শতাংশ।
প্রকল্পগুলোর অগ্রগতির জন্য প্রধানমন্ত্রী সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ দেন এবং প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেন।
দেশের যেকোন নদীতে সেতু নির্মাণের আগে সেই নদীর চরিত্র সম্পর্কে জানার নির্দেশনা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নদীতে ব্রিজ বা কোনো কিছু করতে গেলে আমাদের কিন্তু নদীর চরিত্রটা কেমন বর্ষাকালে কি রুপ ধারণ করে, শীতকালে কি রূপ ধারণ করে এগুলো জেনে নিয়ে করা উচিত।’
‘নদীকে শাসন করতে গেলে সে শাসন মানবে না। সব নদী সব শাসন মানে না। সেটা মাথায় রেখে আমাদের কাজ করতে হবে।’
এ প্রসঙ্গে পদ্মানদীর কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই সেতুটা করার সময় নদীশাসন করে আমি কিন্তু নদী ছোট করতে দেইনি। পদ্মা নদীর চরিত্র সম্পর্কের কারো জানা নেই। এই নদীটা অসম্ভব ভাঙনপ্রবণ। এখানে বাঁধ দিয়ে ছোট করতে গেলে এই নদী মানবে না। আমাদের ব্রিজটাই বড় করতে হবে। এখানে জায়গাও রাখতে হবে বাপার জোনও থাকবে। যাতে বন্যার পানিটা ধারণ করতে পারে।’
ফাস্ট ট্র্যাকভুক্ত ১০টি প্রকল্প ছাড়াও অন্যান্য বড় প্রকল্পগুলো মনিটর করতে ‘ফাস্ট ট্র্যাক মনিটরিং কমিটি’ কে নির্দেশনা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের কতগুলো বড় বড় প্রজেক্ট আছে। সেগুলোর কয়েকটা আমরা ফাস্ট ট্র্যাক প্রকল্প হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেছি। আমাদের আরও অনেকগুলো প্রজেক্ট গুরুত্বপূর্ণ। আমরা প্রাথমিকভাবে কিছু ফাস্ট ট্র্যাক প্রজেক্ট হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেছি এবং মনিটরিং করে যাচ্ছি। আমরা সেগুলোতো মনিটর করবোই ভবিষ্যতে আমার মনে হয় এই কমিটি থেকে শুধু এ কয়েকটা দেখলে হবে না, আরও অনেকগুলো প্রজেক্ট আছে যেগুলো দেখতে হবে।’
সরকারের ধারাবাহিকতার সুফল তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘প্রতিটি কাজ যখন সরকারের ধারাবাহিকতা থাকে না তখন কাজগুলো নষ্ট হয়।’
টানা তিন বার আওয়ামী লীগকে দেশ পরিচালনার সুযোগ দেওয়ার জন্য জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি জনগণের কাছে কৃতজ্ঞ যে অন্তত তারা আমাদের এইটুকু সুযোগ দিয়েছে। যে আমরা পর পর এবার নিয়ে তৃতীয় বার এসেছি। তাতে আমাদের উন্নয়নের কাজগুলো সেগুলো বাস্তবায়নও করতে পারছি এবং মানসম্মতও করতে পারছি।’