নাগরিক ডেস্ক: রমজান মাস আসন্ন। বছর ঘুরে আবারও আসছে মুসলিম জাতির জন্য অত্যন্ত পবিত্র এ মাসটি। ১৪৪১ হিজরি অর্থাৎ ইংরেজি ২০২০ সালের রমজান মাসের ক্যালেন্ডার প্রকাশ করেছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ।
শনিবার (৪ এপ্রিল) প্রকাশিত ওই সময়সূচি অনুযায়ী, আগামী ২৫ এপ্রিল (সম্ভাব্য) থেকে শুরু হবে রমজান মাস। তবে প্রথম রোজার তারিখ চাঁদ দেখার ওপর নির্ভরশীল।ইসলামী বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী ৯ম মাসকে পবিত্র রমজানের মাস হিসেবে পালন করে থাকে গোটা মুসলিম বিশ্ব। ইসলামের ৫টি স্তম্ভের মাঝে সাওম বা রোজা পালন ৩য়। মহিমান্বিত এ মাসে নাজিল হয়েছে মুসলিমদের ধর্মগ্রন্থ কোরআন’।
নাগরিক ডেস্ক:বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে মৃত ব্যক্তির নিরাপদভাবে জানাজা ও দাফন করার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) নির্দেশনা অনুসরণ করার পরামর্শ দিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন (ইফা)।
সোমবার (২৩ মার্চ) ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আনিস মাহমুদের সই করা এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, বিভিন্ন দেশে প্রতিদিনই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া যাচ্ছে এবং নতুন নতুন লোক এ ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে। বাংলাদেশেও সম্প্রতি ২৭ জন ব্যক্তি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন; মারা গেছেন একাধিক ব্যক্তি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক মৃত ব্যক্তির দাফন/জানাজার বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) গাইড লাইন মোতাবেক একটি নির্দেশনা তৈরি করা হয়েছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশের প্রখ্যাত আলেম-ওলামাদের সঙ্গে মতবিনিময় করে ওই নির্দেশনার বিষয়ে শরীয়তের বিধানও অনুসরণ করা হয়েছে।
এ অবস্থায়, করোনা ভাইরাস সংক্রমণে মৃত ব্যক্তির দাফন ও জানাজার বিষয়ে উল্লিখিত ‘করোনা (কোডিভ-১৯) রোগে মৃতব্যক্তির মৃতদেহ নিরাপদভাবে দাফন/সৎকার/ব্যবস্থাপনার নির্দেশনা বা স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসেজিও-এর (এসওপি)’ অনুসরণ করার জন্য সবাইকে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।
এ বিষয়ে জনমনে কোনো বিভ্রান্তি, গুজব বা শঙ্কা যাতে না ছড়াতে পারে সেজন্য সঠিকভাবে সবার সচেতনতা সৃষ্টির জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বিভাগ/জেলা/উপজেলা পর্যায়ের কর্মী, মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের শিক্ষকসহ মসজিদের ইমাম/খতিব/মুয়াজ্জিন সাহেবদের বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়েছে।
নাগরিক ডেস্ক:
সৌদী আরবের পবিত্র নগরী মক্কায় হজ ও ওমরাহ পালনে আসা হজযাত্রীদের সুবিধায় পবিত্র কাবা শরিফের আঙিনায় স্থাপন করা হচ্ছে ৬২টি বৃহদাকার ছাতা।
নির্মাণাধীন এসব ছাতার প্রতিটির নিচে অবস্থান করতে পারবেন আড়াই হাজার ধর্মপ্রাণ মুসলমান।মক্কার বায়তুল্লাহ চত্বর থেকে প্রায় ৩০ মিটার উচ্চতায় স্থাপন করা হচ্ছে ছাতাগুলো।রোদের তীব্রতা থেকে মুসল্লিদের সুরক্ষা দিতেই ছাতাগুলো নির্মিত হচ্ছে।
প্রচন্ড গরমে হজ ও ওমরাহ পালনকারীদের কষ্টের কথা চিন্তা করে ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে প্রয়াত বাদশাহ মালিক আবদুল্লাহ বিন আবদুল আজিজ আল-সাউদই এসব ছাতা নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছিলেন।
পবিত্র হজ ও ওমরাহ পালনকারীদের সুবিধার্থে মদিনার মসজিদে নববির ভেতরের উন্মুক্ত স্থান এবং বাইরের আঙিনায় স্থাপিত ভাঁজ করা ছাতার আদলেই বৃহদাকার এসব ছাতা নির্মাণের কাজ শুরু করেছে হারামাইন কর্তৃপক্ষ। একেকটি ছাতা দৈর্ঘ্যে ও প্রস্থে ৫৩ মিটার।
সৌদী আরব সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় জাপানি প্রযুক্তিতে জেনারেল প্রেসিডেন্সি টু হলিমস্ক নামের একটি কোম্পানি ছাতাগুলো নির্মাণ করছে।
এ কাজে ২৫ জন অভিজ্ঞ প্রকৌশলীর নেতৃত্বে দক্ষ কারিগর ও নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা নির্মাণকাজে অংশ নিয়েছেন।
প্রতিটি ছাতার ওজন হবে প্রায় ১৬ টন। হারাম শরিফের ওপরে আটটি এবং হারামের উত্তর পাশে ৫৪টি ছাতা বসানো হবে।
সবকটি ছাতা মিলে প্রায় ১৯ হাজার ২০০ বর্গমিটার স্থানজুড়ে ছায়া দেবে। কাবা শরিফের ছাদও এমন মডেল ছাতার ছায়াতলে থাকবে।
নাগরিক ডেস্ক: ২০২০ সালে ‘মক্কা রুট ইনিসিয়েটিভ’র আওতায় বাংলাদেশের সব হজযাত্রীর ইমিগ্রেশন আশকোনা হজ ক্যাম্পে করা হবে। এ লক্ষ্যে আশকোনা হজ ক্যাম্প সম্প্রসারণ ও সংস্কার কার্যক্রম শুরুর নির্দেশ দিয়েছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আলহাজ অ্যাডভোকেট শেখ মো. আব্দুল্লাহ।
রোববার (২৭ অক্টোবর) বেলা ১১টায় হজ ক্যাম্প সম্প্রসারণ ও সংস্কার কার্যক্রম-সংক্রান্ত সভায় সংশ্লিষ্টদের তিনি এ নির্দেশ দেন।প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষের অর্থনৈতিক সক্ষমতা বৃদ্ধির ফলে ২০০৯ সাল থেকে বাংলাদেশি হজযাত্রীর সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০০৯ সালে যেখানে বাংলাদেশি হজযাত্রীর সংখ্যা ছিল ৫৮ হাজার ৬২৮, সেখানে ২০১৯ সালে হজযাত্রীর সংখ্যা এক লাখ ২৬ হাজার ৯২৩ জনে বৃদ্ধি পেয়েছে। এ বছর রাজকীয় সৌদি সরকারের ‘মক্কা রুট ইনিসিয়েটিভ’ কর্মসূচির অধীনে প্রায় অর্ধেক হজযাত্রীর সৌদি আরব অংশের ইমিগ্রেশন জেদ্দার পরিবর্তে ঢাকায় সম্পন্ন হয়েছে। তবে ২০২০ সালে সব হজযাত্রীকে এ কর্মসূচির অধীনে আনা হবে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ভবিষ্যতে হজযাত্রীর সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে এ সংক্রান্ত কার্যক্রমও বৃদ্ধি পাবে। এখন থেকে হজ ক্যাম্প সম্প্রসারণ ও সংস্কার-সংক্রান্ত কার্যক্রম গ্রহণ করা প্রয়োজন।
২০১৯ সালে মোট ৩৬৬টি হজ ফ্লাইট পরিচালিত হয়। সৌদি এয়ারলাইন্সের মাধ্যমে পরিচালিত হজযাত্রীদের মধ্যে যারা মক্কা রুট ইনিসিয়েটিভ কর্মসূচির অধীনে হজ করেছেন তাদের লাগেজ ট্যাগ গ্রহণ ও ইমগ্রেশন নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে। ২০২০ সালের সব হজযাত্রীদের বাংলাদেশ অংশের ইমিগ্রেশন হজ ক্যাম্পে করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
সভায় ধর্ম সচিব মো. আনিছুর রহমান, হজ অফিস, ঢাকা, সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ, পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন অধিদফতর, গণপূর্ত অধিদফতর, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
আতিকুর রহমান নগরী
প্রাবন্ধিক, কলামিস্ট
দৈনিক ইনকিলাব
আজকের এই পৃথিবীতে মুসলিম জনসংখ্যা প্রায় দেড়শ’ কোটির মতো। আজ পৃথিবীর অন্যান্য জাতিবর্গ সভ্যতার পোশাকধারী, আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞান যাদের হাতে লালিত পালিত হচ্ছে। তারাই এসবের দাবিদার। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, আজ একথা কেউ আর ভাবে না যে, এ সভ্যতা কোথা থেকে এলো? জ্ঞান-বিজ্ঞানের অন্বেষণ ও এর অনুসরণ-অনুকরণ, অনুধাবন মুসলমানদের ঈমানেরই অঙ্গ ও অংশবিশেষ। মহাগ্রন্থ আল-কোরআনে শিক্ষা-দীক্ষার জন্য নানারূপ উপদেশ বাণী রয়েছে। তদ্রুপ হাদীস শরীফেও বিভিন্ন উৎসাহ বাণী আছে। জ্ঞান-বিজ্ঞানের প্রতিটি শাখা-প্রশাখা অনুসন্ধান করলে দেখা যাবে যে, মুসলমানদের ধর্মীয় প্রেরণা ও প্রয়োজন তাদেরকে জ্ঞানার্জনে বাধ্য করেছে। অবশ্য, অজানাকে জানা, অচেনাকে চেনার দুর্নিবার আগ্রহ এর মূলে রয়েছে। মধ্য যুগে তারাই বিশ্ববাসীকে বিজ্ঞান শিক্ষা দিতেন। আধুনিক বৈজ্ঞানিক যুগের সূত্রপাত তারাই করেছেন। পিকে. হিট্টির ভাষায় বলতে হয়, ‘অষ্টম শতাব্দীর মাঝামাঝি সময় থেকে ত্রয়োদশ শতাব্দীর প্রারম্ভ পর্যন্ত কোরআন ও হাদীসধারীগণ সমগ্র বিশ্বে সভ্যতা সংস্কৃতিকে আলাদা করেছেন।’
ইতিহাস হচ্ছে একটি জাতির দর্পণ। তারই মধ্যে পূর্বের আলোকে, বর্তমান পরিপ্রেক্ষিতে ভবিষ্যৎ চিত্র সুন্দরভাবে প্রতিফলিত হয়। হিজরী দ্বিতীয় সনে ধারাবাহিকভাবে ইতিহাস রচনার প্রকৃত ভিত্তি গড়ে উঠে। আলী বিন মোহাম্মদ বিন আব্দুল্লাহ মাদায়েনী ছিলেন ইসলামের প্রথম ইতিহাস লেখক। সমগ্র বিশ্বের সর্বশেষ ঐতিহাসিক হচ্ছেন পারস্যের তাবারী স্থানের অধিকারী আবু জাফর মোহাম্মদ ইবনে জারীর আত্-তারাবী। যিনি দৈনিক ৪০ পৃষ্ঠা করে সুদীর্ঘ ৪০ বছর পর্যন্ত ইতিহাস লিখার কাজে ব্যয় করেছিলেন। তাছাড়া ঐতিহাসিক ইবনে ইসহাক, ইবনে সা’দ, আল-ওয়াকিদি, আল-মাসুদী ও ইবনে খালদুন হলেন বিশ্ববিখ্যাত ঐতিহাসিকদের অন্যতম। মুসলিম দর্শন হযরত আদম (আ.)-এর কাল থেকেই আরম্ভ হয়ে গিয়েছিল। জীবন ও জগতের পরিপূর্ণ মূল্যায়নের নাম যদি দর্শন হয়, তবে কি হযরত ইব্রাহিম (আ.) তথা অন্যান্য নবীর খোদা লাভের ধ্যান-ধারণা দর্শন নয়? কিন্তু বিশেষ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে ইবনেসিনা, ইবনে রুশদ ও ইমাম গাজ্জালীর যুগে দর্শন শাস্ত্রের প্রকৃত চেহারা ফুটে উঠে। তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলস্বরূপ বিশ্ববাসী বুঝতে সক্ষম হয়েছে, মুসলিম দর্শনই প্রকৃত দর্শন। ইসলামের সর্বশ্রেষ্ঠ দার্শনিক হলেন আল-ফারাবী ও ইমাম গাজ্জালী। পবিত্র কোরআনে রোগ যন্ত্রণার মুক্তির পথ বর্ণিত হয়েছে। অনুরূপভাবে সহীহ বোখারী শরীফে এ সম্পর্কে দুটি অধ্যায়ের অবতারণা করা হয়েছে। এ শাস্ত্র যাদের ছোঁয়ায় ভরপুর তারা হলেন- হুমায়ুন বিন ইসহাক, ইসা বিন ইয়াহিয়া, জাবির বিন হাইয়ান, মোহাম্মদ বিন জাকারিয়া, আলী, রাজীত, ইবনে সিনা, ইবনে মিনার। ‘কানুন’ নামক গ্রন্থ পাশ্চাত্যে ‘মেডিকেল বাইবেল’ নামে পরিচিত হয়েছিল। সুদীর্ঘ আটশ’ বছর পর্যন্ত বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যপুস্তক রূপে নির্ধারিত ছিল। বর্তমানে প্রচলিত অঙ্ক শাস্ত্রের জনক হলেন ‘আল খারিজমী’। তার রচিত গ্রন্থ দ্বাদশ শতাব্দী থেকে ষোড়শ শতাব্দী পর্যন্ত আধুনিক সভ্যতাভিমানী ইউরোপের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠ্যপুস্তক হিসেবে ল্যাটিন অনুবাদের মাধ্যমে ব্যবহৃত হয়েছিল। তাছাড়া নব্য রসায়ন শাস্ত্র যাকে আমরা কেমিস্ট্রি বলে থাকি এর আবিষ্কারক হলেন ‘জাবির বিন হাইয়ান’। ইউরোপের বীজগণিতে নব যুগের সূচনাকারী হলেন ‘ঈসা আল মুহানী’ প্রকৃত পক্ষে মুসলিম মানচিত্রকার ও ভূগোলবিদ হলেন- আল খারিজমী, আলী ইদ্রিস, আল মাকসুদী, আল বেরুনী প্রমুখ।
এরূপভাবে জ্ঞান-বিজ্ঞানের প্রতিটি শাখা-প্রশাখায় মুসলিম মনীষীদের অবদান অন্ধকার আকাশে পূর্ণিমার চন্দ্রের মতো বিরাজমান। মানব সমাজের প্রধান প্রধান কাজ মুসলমানগণ সমাধান করেছেন। সর্বশ্রেষ্ঠ দার্শনিক আল ফারাবী ছিলেন মুসলমান। সর্বশ্রেষ্ঠ গণিতবেত্তা আবু কামিল ও ইব্রাহিম বিন সিনান ছিলেন মুসলমান। সর্বশ্রেষ্ঠ মানচিত্রকার ও ভূগোলবিদ আলী ইদ্রিস, আল মাকসুদী ছিলেন মুসলমান। বর্তমান বিজ্ঞান ও বৈজ্ঞানিক মুসলমানদের নিকট শতদিক দিয়ে ঋণী। কিন্তু হায়! যখন ইউরোপবাসীরা দস্তখত তো দূরের কথা দু’হাতের সাহায্যে টিপসইও দিতে জানতো না, তখন মুসলিম স্পেনে একজন নিরক্ষর লোক পাওয়া যেত না। আজ মুসলিম সমাজ তাদের মূল পুঁজি কোরআন-হাদীসকে অবহেলা করে বিশ্ববাসীর হাসির খোরাক ও হাতের পুতুলে পরিণত হয়েছে। নানারূপ নির্যাতন ও নিপীড়নের শিকার হচ্ছে মুসলিম সম্প্রদায়গুলো। আল্লাহ আমাদের সবাইকে ভালোভাবে কোরআন-হাদীস বুঝার ও নবীর আদর্শকে আঁকড়ে ধরে সুন্দর জীবন যাপন করার তৌফিক দান করেন। আমিন!