নাগরিক ডেস্ক: নওগাঁর রাণীনগর সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক (ইসলাম ধর্ম) আব্দুস সোবহান মৃধার বিরুদ্ধে ভূয়া ও জাল সনদে চাকরির অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর ঢাকার সহকারি পরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম টুকু স্বাক্ষরিত গত ৯ মার্চ তারিখের এক চিঠিতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর রাজশাহী অঞ্চলকে তদন্ততের নির্দেশ দিয়েছেন।
অভিযোগে জানা গেছে, আব্দুস সোবহান মৃধা জাল সনদ দিয়ে প্রায় ২৫ বছর ধরে ওই বিদ্যালয়ে চাকুরি করে আসছেন। সম্প্রতি বিদ্যালটি সরকারিকরণ হলে শিক্ষকের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যাচাই বাছাইয়ে তার সনদে অসংগতি ধরা পড়ে।
অভিযোগে বলা হয়, তার দাখিল পাশের সনদে ঘষামাজা রয়েছে। জন্ম তারিখ অনুযায়ী দাখিল পাশের সময় বয়স ছিল মাত্র ১৩ বছর। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামিক স্টাডিজ বিষয়ে পড়াশুনাকালীন সময়ে বেগম রোকেয়া হলের শিক্ষার্থী ছিলেন বলে উল্লেখ রয়েছে। অথচ ওই হলটি ছাত্রীদের। বিষয়টি জানাজানি হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ওই বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা মোরশেদা বানু ১২টি দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বোর্ড রাজশাহী অঞ্চলের উপ-পরিচালককে তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এবিষয়ে রাণীনগর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল জলিল বলেন, সহকারি শিক্ষক আব্দুস সোবহানের বিরুদ্ধে জাল সনদে চাকুরির অভিযোগটি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা, রাজশাহী অঞ্চল, রাজশাহীকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন এবং অনুলিপি পেয়েছি। তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে। তথ্য সূত্র : ইউনির্ভাসাল নিউজ।
নাগরিক প্রতিবেদক: পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বালিশ কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সাজিন এন্টারপ্রাইজের জালিয়াতি রাজশাহীতেও ধরা পড়েছিল। এ নিয়ে সংবাদমাধ্যমে অনেক লেখালেখি হয়। অবশেষে মঙ্গলবার ঠিকাদারের লোকজন নকল জেনারেটর বের করে নিয়ে যান। আর আসল জেনারেটর দিয়ে যান। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নকল জেনারেটরটি সরবরাহ করা হয়েছিল।
সাজিন এন্টারপ্রাইজের সরবরাহ করা জেনারেটরটি কর্তৃপক্ষের স্পেসিফিকেশনের সঙ্গে না মেলায় তা ফেরত নেওয়ার জন্য গত ১৩ নভেম্বর চিঠি দেওয়া হয়। চিঠি পাওয়ার পরবর্তী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে তাদের ওই যন্ত্রটি ফেরত নিয়ে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছিল।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের যন্ত্রপাতি ক্রয় ও ভবন রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করে থাকে গণপূর্ত বিভাগ। তারা হাসপাতালে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য গণপূর্ত বিভাগ এক হাজার কেভি সাবস্টেশন ও ভবন নির্মাণ এবং ৫০০ কেভি জেনারেটর কেনার জন্য ২০১৮ সালে দরপত্র আহ্বান করে। প্রায় ২ কোটি ৮৪ লাখ টাকার এই প্রকল্পের কাজটি পায় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে মালামাল সরবরাহের কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত সেই সাজিন এন্টারপ্রাইজ।
২০১৮ সালের ৩ অক্টোবর থেকে ছয় মাসের মধ্যে এই কাজ সম্পন্ন করার কথা ছিল। ৯৭ লাখ ৩১ হাজার টাকায় এই জেনারেটরটি ইউরোপ থেকে কেনার কথা ছিল। গত বছর মে মাসের দিকে কর্তৃপক্ষের অজ্ঞাতে এই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নবনির্মিত ভবনে জেনারেটর রেখে যায়। নিয়ম অনুযায়ী, বিদেশ থেকে এনে সরবরাহের আগেই ঢাকায় কারখানা পরিদর্শনের সময় যন্ত্রটি চালিয়ে দেখানোর কথা। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি তা করেনি বরং প্রভাব খাটিয়ে যন্ত্রটি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেখে যায়।
গণপূর্তের একটি সূত্র জানায়, এলসিতে জেনারেটরটির যে ক্রমিক নম্বর দেওয়া হয়েছে, সেটি দিয়ে অনলাইনে অনুসন্ধান করলে কেনা জেনারেটর ও এর উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের বিস্তারিত তথ্য পাওয়ার কথা। কিন্তু অনলাইনে অনুসন্ধান করে তা পাওয়া যায়নি। একতরফাভাবে যন্ত্রটি সরবরাহ করায় কর্তৃপক্ষের সন্দেহ হয়। তারা একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে।
এছাড়াও গণপূর্ত বিভাগের রাজশাহী কার্যালয় থেকে এই ব্যাপারে অনুসন্ধান চালিয়ে দেখা যায়, গণপূর্ত বিভাগের সঙ্গে চুক্তির আগেই জেনারেটরটির এলসি করা হয়েছিল। এসব অনিয়মের কারণে সাজিন এন্টারপ্রাইজকে তাদের সরবরাহ করা জেনারেটর ফেরত নিয়ে যাওয়ার জন্য চিঠি দেওয়া হয়।
গণপূর্ত বিভাগের রাজশাহীর নির্বাহী প্রকৌশলী ফেরদৌস শাহনেওয়াজ কান্তা বলেন, তাঁদের স্পেসিফিকেশনের সঙ্গে না মেলার কারণে তাঁরা যন্ত্রটি ফেরত নিতে বলেছিলেন। এবার তাঁরা চট্টগ্রাম বন্দরেই জেনারেটরটি দেখে নিয়েছেন। মঙ্গলবার তাঁরা আগের সরবরাহ করা জেনারেটরটি নিয়ে যান এবং তাঁদের চাহিদা অনুযায়ী আসল জেনারেটরটি দিয়ে যান।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের চারটি ভবনে আসবাব ও ইলেকট্রনিক পণ্য সরবরাহের জন্য যে তিনটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ পায়, তাদের একটি হচ্ছে এই সাজিন এন্টারপ্রাইজ। তদন্তে উঠে এসেছে, সাজিন এন্টারপ্রাইজের সরবরাহ করা মাল সবচেয়ে নিম্নমানের। সেখানে সাজিন একাই পেয়েছে ১৪৬ কোটি টাকার তিনটি কাজ।
তথ্য সূত্র : অনলাইন
নাগরিক প্রতিবেদক: রাজশাহী নগরীর বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে সিটি করপোরেশন (রাসিক) এরপাওনা হোল্ডিং ট্যাক্স বাবদ বকেয়া রয়েছে আট কোটি ২৫ লাখ ৯৯ হাজার ১৯০ টাকা। আর অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও নগরবাসীর কাছে বকেয়া করের পরিমাণ ৩ কোটি ৮৪ লাখ ১৭ হাজার ছয় টাকা। এ নিয়ে বিপাকে রয়েছে রাসিকের রাজস্ব বিভাগ।
বকেয়া ট্যাক্সের তালিকায় আছে রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, শিল্পকলা একাডেমি, টেক্সটাইল মিলের মত প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কাছে পাওনা দুই কোটি টাকা, টেক্সটাইল মিলের কাছে ২ কোটি ৩৬ লাখ ৭২ হাজার ৮৭৬ টাকা, রাজশাহী মডেল স্কুল এন্ড কলেজের কাছে কাছে ১ কোটি ৩ লাখ ৮০ হাজার ৬৯০ টাকা, রাজশাহী জেলা স্টেডিয়ামের কাছে ৯৮ লাখ ৯১ হাজার ৬৯৮ টাকা, শহীদ কামারুজ্জামান স্টেডিয়ামের কাছে ৪৮ লাখ ২০ হাজার ৪০০ টাকা, শিল্পকলা একাডেমির কাছে ৪৬ লাখ ৮ হাজার ২৩৯ টাকা পাওনা রয়েছে।
রাজস্ব বিভাগ থেকে জানা গেছে, চলতি অর্থ বছরে প্রায় ১৯ হাজার গ্রাহকের কাছে রাসিকের হোল্ডিং ট্যাক্স বকেয়া আছে। যারা নগরীর এক তৃতীয়াংশ বাড়ী বা ভবনের মালিক। ফলে মোট বকেয়া ট্যাক্সের মোট পরিমাণ ১২ কোটি ১০ লাখ ১৬ হাজার ১৯৬ টাকা। এর মধ্যে ১২১টি সরকারি দফতর কর দেয় নি। তাদের কাছে পাওনা করের পরিমান আট কোটি ২৫ লাখ ৯৯ হাজার ১৯০ টাকা। আর ব্যক্তিগত পর্যায়ে হোল্ডিং ট্যাক্স বকেয়া রয়েছে ১৮ হাজার ২০২ জন মালিকের। তাদের কাছে বকেয়া ট্যাক্স রয়েছে ৩ কোটি ৮৪ লাখ ১৭ হাজার ছয় টাকা। এ পরিস্থিতিতে বকেয়া কর আদায়ে রাসিক কর খেলাপীদের চিহ্নিত করণ শুরু করে ইতোমধ্যে অনেক প্রতিষ্ঠানকে নোটিশ দেয়া হয়েছে। নিধারিত সময়ে ট্যাক্স না দিলে সংশ্লিষ্টদের বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে রাসিক।
নাগরিক প্রতিবেদক: রাজশাহী মহানগর আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষীক সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে আসছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আগামী ১ মার্চ রবিবার সকাল ১০ টায় রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের সভাপতিত্বে রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা ময়দানে ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন উদ্বোধন করবেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সভাপতি মন্ডলীর সদস্য এমপি মোহাম্মদ নাসিম।প্রধান বক্তা হিসেবে থাকছেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকছেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ যুগ্ম সাধারন সম্পাদক নানক জাহাঙ্গীর কবির, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সভাপতি মন্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান, তথ্য মন্ত্রী ড: হাসান মাহমুদ, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ও হুইপ সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদ সদস্য আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ উপদেষ্টা ড: আব্দুল খালেক ও ড: সাইদুর রহমান খান, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সদস্য নুরুল ইসলাম ঠান্ডু ও আখতার জাহান।
নাগরিক প্রতিবেদক: সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ভিড়ের চাপে মঞ্চ ভেঙে পড়ে গেলেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। বৃহস্পতিবার বিকেলে নগরীর সাহেববাজার বড় মসজিদ প্রাঙ্গনে মহানগর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন ও রাসিক মেয়রকে সংবর্ধনার সময় এ ঘটনা ঘটে। পরে পাশে থাকা দলীয় কর্মীরা তাকে উদ্ধার করেন। এতে মেয়র বাম পায়ে আঘাত পেয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী আওয়ামী লীগের নেতারা জানায়, রাজশাহী মহানগরীর অবকাঠামো উন্নয়নে একনেকে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এ জন্য প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন ও রাসিক মেয়রকে সংবর্ধনার আয়োজন করে মহানগর আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠন। মেয়র লিটনকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানাতে দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা মঞ্চে উঠতে থাকলে এক পর্যায়ে মঞ্চটি ভেঙে পড়ে। এসময় মেয়র লিটন পড়ে যেতে লাগলে দলীয় কর্মীরা তাকে উদ্ধার করেন। মঞ্চটি তৈরী করাও হয়েছে দুর্বলভাবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শফিকুর রহমান বাদশা বলেন, বিপুল সংখ্যক দলীয় নেতাকর্মী একসঙ্গে মঞ্চে উঠলে তা ভেঙে যায়। এসময় মেয়রও পড়ে যেতে লাগলে কর্মীরা তাকে উদ্ধার করেন। মেয়র বাম পায়ে আঘাত পেয়েছেন। পরে মঞ্চের নিচে দাড়িয়ে তিনি নেতাকর্মীকের কাছ থেকে ফুলের শুভেচ্ছা গ্রহন করেন।
নাগরিক প্রতিবেদক: জাতীয় দৈনিক “আমার সংবাদ” পত্রিকা স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের পক্ষে সোচ্চার থাকবে এ আশাবাদ ব্যক্ত করে আলোচনা সভায় অতিথিবৃন্দ বলেন, দেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা থাকার কারণেই বিভিন্ন গণমাধ্যম প্রকাশনার সংখ্যা বেড়েই চলেছে। গণমাধ্যম গুলো মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। পাশাপাশি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার ব্যপারেও গণমাধ্যম কার্যকর ভূমিকা রাখছে। আর এ ধারাবাহিকতা অব্যহত রাখার জন্য স্থানীয় গণকর্মীদের সততা ও দেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে নিবেদিত হয়ে কাজ করার আহ্বার জানান।
গতকাল সোমবার রাজশাহী প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত দৈনিক আমার সংবাদ পত্রিকার ৮ম বর্ষে পদার্পন উপলক্ষে আলোচনা সভায় অতিথিবৃন্দ এসব কথা বলেন। রাজশাহী প্রেসক্লাব সভাপতি ও সিনিয়র সাংবাদিক সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা ও সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম সভাপতি শাজাহান আলী বরজাহান, বিশিষ্ট লেখক ও প্রাবন্ধনিক প্রফেসর রুহুল আমিন প্রামানিক, প্রবীন সাংবাদিক ও কলামিষ্ট প্রশান্ত কুমার সাহা, দৈনিক রাজশাহী সংবাদ পত্রিকার সম্পাদক আহসান হাবীব অপু, দৈনিক রাজশাহী আলো পত্রিকার সম্পাদক আজিবর রহমান, দৈনিক উপচার পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক নূরে ইসলাম মিলন, দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার ষ্টাফ রিপোর্টার আনিসুজ্জামান আনিস, দৈনিক মানবকণ্ঠ পত্রিকার ষ্টাফ রিপোর্টার কামরুজ্জামান বাদশা, দৈনিক ভোরের ডাক পত্রিকার রাজশাহী প্রতিনিধি শাহ জামাল, দৈনিক নতুন প্রভাত পত্রিকার চীফ রিপোর্টার ওমর ফারুক, দৈনিক রাজশাহী সংবাদ পত্রিকার চীফ রিপোর্টার হাবিব আহমেদ, ইংরেজী দৈনিক এশিয়ান এজ এর রাজশাহী প্রতিনিধি সাকিব আল হাসান, অনলাইন নিউজ পোর্টাল নাগরিক সময় এর ষ্টাফ রিপোর্টার মেহজাবিন জান্নাত, রাজশাহী ফটো জানালিষ্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি আসাদুজ্জামান আসাদ, রাবি প্রেসক্লাব সভাপতি সালমান শাকিল ও সেক্রেটারী বেলাল হোসাইন, শিক্ষা স্কুল এন্ড কলেজ এর অধ্যক্ষ ইব্রাহীম হোসেনসহ নগরীতে কর্মরত বিভিন্ন পত্রিকার গণমাধ্যম কর্মী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
পত্রিকার ব্যুরো চীফ মহিব্বুল আরেফিন দৈনিক আমার সংবাদ পত্রিকার সম্পাদকের পক্ষ থেকে সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, পত্রিকাটি সংবাদ প্রকাশে ‘নতুনত্ব’ এবং গত সাত বছর ধরে সাধারন মানুষের মুখপত্র হিসেবে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে সাহসীকতার পরিচয় দিয়ে আসছে। যার ধারাবাহিকতায় পত্রিকাটি আজ দেশের ১০তম পত্রিকা হিসেবে তালিকা ভূক্ত হতে পেরেছে।
পাশাপাশি স্বাধীনতা ও দেশের উন্নয়নে পত্রিকাটি সার্বিক ভাবে তার স্থান থেকে কাজ করে যাচ্ছে। এসময় দৈনিক আমার সংবাদ পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি জনাব আলী, বরেন্দ্র অঞ্চল প্রতিনিধি ড. সাদিকুল ইসলাম, ফটোগ্রাফার সৌরভ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা শেষে কেক কেটে পত্রিকাটির ৭ম বর্ষ উদযাপন করা হয়।
নাগরিক প্রতিবেদক: জাতীয় দৈনিক “আমার সংবাদ” পত্রিকা স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের পক্ষে সোচ্চার থাকবে এ আশাবাদ ব্যক্ত করে আলোচনা সভায় অতিথিবৃন্দ বলেন, দেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা থাকার কারণেই বিভিন্ন গণমাধ্যম প্রকাশনার সংখ্যা বেড়েই চলেছে। গণমাধ্যম গুলো মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। পাশাপাশি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার ব্যপারেও গণমাধ্যম কার্যকর ভূমিকা রাখছে। আর এ ধারাবাহিকতা অব্যহত রাখার জন্য স্থানীয় গণকর্মীদের সততা ও দেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে নিবেদিত হয়ে কাজ করার আহŸার জানান।
গতকাল সোমবার রাজশাহী প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত দৈনিক আমার সংবাদ পত্রিকার ৮ম বর্ষে পদার্পন উপলক্ষে আলোচনা সভায় অতিথিবৃন্দ এসব কথা বলেন। রাজশাহী প্রেসক্লাব সভাপতি ও সিনিয়র সাংবাদিক সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা ও সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম সভাপতি শাজাহান আলী বরজাহান, বিশিষ্ট লেখক ও প্রাবন্ধনিক প্রফেসর রুহুল আমিন প্রামানিক, প্রবীন সাংবাদিক ও কলামিষ্ট প্রশান্ত কুমার সাহা, দৈনিক রাজশাহী সংবাদ পত্রিকার সম্পাদক আহসান হাবীব অপু, দৈনিক রাজশাহী আলো পত্রিকার সম্পাদক আজিবর রহমান, দৈনিক উপচার পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক নূরে ইসলাম মিলন, দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার ষ্টাফ রিপোর্টার আনিসুজ্জামান আনিস, দৈনিক মানবকণ্ঠ পত্রিকার ষ্টাফ রিপোর্টার কামরুজ্জামান বাদশা, দৈনিক ভোরের ডাক পত্রিকার রাজশাহী প্রতিনিধি শাহ জামাল, দৈনিক নতুন প্রভাত পত্রিকার চীফ রিপোর্টার ওমর ফারুক, দৈনিক রাজশাহী সংবাদ পত্রিকার চীফ রিপোর্টার হাবিব আহমেদ, ইংরেজী দৈনিক এশিয়ান এজ এর রাজশাহী প্রতিনিধি সাকিব আল হাসান, অনলাইন নিউজ পোর্টাল নাগরিক সময় এর ষ্টাফ রিপোর্টার মেহজাবিন জান্নাত, রাজশাহী ফটো জানালিষ্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি আসাদুজ্জামান আসাদ, রাবি প্রেসক্লাব সভাপতি সালমান শাকিল ও সেক্রেটারী বেলাল হোসাইন, শিক্ষা স্কুল এন্ড কলেজ এর অধ্যক্ষ ইব্রাহীম হোসেনসহ নগরীতে কর্মরত বিভিন্ন পত্রিকার গণমাধ্যম কর্মী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
পত্রিকার ব্যুরো চীফ মহিব্বুল আরেফিন দৈনিক আমার সংবাদ পত্রিকার সম্পাদকের পক্ষ থেকে সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, পত্রিকাটি সংবাদ প্রকাশে ‘নতুনত্ব’ এবং গত সাত বছর ধরে সাধারন মানুষের মুখপত্র হিসেবে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে সাহসীকতার পরিচয় দিয়ে আসছে। যার ধারাবাহিকতায় পত্রিকাটি আজ দেশের ১০তম পত্রিকা হিসেবে তালিকা ভূক্ত হতে পেরেছে।
পাশাপাশি স্বাধীনতা ও দেশের উন্নয়নে পত্রিকাটি সার্বিক ভাবে তার স্থান থেকে কাজ করে যাচ্ছে। এসময় দৈনিক আমার সংবাদ পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি জনাব আলী, বরেন্দ্র অঞ্চল প্রতিনিধি ড. সাদিকুল ইসলাম, ফটোগ্রাফার সৌরভ হোসেন উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা শেষে কেক কেটে পত্রিকাটির ৭ম বর্ষ উদযাপন করা হয়।
নাগরিক প্রতিবেদক: প্রতিটি থানাকে জনগণের বিশ্বাস ও আস্থার জায়গায় পরিণত করার আহবান জানিয়ে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেছে, প্রতিটি মেট্রোপলিটন এলাকায় একটি থানাতে হলেও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে নারীদের রাখার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। যা অল্প সময়ের মধ্যে কার্যকর করা হবে। পুলিশের দায়িত্ব ও কর্তব্য অনেক বেশি। আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে পুলিশকেই সবার আগে এগিয়ে আসতে হবে। কারণ, অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চেয়ে পুলিশই সবচেয়ে বেশি আইনের প্রয়োগ করতে পারে।
রোববার সকালে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে ৩৭তম ক্যাডেট উপ-পরিদর্শক (এসআই) ব্যাচের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আইজিপি বলেন, জনগণের সাংবিধানিক ও আইনগত অধিকার প্রতিষ্ঠায় সরকার বিভিন্ন আইনকে সংস্কারের মাধ্যমে যুগোপযোগী করেছে। আইনের শাসন নিশ্চিত করতে পুলিশকে এগিয়ে আসতে হবে। মামলার যথাযথ তদন্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা, অপরাধীকে বিচারের আওতায় আনা, মামলার বাদী, ভিকটিম ও সাক্ষীদের নিরাপত্তা প্রদানসহ অর্পিত দায়িত্ব নির্মোহভাবে পালন করতে হবে। জনগণকে আইনী সহায়তা দেয়ার ক্ষেত্রে তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ সদস্যদেও দ্রæত ব্যবস্থা নিতেত হবে। নারী, শিশু, বৃদ্ধ ও প্রতিবন্ধীসহ সকল সেবাপ্রত্যাশী জনগণের প্রতি সংবেদনশীল আচরণ করতে হবে।
এর আগে আইজিপি ৩৭তম এসআই ব্যাচের সমাপনী কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন। এক বছর মেয়াদী এই প্রশিক্ষণে নতুন নিয়োগ পাওয়া ১ হাজার ৭৫৯ জন এসআই অংশ নেন। এর মধ্যে নারী সদস্য ১৩৭ জন। প্রশিক্ষণে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনকারী পাঁচজনের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন আইজিপি। এ সময় পুলিশ একাডেমির অধ্যক্ষ নাজিবুর রহমান, উপাধ্যক্ষ আব্দুল্লাহ-হিল বাকী, পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) একেএম হাফিজ আক্তার, রাজশাহী মহানগর পুলিশের কমিশনার হুমায়ুন কবীর, রাজশাহীর পুলিশ সুপার মো. শহিদুল্লাহসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ড. জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, জবাবদিহিতামূলক ও জনবান্ধব পুলিশ বাহিনী গড়ে তোলার মধ্য দিয়ে ‘বাংলাদেশ পুলিশ’ হবে অনন্য দৃষ্টান্ত। বর্তমানে পুলিশ বাহিনী দেশের অভ্যন্তরীণ শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, স্থিতিশীলতা বজায় রাখা, সন্ত্রাস দমন, মাদকের অপব্যবহার ও বিস্তার রোধে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। সা¤প্রতিক বছরগুলোতে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে সরকারের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির বাস্তবায়নে বাংলাদেশ পুলিশের পেশাদারিত্ব ও সাহসিকতা বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে।
‘বর্তমান সরকার পুলিশের কাঠামোগত সংস্কারের মাধ্যমে নতুন ও বিশেষায়িত ইউনিট গঠন, ধারাবাহিকভাবে জনবল বাড়ানো, কর্মদক্ষতার উন্নয়নে দেশে-বিদেশে যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের সুব্যবস্থা, অত্যাধুনিক লজিস্টিকস ও ইকুইপমেন্ট সরবরাহের সুব্যবস্থা করছে।’
আইজিপি তাঁর বক্তব্যে জানান, নতুন প্রযুক্তির বিকাশ ও বিশ্বায়নের সঙ্গে অপরাধের প্রকৃতি, মাত্রা ও অপরাধ সংগঠনের কৌশলে নিয়ত পরিবর্তন ঘটছে জানিয়ে আইজিপি বলেন, পুলিশকেও তাই অপরাধ মোকাবিলা, কলা-কৌশল প্রয়োগ এবং প্রযুক্তি ও লজিস্টিকস ব্যবহারে সক্ষমতা অর্জন করতে হচ্ছে। অপরাধীকে বিচারের আওতায় আনা থেকে শুরু করে পুলিশের প্রাত্যহিক কাজের পরিসরে সাইবার ক্রাইম রোধ, ফিন্যান্সিয়াল ক্রাইম নিয়ন্ত্রণ, আন্তঃদেশীয় অপরাধ ব্যবস্থাপনা, জাতীয় জরুরি সেবা-৯৯৯, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে দায়িত্ব পালন ইত্যাদি সংযোজিত হয়েছে। জনগণের সাংবিধানিক ও আইনগত অধিকার প্রতিষ্ঠায় সরকার বিভিন্ন আইনকে সংস্কারের মাধ্যমে যুগোপযোগী করেছে।
এসময় জেন্ডার গাইডলাইন্স অনুসরণ, নারী সহায়তা কেন্দ্র, শিশু হেল্প ডেস্ক প্রবর্তন, ডিএমপিতে উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশন, সারা দেশে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার প্রতিষ্ঠা, পুলিশ বাহিনীতে ধারাবাহিকভাবে বর্ধিত হারে নারী সদস্য নিয়োগ, বাংলাদেশ পুলিশে কর্ম পরিবেশের উন্নয়ন, বেবি-ডে কেয়ার সেন্টার স্থাপন, মাতৃত্বকালীন ছুটি এবং পুলিশ সদস্যদের আজীবন রেশনসহ বিভিন্ন সরকারের নেওয়া বিভিন্ন যুগোপযোগী ও ইতিবাচক পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন আইজিপি।
নাগরিক প্রতিবেদক: অনিয়ম আর অব্যবস্থাপনায় ভেঙ্গে পড়েছে রাজশাহী মসজিদ মিশন একাডেমী স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাপনা। এজন্য অধ্যক্ষ মোঃ নূরুজ্জামান খান এর নিয়ম বর্হিভ‚ত বিভিন্ন কর্মকান্ডকে দায়ী করছেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক ও অভিভাবকরা। ইতোমধ্যে অধ্যক্ষ’র একটি জালিয়াতির ঘটনার অভিযোগের ভিত্তিতে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে তদন্ত কমিটি গঠণ প্রক্রিয়াধীণ রয়েছে।
রাজশাহী নগরীর সাহেব বাজার বড়কুঠিতে ১৯৮১ সালে মসজিদ মিশন একাডেমি স্কুল এন্ড কলেজের যাত্রা শুরু। বাংলাদেশ মসজিদ মিশন রাজশাহী জেলা শাখা সংস্থা কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত প্রতিষ্ঠানটির দুটি শাখায় শিশু থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত প্রায় প্রায় ৩ হাজার শিক্ষার্থী এবং প্রায় একশত শিক্ষক-কর্মচারী কর্মরত রয়েছেন।
একাডেমীর শিক্ষকদের অভিযোগ, শিবিরের সাবেক প্রভাবশালী নেতা ও জামায়াতের রোকন অধ্যক্ষ মোঃ নূরুজ্জামান খান দলীয় লবিং-গ্রæপিং করে ২০১৯ সালে অধ্যক্ষের পদটি বাগিয়ে নেন। নিয়োগের পর পরই অধ্যক্ষ একাডেমীতে নিজস্ব একটি বলয় তৈরি করেন। এরপর থেকে তিনি নিজের প্রভাব বজায় রাখতে তার বিরোধীদের বিভিন্ন ভাবে কোন ঠাসা করে রাখেন।
রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে একাডেমীর অধ্যক্ষর বিরুদ্ধে দাখিলকৃত অভিযোগপত্র থেকে জানা গেছে, গত ১২ জানুয়ারী মমিএ/রাজ/১৮৬/২০২০ নম্বর স্মারকে সংস্থার সভাপতির সাক্ষর জালিয়াতি করে অধ্যক্ষ তার পছন্দের ব্যক্তিদের নাম দিয়ে প্রস্তাবিত গভর্ণিং বডির তালিকা শিক্ষা বোর্ডে প্রেরণ করলে বোর্ড তা অনুমোদন করে।
পরে জালিয়াতির বিষয়টি জানাজানি হলে গত ১৫ জানুয়ারী বাংলাদেশ মসজিদ মিশন একাডেমী রাজশাহী জেলা সভাপতি মু.নুরুল ইসলাম বোর্ড চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগপত্রে তিনি উল্লেখ করেন, গভর্ণিং বডি গঠন সংক্রান্ত প্রবিধানমালার ৪৯ নং প্রবিধান অনুযায়ী রাজশাহী জেলা মসজিদ মিশন এর সভাপতি হিসেবে রাবি প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আব্দুল হান্নানকে মসজিদ মিশন একাডেমী স্কুল এন্ড কলেজের সভাপতি হিসেবে মনোনয়ন প্রদান করি। পরে সভাপতি হিসেবে ড.আব্দুল হান্নান ৩জন অভিভাবক প্রতিনিধি মনোনয়ন দেন।
কিন্তু অধ্যক্ষ মোঃ নূরুজ্জামান খান সাক্ষর জালিয়াতি করে সভাপতি ও ৩জন অভিভাবক সদস্য পরিবর্তন করে তার পছন্দের ব্যক্তিদের নাম দিয়ে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড থেকে কমিটি অনুমোদন করিয়ে নেন। অভিযোগপত্রে তিনি বোর্ডের অনুমোদনকৃত কমিটি বাতিলসহ অধ্যক্ষর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের আবেদন জানান।
এবিষয়ে অধ্যক্ষ মোঃ নূরুজ্জামান খান বলেন, শিক্ষা বোর্ডের অভিযোগের বিষয়ে অবগত নন উল্লেখ করে অধ্যক্ষ বলেন, সকল বিষয় মেনেই গভর্ণিং বডির নির্বাচন করা হয়েছে। কোন ধরনের অনিয়ম হয়নি।
নাগরিক প্রতিবেদক: রাজশাহীতে পরিচয় আজীবন সম্মাননা পেলেন ভারতের পাঁচজন রাষ্ট্রপতি কর্তৃক সম্মাননাপ্রাপ্ত স্বাধীনতা সংগ্রামী এবং বঙ্গসাহিত্য সম্মিলনের সভাপতি পূর্ণেন্দু প্রসাদ ভট্টাচার্য। ২ জানুয়ারি বিকেলে রাজশাহীস্থ পরিচয় মিলনায়তনে তাঁকে এ সম্মাননা প্রদান করা হয়। কথাশিল্পী নাজিব ওয়াদুদ’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পরিচয় সংস্কৃতি সংসদের সভাপতি কবি ও গবেষক প্রফেসর ড. মাহফুজুর রহমান আখন্দ।
অতিথি ছিলেন নাট্যব্যক্তিত্ব জয়ন্ত রসিক, ড. শিশুতোষ সামন্ত, কবি গোপাল চক্রবর্তী, ড. দীনেশচন্দ্র ভট্টাচার্য, ড. মনোরোমা পোল্ল্যে, জয়া সান্যাল, কথাশিল্পী দেওয়ান মোহাম্মদ শামসুজ্জামান, কবি খুরশীদ আলম বাবু, শিশুসাহিত্যিক আসাদুল্লাহ মামুন প্রমুখ।বক্তাগণ বলেন, পূর্ণেন্দু প্রসাদ ভট্টাচার্য একজন শতবর্ষী সিনিয়র সিটিজেন। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে তাঁর অবদান ইতিহাসখ্যাত। লেখালেখি এবং সমাজ-সংস্কারমূলক কর্মকর্তাদের জন্য তিনি নিজেই একটি ইতিহাস হয়ে আছেন। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিধন্য সংগঠন ‘বঙ্গসাহিত্য সম্মিলন’ এর যোগ্য সভাপতি তিনি। তাঁকে ‘পরিচয় আজীবন সম্মাননা’ প্রদান একটি যথার্থ উদ্যোগ।
অনুভ‚তি ব্যক্ত করতে গিয়ে পূর্ণেন্দু প্রসাদ ভট্টাচার্য অত্যন্ত আবেগ আপ্লুত হয়ে বলেন, বাংলাদেশ আমার জন্মভ‚মি, আমার হজ্জের দেশ। আমাকে এমন সম্মাননা দেয়ায় আমি পরিচয় সংস্কৃতি সংসদের নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। অনুষ্ঠানে অতিথিবৃন্দসহ লেখাপাঠে অংশগ্রহণ করেন কবি অসিত রঞ্জন দাশ, সাবিত্রী কাহালী, দীপেন ভাদুড়ি, তাপস সাহা, সবিতা বেগম, রথীন্দ্রনাথ বসাক, শঙ্খ ভট্টাচার্য, জসিম উদ্দিন বিজয়, দীননাথ চক্রবর্তী, অনিন্দিতা পাল, দীপক রঞ্জন কর, বাসুদেব দাস, কামাক্ষা রঞ্জন দাস, রণেন্দ্র ধাড়া, অশোক কাহালী, কবি ফারহানা শরমীন জেন, আল মারুফ, ইমরান আজিম, ইমরান সাজিদ, সালেকুর রহমান সম্রাট প্রমূখ।