নাগরিক প্রতিবেদক: রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, দলে দিন দিন কর্মী কমে যাচ্ছে। আর বাড়ছে নেতার সংখ্যা। আমাদের এতো নেতা দরকার নেই। আমাদের আজকে সাচ্চা কর্মী দরকার। মঞ্চের দিকে তাকালেই বোঝা যায় যে কত নেতা! নেতার অভাব নেই। বিলবোর্ডে সুন্দর সুন্দর ছবি দেখাবেন, লোকে চেনেও না! উনি বিলবোর্ডে উজ্জ্বল। এসব দেখতে পাওয়া যায়।
রোববার রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের নতুন কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণার সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
সম্মেলনে তিনি রাজশাহী নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ডাবলু সরকারের নাম ঘোষনা করেন। আগামী এক মাসের মধ্যে পুর্নাঙ্গ কমিটি গঠনের নির্দেশনা দিয়ে তিনি বলেন, কাদের বলেন, আমরা মুজিববর্ষে আওয়ামী লীগে সুবিধাভোগী সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, ভূমিদখলদার মাদক কারবারিকে জায়গা দেব না। নেতা হতে হলে মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হতে হবে। মনে রাখতে হবে ক্ষমতা চিরস্থায়ী নয়। আওয়ামী লীগে সুবিধাবাদীদের দরকার নেই উল্লেখ করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে যাচ্ছে অশুভ শক্তি। নির্বাচনে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি চক্রান্ত করে সরকার হটানোর ষড়যন্ত্র করছে। এই অপশক্তিকে প্রতিহত করতে হবে। বাংলাদেশে আর যেন কোনো দিন সাম্প্রদায়িক শক্তি, অন্ধকারের শক্তি ক্ষমতায় না আসতে পারে সে জন্য আওয়ামী লীগকে আজকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলির সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপন, এসএম কামাল হোসেন, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নুরুল ইসলাম ঠান্ডু ও বেগম আখতার জাহান।
নাগরিক প্রতিবেদক: রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের দ্বিতীয়বারের মত সভাপতি হয়েছেন এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ও সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন ডাবলু সরকার।
রোববার মাদ্রাসা মাঠে নগর আওয়ামী লীগের সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে নতুন কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। একই সঙ্গে আগামী এক মাসের মধ্যে পুর্নাঙ্গ কমিটি গঠনের নির্দেশনা দেন তিনি। এর আগে নতুন কমিটি ঘোষণার জন্য সম্মেলনে উপস্থিত কাউন্সিলরসহ নেতাকর্মীদের অনুমোতি নেন ওবায়দুল কাদের।
সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, দলে দিন দিন কর্মী কমে যাচ্ছে। আর বাড়ছে নেতার সংখ্যা। আমাদের এতো নেতা দরকার নেই। আমাদের আজকে সাচ্চা কর্মী দরকার। মঞ্চের দিকে তাকালেই বোঝা যায় যে কত নেতা! নেতার অভাব নেই। বিলবোর্ডে সুন্দর সুন্দর ছবি দেখাবেন, লোকে চেনেও না! উনি বিলবোর্ডে উজ্জ্বল। এসব দেখতে পাওয়া যায়।
দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, পকেট কমিটি করে আওয়ামী লীগকে দুর্বল করবেন না। পকেটের লোকদের নিয়ে কমিটি করলে আওয়ামী লীগ সুবিধাবাদীদের হাতে চলে যাবে। মশারির ভেতর মশারি টাঙাবেন না। ঘরের ভিতর ঘর বানাবেন না। আমাদের সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ আছে। এই চ্যালেঞ্জ আমাদের অতিক্রম করতে হবে। ত্যাগী নেতাকর্মীকে নিয়ে আওয়ামী লীগকে ঢেলে সাজাতে হবে।
কাদের বলেন, আমরা মুজিববর্ষে আওয়ামী লীগে সুবিধাভোগী সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, ভূমিদখলদার মাদক কারবারিকে জায়গা দেব না। নেতা হতে হলে মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হতে হবে। মনে রাখতে হবে ক্ষমতা চিরস্থায়ী নয়। ত্যাগের মহিমায় উজ্জীবিত হয়ে ভোগের লিপ্সা ত্যাগ করে আমাদের সত্যিকারের মুজিব সৈনিক হতে হবে। বঙ্গবন্ধুর রেখে যাওয়া আদর্শের পতাকা নিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।
আওয়ামী লীগে সুবিধাবাদীদের দরকার নেই উল্লেখ করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষ পাঁচবারের দুর্নীতিতে বিশ^চ্যাম্পিয়ন বিএনপিকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। কিন্তু বাংলার বাতাসে আবারও চক্রান্তের গন্ধ। শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে যাচ্ছে অশুভ শক্তি। নির্বাচনে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি চক্রান্ত করে সরকার হটানোর ষড়যন্ত্র করছে। এই অপশক্তিকে প্রতিহত করতে হবে। বাংলাদেশে আর যেন কোনো দিন সাম্প্রদায়িক শক্তি, অন্ধকারের শক্তি ক্ষমতায় না আসতে পারে সে জন্য আওয়ামী লীগকে আজকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলির সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপন, এসএম কামাল হোসেন, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নুরুল ইসলাম ঠাণ্ডু ও বেগম আখতার জাহান। এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জাতীয় সংগীতের সঙ্গে বেলুন, ফেস্টুন ও কবুতর উড়িয়ে নগর আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক এই সম্মেলনের উদ্বোধন ওবায়দুল কাদের। রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা ময়দানে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
নাগরিক ডেস্ক: সমাজসেবার আড়ালে অসহায় সুন্দরী নারীদের নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে অনৈতিক ব্যবসা করে আসছিলেন শামীমা নূর পাপিয়া। ইতোমধ্যে অবৈধভাবে তিনি কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। রাজধানীর অভিজাত একটি হোটেলে তিন মাসে তার খরচ ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা।শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হতে দেশত্যাগের সময় পাপিয়াসহ চারজনকে গ্রেফতার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর কারওয়ানবাজারের র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান র্যাব-১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল শাফী উল্লাহ বুলবুল। তিনি জানান, বৈধ আয় অনুযায়ী পাপিয়ার বাৎসরিক আয় মাত্র ১৯ লাখ টাকা। অথচ রাজধানীর অভিজাত একটি হোটেলে শুধুমাত্র গত তিন মাসে তিনি বিল পরিশোধ করেছেন প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা। নারী সংক্রান্ত অপকর্ম ছাড়াও অস্ত্র-মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি ও বিভিন্ন তদবির বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত পাপিয়া।
শাফী উল্লাহ বুলবুল বলেন, আটক পপিয়ার তেজগাঁও এফডিসি গেট সংলগ্ন এলাকায় অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে একটি গাড়ির শো রুম এবং নরসিংদীতে একটি গাড়ি সার্ভিসিং সেন্টার রয়েছে। এসব ব্যবসার আড়ালে তিনি অবৈধ অস্ত্র, মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত। তিনি আরও বলেন, পাপিয়া সমাজ সেবার নামে নরসিংদী এলাকায় অসহায় নারীদের আর্থিক দূর্বলতার সুযোগ নিয়ে তাদেরকে অনৈতিক কাজে লিপ্ত করতেন। এজন্য অধিকাংশ সময় নরসিংদী ও রাজধানীর বিভিন্ন বিলাসবহুল হোটেলে অবস্থান করে অনৈতিক কাজে নারী সরবরাহ করে আসছিলেন।
পাপিয়া গত তিন মাসে রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা বিল পরিশোধ করেছেন জানিয়ে শাফী উল্লাহ বুলবুল বলেন, ওই হোটেলে প্রতিদিন শুধুমাত্র বারের খরচবাবদ প্রায় আড়াই লাখ টাকা পরিশোধ করতেন পাপিয়া। সেখানে তার নিয়ন্ত্রণে ৭টি মেয়ের কথা জানা গেছে, যাদেরকে তিনি প্রতি মাসে ৩০ হাজার করে মোট ২ লাখ ১০ হাজার টাকা পরিশোধ করতেন। এছাড়া নরসিংদী এলাকায় চাঁদাবাজির জন্য তার একটি ক্যাডার বাহিনী রয়েছে। স্বামীর সহযোগিতায় অবৈধ অস্ত্র, মাদক ও চাঁদাবাজির মাধ্যমে স্বল্প সময়ের মধ্যে তিনি নরসিংদী ও ঢাকায় একাধিক বিলাসবহুল বাড়ি-গাড়িসহ বিপুল পরিমাণ অর্থের মালিক হয়েছেন। এছাড়া তিনি বিভিন্ন ধরনের তদবির বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত। তবে এ বিষয়ে এখনও বিস্তারিত জানার সুযোগ হয়নি বলে জানায় র্যাব।
আটক মতি পেশায় একজন ব্যবসায়ী। দেশে স্ত্রীর ব্যবসায় সহযোগিতার পাশাপাশি থাইল্যান্ডে তার বারের ব্যবসা রয়েছে। তিনি স্ত্রীর মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলের অসহায় নারীদের অনৈতিক কাজে ব্যবহার করেন। অবৈধ অস্ত্র, মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে তিনি জড়িত।
আটক সাব্বির খন্দকার পাপিয়ার ব্যক্তিগত সহকারী এবং আটক তায়্যিবা মতি সুমনের ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে কাজ করতেন। পাপিয়া ও মতি সুমনের ব্যক্তিগত সম্পত্তির হিসাব রক্ষনাবেক্ষণসহ সকল অবৈধ ব্যবসায় এবং অর্থ পাচার ও রাজস্ব ফাঁকি দিতে তারা সহযোগিতা করে আসছিলেন বলে জানায় র্যাব।
এদিকে রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সংগঠনটির সভাপতি নাজমা আক্তার এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক অপু উকিল স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক শামিমা নুর পাপিয়াকে সংগঠনের গঠনতন্ত্রের ২২ (ক) উপধারা অনুযায়ী দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হলো।
নাগরিক ডেস্ক: জাতীয় সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি। গত ১১ বছর ধরে ক্ষমতার অংশীদার দলটি। সংসদে তাদের রয়েছে সরব উপস্থিতি। তবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে তাদের মনোনীত প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোট হতাশ করেছে দলটির নেতাকর্মীদের। উত্তর সিটিতে প্রার্থী দিলেও তা বাতিল হয়ে যায়। আর দক্ষিণে লাঙ্গল প্রতীক পান দলটির কেন্দ্রীয় নেতা হাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন। শনিবারের নির্বাচনে প্রাপ্ত ভোটে সাত প্রার্থীর মধ্যে তিনি পঞ্চম হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন পাঁচ হাজার ৫৯৩ ভোট।
এই সিটিতে জাতীয় পার্টির প্রার্থীর চেয়েও বেশি ভোট পেয়েছেন গণফ্রন্টের প্রার্থী আবদুস সামাদ সুজন। মাছ প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন ১২ হাজার ৬৮৭ ভোট। এর চেয়েও বেশি ভোট পেয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী আবদুর রহমান। হাতপাখা প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ২৬ হাজার ৫২৫ ভোট।
প্রথম দিকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসকে সমর্থন দিয়ে নিজেদের প্রার্থী প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছিল জাতীয় পার্টি। সে সিদ্ধান্ত বদল করে ৯ জানুয়ারি মেয়র পদের নির্বাচনে থাকার কথা জানায় দলটি। জাপা মহাসচিব রাঙ্গা মিলনকে জয়ী করতে দলীয় নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার নির্দেশও দেন।
তবে মহাসচিবের নির্দেশ সত্ত্বেও দলের হেভিওয়েট কোনো নেতাকে মিলনের পক্ষে নামতে দেখা যায়নি। তিনি যে এলাকা থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন সেখানে জাতীয় পার্টির দখলে রয়েছে দুটি আসন। ঢাকা-৪ আসনে দলটির সংসদ সদস্য আবু হোসেন বাবলা। আর ঢাকা-৬ আসনের সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ। প্রশ্ন উঠেছে, তবে কি দুজন প্রভাবশালী সাংসদও দলীয় প্রার্থীকে সমর্থন দেননি?
নাগরিক প্রতিবেদক: রাজশাহীতে নগর জাতীয় পার্টির নেতা কর্মীরা গণপদত্যাগ করেছেন। সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান ডালিমের নেতৃত্বে গণপদত্যাগের ঘোষনা দিয়ে শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) গণমাধ্যমে বিবৃতি পাঠান। এর আগে রাজশাহী মহানগর জাতীয় পার্টির সভাপতি শাহাবুদ্দিন বাচ্চুর পদত্যাগ করেন। পদত্যাগের কারণ হিসেবে বর্তমান নেতৃত্বের পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যানের আদর্শ থেকে বিচ্যুতি, ত্যাগীদের মূল্যায়ন না করা, সাংগঠনিক অদক্ষতা, অর্থ বাণিজ্যের মাধ্যমে অযোগ্যদের পদায়ন করে পার্টির ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
পদত্যাগী নেতাদের মধ্যে আরো রয়েছেন রাজশাহী মহানগর জাতীয় পার্টির সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট মমতাজ উদ্দিন বাবু, সহ-সভাপতি এডভোকেট এনামুল হক ও মাসুদুল ইসলাম বাবু, সিনিয়র নেতা শাহাবুদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক কাফি , সিনিয়র নেতা এফ এম বাশারুজ্জামান হীরা, মোঃ নজরুল ইসলাম, জাতীয় শ্রমিক পার্টি রাজশাহী মহানগরীর আহবায়ক মোহাম্মদ ইলিয়াছ আলী ইদ্রিস, অ্যাডভোকেট ইফতেখার হামিদ শ্যামল, মহানগর জাতীয় পার্টির যুগ্ম আইন বিষয়ক সম্পাদক পলাশ হোসেন রাঙ্গা, সহকারি সাধারণ সম্পাদক সান্নান সরদার ও জাতীয় যুব সংহতি রাজশাহী জেলা শাখার সভাপতি মনসুর আলি।
বিবৃতিতে খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান ডালিম বলেন, ‘আমি খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান ডালিম ঘোষণা করছি যে, রাজশাহী মহানগর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যপদ থেকে পদত্যাগ করছি। আমি দীর্ঘ প্রায় ৩০ বছর ধরে জাতীয় পার্টির সাথে যুক্ত রয়েছি। হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ স্যারের আদর্শ থেকে বিচ্যুতি হওয়া, ত্যাগীদের মূল্যায়ন না করা, সাংগঠনিক অদক্ষতা সহ বিভিন্ন অনিয়মের কারণে সকল পদ পদবী থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ গ্রহণের এর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি।’
বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, ‘বর্তমান চেয়ারম্যান এর আশেপাশে যারা আছেন, তারা অর্থ বাণিজ্যের মাধ্যমে অযোগ্যদের পদায়ন করে পার্টির ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুন্ন করছেন। গত নির্বাচনে যে ব্যাক্তি আম মার্কা এনপিপি প্রতীকে রাজশাহী সদর আসনে ভোট করে ৫০ ভোট পায়নি, তাকে বানানো হয়েছে কেন্দ্রের ভাইস চেয়ারম্যান, যা রাজশাহীর রাজনীতিতে হঠকারিতা ছাড়া আর কিছুই না। আমরা যারা নিজেদের অর্থ, মেধা ও শ্রম দিয়ে পল্লীবন্ধু এরশাদের আদর্শ বাস্তবায়ন করতে দিনরাত নিরলস পরিশ্রম করে জাতীয় পার্টি রাজশাহীকে শক্তিশালী করেছি, তাদের অবমূল্যায়ন করে জাতীয় পার্টিকে ধ্বংসের পাঁয়তারা করায় আমরা গণপদত্যাগ করছি। সাবেক রাষ্ট্রপতি পল্লীবন্ধু জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ স্যারের প্রতি হৃদয়ের অন্তস্থল থেকে সারা জীবন ভালোবাসা ভক্তি-শ্রদ্ধা থাকবে। মূলত স্যারের আদর্শ থেকে বিচ্যুত হওয়ার কারণেই আমরা গণপদত্যাগের এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছি।’
নাগরিক ডেস্ক: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ কাজ করে যাচ্ছে। এ লক্ষে ট্র্যাডিশনের সঙ্গে টেকনোলজি, আইডিয়ালিজমের সঙ্গে রিয়েলিজমের সুন্দর সমন্বয় করে সোনার বাংলা বিনির্মাণের চূড়ান্ত লক্ষ্য অভিমুখে আমরা উন্নয়নের মহাসড়ক ধরে এগিয়ে যেতে চাই।
ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতীয় সম্মেলনের পর আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধ ও জন্মস্থান টুঙ্গিপাড়ায় এসেছি। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে সোনার মানুষ তৈরির কারখানা হিসেবে আওয়ামী লীগকে সময়, যুগের চাহিদা অনুযায়ী নতুন মডেলে আমরা ঢেলে সাজাবো। সাংগঠনিক কাঠামোকেও শুদ্ধ করবো, সুশৃঙ্খল করবো। সারা বাংলায় তৃণমূল পর্যন্ত এই লক্ষ্য ছড়িয়ে দেওয়ার শপথ ও অঙ্গীকার নিতেই আমরা আজ এখানে এসেছি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সোনার বাংলা বিনির্মাণ একটি সুদূরপ্রসারী লক্ষ্য। আমাদের টার্গেট আছে, ভিশন আছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার যে ভিশন ২০২১, ভিশন ২০৪১ ও ডেল্টা প্ল্যান রয়েছে, আমরা এই তিনটিকে সামনে রেখে আমাদের এজেন্ডা ঠিক করেছি। সময়ের চাহিদার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।
নাগরিক ডেস্ক: বিএনপির দুই প্রার্থীর প্রচারণায় ২০ দলের নেতাকর্মীরাও পাশে নেই, এমন পরিস্থিতিতে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকেও গত ১০ দিনে প্রচারণায় দেখা যায়নি। অথচ এর আগে ২০১৫ সালের ১৮ এপ্রিল হেঁটে প্রায় সোয়া ৪ ঘণ্টা বিএনপির প্রার্থী তাবিথ আউয়ালের বাস প্রতীকে প্রচারণা চালিয়েছিলেন খালেদা জিয়া।
এর দুদিন পর ফের রাস্তায় নামলে খালেদা জিয়ার গাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও গুলি করা হয় বলেও দলটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়। কিন্তু খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে দলের প্রধান অভিভাবক মির্জা ফখরুলের অল্পসময়ের প্রচারণা নিয়ে দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে সমালোচনা চলছে।
এদিকে এখনো সমন্বয় করতে না পারায় ২০ দলের নেতাকর্মীদেরও বিএনপির প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণায় নামাতে ব্যর্থ হচ্ছেন মহাসচিব। এখনো পর্যন্ত এ নিয়ে কোনো বৈঠক হয়নি বলে ২০ দলের একাধিক নেতা আমার সংবাদকে জানান।
তাদের দাবি— বিএনপি মহাসচিব তাদের ডাকলে তারা যেতে প্রস্তুত আছেন। তাদের নামার জন্য শিডিউল করে দিলে তারা অবশ্যই প্রচারণায় নামবেন।
গতকাল সোমবার রাজধানীর মিরপুরে বাইতুল মোশাররফ জামে মসজিদের সামনে ডিএনসিসির দক্ষিণের মেয়রপ্রার্থী তাবিথ আউয়ালের গণসংযোগে নামেন মির্জা ফখরুল।
এসময় ধানের শীষ প্রতীকের বদলে তার হাতে গোলাপ ফুল দেখা গেছে। জানা গেছে, গোলাপ ফুল মার্কার প্রতীকটি মিরপুর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ওই ওয়ার্ডের প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন দুলুর প্রতীক।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ঢাকা সিটি নির্বাচনে তাবিথ আউয়ালের পক্ষে, ধানের শীষের পক্ষে যে গণজোয়ার দেখেছি তা অভূতপূর্ব। আমরা মনে করি, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হলে অবশ্যই তাবিথ আউয়াল বিপুল ভোটে বিজয়ী হবে।
তিনি বলেন, এই নির্বাচনকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং গণতন্ত্রের মুক্তির জন্য একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি। জনগণকে এ মুক্তি আন্দোলনে সম্পৃক্ত করতে আমরা নির্বাচনে এসেছি।
আমরা বিশ্বাস করি, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, গণতন্ত্রের মুক্তি এবং জনদুর্ভোগ থেকে ঢাকাবাসীর মুক্তির জন্য তাবিথ আউয়াল যে কর্মসূচি নিয়েছে ঢাকাবাসী সে কর্মসূচির সঙ্গে একমত হবেন, ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করবেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, জনগণের উত্তাল তরঙ্গের মধ্যে তাবিথ আউয়ালের ধানের শীষ বিজয়ী হবে ইনশাআল্লাহ। এ নির্বাচন গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে আরও ত্বরান্বিত করবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
নির্বাচনের তারিখ পেছানো নিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ইসি আগে থেকে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারেনি। তারা সব সময়ই অযোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছেন।
এসময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মেয়রপ্রার্থী তাবিথ আউয়াল বলেন, আমরা যখনই প্রচারণা শুরু করি, ব্যাপক সাড়া পাই। প্রতিদিন পরিস্থিতি পরিবর্তন হচ্ছে। আমাদের সঙ্গে জনসম্পৃক্ততা বাড়ছে, আমরা দেখছি- জনমত আমাদের পক্ষে রয়েছে, সাধারণ জনগণ পক্ষে রয়েছে। আমরা মনে করি, পরিস্থিতি ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এ রকম থাকলে, ভোটাররা ভোট দিতে পারলে আমাদের বিজয় সুনিশ্চিত।
তাবিথ আউয়াল বলেন, জাতীয়তাবাদী দলের বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা, সাধারণ মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনা, দেশের সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীলতার মধ্যে নিয়ে আসা, যেন সব রাজনৈতিক দল জনকল্যাণে কাজ করতে পারে।
তিনি বলেন, আমাদেরকে দেশের জন্য কাজ করতে হবে, আগামীতে ঢাকাবাসীকে ঐক্যবদ্ধ করে আমরা সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করবো ইনশাআল্লাহ। বিএনপি মহাসচিব সংক্ষিপ্ত বক্তব্য শেষে তাবিথ আউয়ালকে সঙ্গে নিয়ে মিরপুর-৬ নম্বর সেক্টরের বাইতুল মোশাররফ জামে মসজিদ মার্কেট এলাকা থেকে গণসংযোগ শুরু করেন।
নাগরিক ডেস্ক: ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার বাতিল করে ব্যালট পেপারে ভোট নিতে লিখিতভাবে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে আবেদন জানিয়েছে বিএনপি।
মঙ্গলবার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক চিঠিতে এই আবেদন জানান। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা বরাবর এ চিঠি দেন বিএনপি মহাসচিব।
চিঠিতে ফখরুল বলেন, গত ১৩ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম-৮ উপনির্বাচনের বিস্তারিত চিত্রসহ গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। মনে করি, বিষয়টি আপনারাও অবহিত আছেন। বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত এই চিত্র ইভিএম, নির্বাচন কমিশন এবং নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার সম্পর্কে আমাদের দাবিকে আরও পাকাপোক্ত করেছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, ইভিএম মেশিনের দুটি ইউনিট। একটি কন্ট্রোল ইউনিট, অন্যটি ব্যালট ইউনিট। এর মধ্যে ব্যালট ইউনিট অরক্ষিত। কন্ট্রোল ইউনিটে ফিঙ্গার প্রিন্ট ম্যাচিংয়ের পর একজনের ভোট দিতে পারেন অন্যজন।
চিঠিতে মহাসচিব আরও বলেন, এই পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের হাতে এখনো সময় আছে নিরপেক্ষতা প্রমাণের চেষ্টা করার। সেই লক্ষ্যে ইভিএমের অকার্যকারিতাকে বিবেচনায় নিয়ে এ ব্যবস্থা বাতিল করে প্রচলিত ব্যালট পেপারে নির্বাচনের ব্যবস্থা করার দাবি জানাচ্ছি।
নাগরিক প্রতিবেদক: ১৯ বছর আগে রাজধানীর পল্টনে বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সমাবেশে বোমা হামলার ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় ১০ জঙ্গির মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার (২০ জানুয়ারি) ঢাকার অতিরিক্ত তৃতীয় মহানগর দায়রা জজ রবিউল আলম এ রায় ঘোষণা করেন।
গত ১ ডিসেম্বর ঢাকার অতিরিক্ত তৃতীয় মহানগর দায়রা জজ রবিউল আলমের আদালত আসামি ও রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য ২০ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন। এ মামলায় ৩৮ জন বিভিন্ন সময় সাক্ষ্য দিয়েছেন।
আসামিদের প্রত্যেককে এ মামলায় নিহতদের অভিন্ন অভিপ্রায়ে ও অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে হত্যার অভিযোগে পেনাল কোড ১৮৬০ এর ৩০২/১২০ এর বি/৩৪ ধারার অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ডাদেশ এবং ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন আদালত। মামলার পলাতক দুই আসামি মশিউর রহমান ও রফিকুল আলমের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় তাদের খালাস দেয়া হয়। এছাড়া, কারাবন্দি আরিফ হাসান সুমন ও পলাতক নুর ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড দেয়ার কারণে ৩০৭/৩২৪/৩২৬/৩৪ ধারায় তাদের লঘুদণ্ড দেয়া হয়নি।
রায় ঘোষণার পর রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু বলেন, রায়ে আমরা সন্তুষ্ট।
আসামিপক্ষের আইনজীবী ফারুক আহমেদ বলেন, এ রায়ে আমরা সন্তুষ্ট নই।
এ ঘটনায় সিপিবির তৎকালীন সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান খান মতিঝিল থানায় মামলা করেন। এর দুই বছর পর ২০০৩ সালের ডিসেম্বরে মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে নির্ভরযোগ্য তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সৈয়দ মোমিন হোসেন।
এরপর দেশের বিভিন্ন স্থানে জঙ্গি হামলার সঙ্গে যোগসূত্র পেয়ে ২০০৫ সালে আবার মামলার তদন্ত শুরু হয়। ওই হামলায় মামলা হওয়ার ১৩ বছর পর ২০১৩ সালের ২৬ নভেম্বর পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পরিদর্শক মৃণাল কান্তি সাহা ১৩ জন আসামি চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনের দুই মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দেন। ২০১৪ সালের ৪ সেপ্টেম্বর তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার অতিরিক্ত তৃতীয় মহানগর দায়রা জজ আদালত।
মামলার আসামিরা হলেন- হরকাতুল জিহাদের (হুজি) নেতা মুফতি আব্দুল হান্নান, হুজির সদস্য মুফতি মঈন উদ্দিন শেখ, আরিফ হাসান সুমন, মাওলানা সাব্বির আহমেদ, শওকত ওসমান ওরফে শেখ ফরিদ, মো. মশিউর রহমান, জাহাঙ্গীর আলম বদর, মহিবুল মুত্তাকিন, আমিনুল মুরসালিন, মুফতি আব্দুল হাই, মুফতি শফিকুর রহমান, রফিকুল আলম ও নূর ইসলাম।
আসামিদের মধ্যে জঙ্গি নেতা মুফতি আব্দুল হান্নানের ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। আর শেষের আটজন পলাতক।
নাগরিক ডেস্ক: ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনকে (ইভিএম) নিঃশব্দে ভোট চুরির জঘন্য এক পদ্ধতি হিসেবে আখ্যায়িত করে ব্যালটে সুষ্ঠু ভোটের ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। ফ্রন্টের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ইভিএম ভোট চুরির নতুন পদ্ধতি। নির্বাচনে ভিন্ন পদ্ধতিতে প্রতারণার ফাঁদ পেতেছে সরকার ও নির্বাচন কমিশন। শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, দেশে ভোটাধিকার প্রয়োগের ক্ষেত্রে নানা প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করা হয়েছে। ভোট ছাড়াই নির্বাচন ও সরকার গঠিত হচ্ছে। সরকার ও নির্বাচন কমিশনের ওপর জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস নেই। ভোট ছাড়াই ক্ষমতা দখল ও ক্ষমতা চিরস্থায়ী করার জন্য নানা কূটকৌশলের আশ্রয় নেওয়া হচ্ছে। জনগণকে নানাভাবে হয়রানি, ভয়ভীতি, সন্ত্রাসের মাধ্যমে নির্বাচনবিমুখ করা হয়েছে।